ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি শপথ গ্রহণের পরপরই আমেরিকায় অবস্থানরত প্রায় এক কোটি আনডকুমেন্টেড ইমিগ্রান্টকে ডিপোর্ট করার কথা বলছেন। তারই প্রেক্ষিতে গত সোমবার সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ফাউন্ডেশন অব সাদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া সেখানকার ফেডারেল কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেছে ইউএস ইমিগ্রেশন এন্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের বিরুদ্ধে।
মামলায় তারা আইসের কাছে স্বচ্ছতার সাথে জানতে চেয়েছে তারা কোন প্রক্রিয়ায় স্বল্প সময়ে এত অধিক সংখ্যক মানুষকে গ্রেফতার করে ডিপোর্ট করবে।
অঈখট জানতে চেয়েছে, এর জন্য তারা কোন কোন এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগ করেছে, কোন গ্রাউন্ড যানবাহন ব্যবহার করবে, কোন্ এয়ারফিল্ড ব্যবহার করবে? যাদের সাথে শিশু আছে তাদের জন্য কী ব্যবস্থা করা হবে ইত্যাদি। তারা আইস এবং তাদের কন্ট্রাক্টরদের অনুরোধ করেছে যেন ইমিগ্রান্টদের সাথে অমানবিক আচরণ করা না হয়।
ওয়াশিংটন পোস্ট তাদের প্রতিবেদনে জানায়, তারা ৪.১ মিলিয়ন বা ৪১ লক্ষ ইমিগ্রেশন কোর্ট রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখেছে এরা কে কোন দেশ থেকে এসেছিল এবং ডিপোর্টেশনের পরে সে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘদিন পর ডিপোর্টেড হওয়ার কারণে উক্ত ব্যক্তিদের অধিকাংশই তাদের ফেলে আসা দেশকে চেনে না।
আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়নের নিজস্ব সিনিয়র এটর্নি কাইল ভার্জিয়েন ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, গত ৯ মাস ধরে আমরা গণ হারে ডিটেনশন এবং ডিপোর্টেশন এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছি। এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট—ইলেক্ট। মনে হচ্ছে এখন আমাদের লড়াই শুরু করতে হবে।
ট্রাম্প ট্রানজিশনের মুখপাত্র ক্যারোলাইন লিভিট বলেন, ট্রাম্প চান ফেডারেল এবং স্টেট গভর্নমেন্টের যত ক্ষমতা প্রয়োজন তা ব্যবহার করে গণহারে ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়া কার্যকর করতে। বিশেষ করে অবৈধ ক্রিমিনাল, ড্রাগ ডিলার, মানব পাচারকারি ইত্যাদিদের।
ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে তিনি গণ ডিপোর্টেশনের সবরকম উদ্যোগ নিলেও বিভিন্ন সিটি ও স্টেটের অসহযোগিতার কারণে সফল হয়নি। তবে এর পাশাপাশি আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন ঐ সময় প্রেসিডেন্টের ডিপোর্টেশন কর্মসূচীকে চ্যালেঞ্জ করে ৪৩০টি মামলা করে।