1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
ক্রিকেট ব্যাট তৈরির গ্রাম বিন্না
মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ০২:৫০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
ঘুরতে গেলেও হতে পারে ত্বকের ক্যানসার অ্যাপে টিকিট কাটলে ১০ শতাংশ ছাড় জাজিরা এয়ারওয়েজে চাঁদে যাচ্ছেন প্রথম বাংলাদেশি নারী ভারতের যেসব জায়গায় গ্রীষ্মেও দেখা মেলে তুষারপাত আবুধাবি বিমানবন্দর হয়ে ভ্রমণ? দেরি ও বাতিলের আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষের সতর্কবার্তা ট্রানজিট যাত্রীরাও ক্ষতিগ্রস্ত? আঞ্চলিক উত্তেজনায় এমিরেটস ফ্লাইট বাতিলের মেয়াদ বাড়াল এয়ার ইন্ডিয়া ট্র্যাজেডি : স্ত্রীর শেষ বিদায়ের পর নিজেই হারিয়ে গেলেন দূর আকাশে নাগরিকত্ব পেতে ৫ মিলিয়ন ডলারের ‘গোল্ড কার্ড’, ওয়েবসাইট চালু করলেন ট্রাম্প সিলেটে প্রত্যাশার চেয়ে পর্যটক কম, ৫০ শতাংশ হোটেল-মোটেলই খালি ভিয়েতনামের জনপ্রিয় দ্বীপ ফুঁককে এ বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৭ লাখ ৭৫ হাজারের বেশি বিদেশি পর্যটক
Uncategorized

ক্রিকেট ব্যাট তৈরির গ্রাম বিন্না

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার বিন্না গ্রামটি বাংলাদেশে এখন পরিচিত ক্রিকেটের ব্যাট তৈরির কারণে। দেশীয় ব্যাটের ৭০ শতাংশ এখন তৈরি হয় বিন্না ও আশপাশের ১৫টি গ্রামে। স্থানীয়রা জানান, ব্যাট তৈরি করে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা। সারাদেশ থেকে পাইকাররা আসেন এখানে ব্যাট কিনতে। অনেকে অর্ডার দেন ফোনে। নতুন মাত্রা পেয়েছে গ্রামটি।

স্থানীয় সাংবাদিক তানভীর আহমেদ জানান, বিন্না গ্রামটির অবস্থান পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা সদরের বলদিয়া ইউনিয়নের বেলুয়া নদীর পূর্বপাড়ে। ৩ যুগ ধরে এখানে তৈরি হয়ে আসছে ক্রিকেট ব্যাট। বর্তমানে এখানে তৈরি করা ব্যাট বিশ্বমান বজায় রাখছে। কিন্তুু বিক্রি হয় শুধুমাত্র দেশিয় বাজারে। সরকার সহায়তা করলে হয়তো এই গ্রামের ব্যাট বিক্রি হতে পারে বিশ্ব বাজারে।

স্থানীয়রা জানান, ব্যাট তৈরির জন্য আমড়া, কদম, গাউয়া, নিমশিশু, তুলা, ডুমুর আর ছাতিম গাছ ব্যবহার হয়। এই গাছগুলো স্থানীয় কৃষক পরিবার থেকে কেনা হয়। কারিগররা সাতটি স্তরের প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ব্যাট তৈরি করেন। প্রথমে একটি গাছ সমিলে নিয়ে মূল অংশ তৈরি করা হয়। তারপর তাতে লাগানো হয় হাতল। এরপর ব্যাটের কাঠামো তৈরি হয় ফিনিশিং এর মাধ্যমে । এই ফিনিশিং প্রক্রিয়া আধুনিক না হওয়ার কারণে সময় লাগে একটু বেশি। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে একটি ব্যাট তৈরিতে ১৫-২০ দিন সময় লাগে। এসব ব্যাটের জন্য স্টিকার কেনা হয় ঢাকা থেকে। প্রতি সেট স্টিকারে খরচ ১৫ টাকা। নেছারাবাদে তৈরি ব্যাট স্টিকার লাগিয়ে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়।

বাংলাদেশে দুই ধরনের ক্রিকেট ব্যাট বব্যবহৃত হয়। আন্তর্জাতিক মানের ব্যাট আসে পাকিস্তান থেকে। দেশীয় ব্যাটের বড় অংশ উৎপাদিত হয় পিরোজপুরে। এর বাইরে যশোর ও ঝিনাইদহে ব্যাট তৈরি হয়। কারিগর বিমল চন্দ্র বলেন, “সরকার চাইলে এবং সহায়তা করলে আমরা আন্তর্জাতিক মানের ব্যাট তৈরি করতে পারবো। যা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানী করা যাবে।”

বিন্না গ্রামের লোকজন জানান, প্রথমে ব্যাট তৈরি এই গ্রাম থেকে শুরু হলেও পরে আশপাশের ইন্দেরহাট, ঝিলবাড়ি, চামি, ডুবি, কুড়িবুনিয়া, পঞ্চবুটি, আউরবুনিয়াসহ প্রায় ১৫টি গ্রামে তৈরি হচ্ছে। করোনার পর উৎপাদন কমেছে। তবে ঘুরে দাড়াঁনোর চেষ্টা করছে সবাই।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)-এর ভারপ্রাপ্ত জেলা উপব্যবস্থাপক মিলটন চন্দ্র বৈরাগী জানান, নেছারাবাদ উপজেলায় ৫০টি কারখানায় ২ হাজার ৫০০ শ্রমিক ব্যাট তৈরিতে কাজ করে। যাদের হাত ধরে দেশের ক্রিকেট ব্যাটের চাহিদার ৭০ ভাগ পূরণ হয়।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com