যুক্তরাজ্যে কেয়ার ভিসায় আগতরা ডিপেন্ডেন্টদের আনতে পারবেন না এবং স্পাউস ভিসায় ডিপেন্ডেন্ট আনতে ও স্কীলড ওয়ার্কার ভিসায় আসতে বাৎসরিক ন্যূনতম বেতন ৩৮,৭০০ পাউন্ড দেখাতে হবে। সম্প্রতি এমনই নতুন অভিবাসন নীতিমালা ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। ২০২২ সালে নেট মাইগ্রেশনের রেকর্ড স্তরে পৌঁছানোর পর তা রোধ করার প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র সচিব পাঁচ দফা পরিকল্পনা নির্ধারণ করেছেন, যার মধ্যে এটি একটি উল্লেখযোগ্য দফা। মূলত নেট মাইগ্রেশন হ্রাস করতে এই পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ২০২২ সালে রেকর্ড সর্বোচ্চ ৭৪৫,০০০-এ বেড়ে যাওয়ার পর অভিবাসনের মাত্রা খুব বেশি এবং তা টেকসই স্তরে নামিয়ে আনার প্রয়োজন বলে প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সম্প্রতি একটি বক্তব্য রেখেছিলেন।
এ নিয়ে টোরি সরকারে মারাত্মক ক্ষোভের জন্ম নেয়। স্বরাষ্ট্র সচিব মি. ক্লিভারলি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, তার পরিকল্পনা “নেট মাইগ্রেশনে সর্বকালের সবচেয়ে বড় হ্রাস” প্রদান করবে। আগে বিদেশি দক্ষ শ্রমিক আসতে বাৎসরিক ন্যূনতম ছিল ২৬,০০০ পাউন্ড, ফ্যামেলি ভিসার ক্ষেত্রে স্পাউস আনতে ১৮,৬০০ পাউন্ড, এখন উভয় ক্ষেত্রেই ৩৮,৭০০ পাউন্ডে নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০২৪ সাল থেকে এই নীতিমালা কার্যকর হবে। স্বরাষ্ট্র সচিব জেমস ক্লেভারলি বলেছেন: ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে চলে আসা আনুমানিক ১.২ মিলিয়ন লোকের মধ্যে ৩ লাখেরও বেশি লোক এটি করতে সক্ষম হবে না। এটি রেকর্ড নেট মাইগ্রেশন গতিকে কমাতে সাহায্য করবে।
নতুন নীতিমালায় যে বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে তা হলো:
বিদেশি দক্ষ শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২৬,২০০ পাউন্ড থেকে বাড়িয়ে ৩৮,৭০০ পাউন্ড নির্ধারণ করা হবে।
ফ্যামেলি ভিসার ক্ষেত্রে স্পাউস আনতে ১৮,৬০০ পাউন্ড থেকে বাড়িয়ে ৩৮,৭০০ পাউন্ডে উন্নীত করা হবে। তাছাড়া কেয়ার কর্মীরা ডিপেন্ডেন্ট আনতে পারবেন না এবং কেয়ার ভিসা স্পন্সর করার জন্য প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে কেয়ার কোয়ালিটি কমিশনে নিবন্ধিত হতে হবে। তাছাড়া শর্টেজ অকুপেশন লিস্টেরও সংস্কার করা হবে। স্টুডেন্ট ভিসায় ডিপেন্ডেন্ট নিয়ে আসার নিয়মকে আরও কঠিন করা হবে। পাশাপাশি মাইগ্রেশন অ্যাডভাইজরি কমিটি কর্তৃক স্নাতক ভিসা রুটের সম্পূর্ণ পর্যালোচনা করা হবে।