কুরিয়ার এক্সপ্রেস চালু করলো এমিরেটস
প্রায় চার দশক ধরে বিশ্বব্যাপী যাত্রী ও পন্য পরিবহণ অভিজ্ঞতা ওপর ভিত্তি করে এমিরেটস এয়ারলাইন একটি এন্ড টু এন্ড এক্সপ্রেস কুরিয়ার সেবা চালু করেছে। প্রাথমিকভাবে এই সেবাটি ৭টি মার্কেটে পাওয়া গেলেও পর্যায়ক্রমে এর পরিসর এমিরেটসের বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক জুড়ে বিস্তৃত হবে।
সংশ্লিষ্ট শিল্পে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ উত্তরণের স্বার্থে ‘এমিরেটস কুরিয়ার এক্সপ্রেস’ চালুর পূর্বে এয়ারলাইনটি বিভিন্ন বৈশ্বিক গ্রাহকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে। এর মূল লক্ষ্য ছিল এই সেবাটি যাতে দ্রুততা ও নির্ভরযোগ্যতার সঙ্গে প্রদান করা সম্ভব হয়। সেবাটিকে যথাসম্ভব ফ্লেক্সিবল করারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং যুক্তরাজ্য থেকে কয়েক হাজার প্যাকেজ পরিবহণ করা হয়েছে এই সেবার মাধ্যমে। ডেলিভারির গড় সময়কাল ছিল ৩৮ ঘন্টারও কম। বর্তমানে ব্যবসা সংশ্লিষ্ট পরিবহণের জন্য সেবাটি পাওয়া যাচ্ছে।
বর্তমানে সাধারণত এক্সপ্রেস কুরিয়ার সেবা ব্যবস্থাপনায় একটি বৈশ্বিক হাব ব্যবহৃত হয়, যেটি ‘হাব-এন্ড-স্পোক’ মডেল হিসেবে পরিচিত। এই মডেলে পন্য প্যাকেজটি চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌছার পূর্বে কয়েক স্থানে বিরতির প্রয়োজন পড়ে। এমিরেটস কুরিয়ার সার্ভিস এই মডেলের বাইরে এসে সরাসরি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে পন্য পরিবহণ সেবা অফার করছে। এর ফলে, ট্রানজিটের সময় হ্রাস এবং অতিরিক্ত হ্যান্ডেলিং এড়ানো সম্ভব হচ্ছে। বর্তমানে, এমিরেটস কুরিয়ার এক্সপ্রেসে পরবর্তী দিনেই জরুরী ডেলিভারি এবং দুই দিনে ডেলিভারির মতো প্রিমিয়াম সেবা অফার করা হচ্ছে। তবে, বেশকিছু উদ্ভাবনী সেবা পাইপলাইনে রয়েছে।
এমিরেটস কুরিয়ার এক্সপ্রেসের অন্যতম সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে এয়ারলাইনটির ২৫০টির অধিক সুপরিসর যাত্রীবাহী ও পন্যবাহী উড়োজাহাজের একটি বিশাল বহর। এর সঙ্গে রয়েছে এমিরেটসের নেটওয়ার্ক জুড়ে বিস্তৃত পার্টনার, যারা কাস্টমস ক্লিয়ারেন্স, ডোর টু ডোরসহ অন্যান্য সেবা আস্থা ও বিশ্বস্থতার সঙ্গে প্রদানে নিশ্চয়তা দিচ্ছে।