1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
কি আছে পৃথিবী অষ্টম আশ্চর্যে
বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৪১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
স্বপ্নভঙ্গের হতাশা আর আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশী শিক্ষার্থীরা ইমিগ্রেশনের সময় এই ৭ কথা ভুলেও বলবেন না, ভেস্তে যেতে পারে ভ্রমণ চীনে বাড়ছে নারীদের আবাসিক ক্লাব, পুরুষ প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাইল্যান্ড ভ্রমণে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করতে পারবেন পর্যটকেরা ছুটি হোক কর্মক্ষমতা বাড়ানোর চাবিকাঠি কেবিন ক্রুদের ধর্মঘটে এয়ার কানাডার সব ফ্লাইট স্থগিত ৬ হাজারের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র আগামী বছর ভালুকায় চালু হচ্ছে পাঁচ তারকা হোটেল ‘ম্যারিয়ট’ ঘুরতে গেলে বাজেট শেষ? কয়েকটি টিপসেই মিলবে সমাধান ইউরোপে ‘অবাধ্য’ পর্যটকদের গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা

কি আছে পৃথিবী অষ্টম আশ্চর্যে

  • আপডেট সময় বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

লিবিয়ার ‘গ্রেট ম্যান-মেড রিভার’ প্রকল্পটি বিশ্বের বৃহত্তম সেচ প্রকল্পগুলোর মধ্যে একটি, যা সাহারা মরুভূমির গভীরে অবস্থিত প্রাচীন ভূগর্ভস্থ জলাধার থেকে লিবিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে উচ্চমানের মিঠা পানি সরবরাহ করে। এই প্রকল্পটি লিবিয়ার জনবহুল উত্তরাঞ্চলীয় শহরগুলোতে, যেমন ত্রিপোলি, বেনগাজি, সির্তে ইত্যাদিতে প্রতিদিন প্রায় ৬.৫ মিলিয়ন ঘনমিটার পানি সরবরাহ করে, যা দেশের মোট মিঠা পানির চাহিদার ৭০% পূরণ করে।

১৯৫০-এর দশকে লিবিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে তেল অনুসন্ধানের সময় বিশাল পরিমাণে প্রাচীন মিঠা পানির সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর ১৯৮৪ সালে ‘গ্রেট ম্যান-মেড রিভার’ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রকল্পটি পাঁচটি পর্যায়ে বিভক্ত ছিল, যার প্রথম পর্যায়ের উদ্বোধন হয় ১৯৯১ সালে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন হয় ১৯৯৬ সালে। লিবিয়ার তৎকালীন নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি এই প্রকল্পটিকে “পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য” হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।

এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাহারা মরুভূমির গভীরে অবস্থিত নুবিয়ান স্যান্ডস্টোন অ্যাকুইফার সিস্টেম থেকে পানি উত্তোলন করে লিবিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়। প্রকল্পটি প্রায় ২,৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন এবং ১,৩০০টিরও বেশি কূপ নিয়ে গঠিত, যা লিবিয়ার কৃষি, শিল্প এবং গৃহস্থালী কাজে মিঠা পানির চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

তবে, এই প্রকল্পের পানি উৎস হলো প্রাচীন ফসিল পানি, যা পুনর্নবীকরণযোগ্য নয়। ফলে, এই পানির মজুদ সীমিত এবং বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি দীর্ঘমেয়াদে টেকসই নাও হতে পারে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, লিবিয়ার রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সংঘাতের কারণে প্রকল্পটির রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনায় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়েছে। বিশেষ করে, ২০১১ সালের আরব বসন্তের সময় এবং পরবর্তীতে প্রকল্পটির অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা লিবিয়ার পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com