শরতের কাশফুল দেখার জন্য এখন সঠিক স্থানের খোঁজ করছেন কমবেশি সবাই। কাশফুলের নরম ছোঁয়ায় মনে প্রশান্তি আসে, সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
কাশফুল সাধারণত নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল, শুকনো রুক্ষ এলাকা, পাহাড় কিংবা গ্রামের কোনো উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে। তবে নদী ও খালের ধারেই এদের বেশি জন্মাতে দেখা যায়।
অনেকেই এখন কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে চাইলেও কোথায় যাবেন তা ঠিক করতে পারছেন না! আসলে ঢাকার মধ্যেও যে বেশকিছু স্থানে কাশফুলের দেখা মেলে সে তথ্য অনেকেরই জানা নেই।
ঢাকার মধ্যেই আপনি খুঁজে পাবেন কাশবন। যেখানে গেলে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন। চারপাশে দিগন্ত বিস্তৃত কাশবন। অযত্নেই বেড়ে ওঠে প্রকৃতির অপার এই বিস্ময়কর ফুল।
কাশফুল দেখতে চাইলে ছুটতে পারেন মিরপুর ১২ নম্বর ডিওএইচএসের পাশেই বৃন্দাবন মাঠে। মিরপুর ও উত্তরার দিয়াবাড়ির সংযোগস্থল হিসেবে পরিচিত বৃন্দাবন এলাকায় এখন পর্যটকদের ভিড় সকাল-সন্ধ্যা।
সেখানে গিয়ে নাগরদোলাতেও উঠতে পারবেন বিনোদনপ্রেমীরা। এছাড়া পেয়ে যাবেন ফুচকা-চটপটিসহ নানা ধরনের স্ট্রিট ফুড।
কাশবনে ছবি তোলার জন্যই বেশিরভাগ মানুষ এখন ছুটছেন বৃন্দাবনে। মনমতো ছবি তুলতে সেখানে ভ্রাম্যমান ফটোগ্রাফারের দেখাও পাবেন। প্রতি পিস ছবি ১০-২০ টাকার বিনিময়ে তারা তুলে দেন।
কীভাবে যাবেন?
মিরপুর ডিওএইচএস সংলগ্ন বৃন্দাবন মাঠে পৌঁছাতে পাড়ি দিতে হয় সরু ঢালু পথ ও বাঁশের সাঁকো। এরপর দেখবেন বিস্তৃত মাঠ, চারপাশে ফুটে আছে কাশফুল। মুহূর্তেই আপনি হারিয়ে যাবেন কল্পনার রাজ্যে। মনে হবে মেঘ যেন নিচে নেমে এসেছে!
এছাড়া মিরপুর ১২ নম্বরের ডিওএইচএস গেইট দিয়ে উত্তরার পথ ধরেও যেতে পারেন কাশফুল দেখতে। ওদিকেই মেট্রোরেলের কাজ চলছে।
সেখানকার নতুন রাস্তা ধরে এগিয়ে যেতেই পথের দু’ধারে কাশফুলের দোলা আপনাকে শিহরিত করবে। এছাড়া নিরিবিলি এই এলাকা এখন সবাইকেই মুগ্ধ কর।
নিজস্ব গাড়ি বা মোটরসাইকেল না থাকলে আপনি সহজেই ব্যটারিচালিত অটোরিকশা ধরে ঘুরতে পারবেন। চাইলে অটোরিকশা রিজার্ভও নিয়ে এক বা দু’ঘণ্টা বৃন্দাবন টু উত্তরা দিয়াবাড়ি পর্যন্ত ঘুরে বেড়াতে পারেন।
আবার উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকেও আসতে পারবেন বৃন্দাবনে। তবে যেভাবেই যান না কেন, হাতে সময় নিয়ে যাবেন। তাহলে বেশ কিছুটা সময় কাটাতে পারবেন।
সেখানকার পড়ন্ত বিকেলের দৃশ্য সত্যিই আপনাকে মুগ্ধ করবে। তবে সন্ধ্যা হতেই ফিরে যান, স্থানটি বেশ নিরিবিলি হওয়ায় সন্ধ্যার পর সেখানে না থাকাই ভালো।