সারা সপ্তাহ কাজের পর উইকেন্ডে কাছেপিঠে কোথাও ঘুরে আসার প্রবণতা এখন অনেক বেড়ে গিয়েছে। ইচ্ছেমতো পাহাড় বা সমুদ্রে বেশিরভাগ সময়েই যাওয়া হলেও কোনো কোনো সময় শান্ত-বেশি ভিড় নেই এমন স্থানে যেতে পারলে ভালো লাগে। আজ তাই রইল এমনই এক জায়গার সন্ধান।
আজকের প্রতিবেদনে উল্লেখিত ভ্রমণ স্থানের নাম কুলপি নদীর (Kulpi River) ধার। শান্ত ও নিরিবিলি পরিবেশে এই নদীর ধারে বসে সময় কাটানো যাবে। শহরের হই-হট্টগোল, ভিড়, দূষণ প্রভৃতি থেকে বিরতি নিয়ে এই নদীর ধারে বসে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার মাধ্যমে চোখের আরাম ও মনের শান্তি উভয়ই পাওয়া যাবে। যেহেতু এই নদী বা তার পার্শ্ববর্তী এলাকা সম্পর্কে কেউই খুব একটা জানেন না তাই এখানে জনসমাগম তেমন হয় না।
কলকাতা শহর থেকে খুব বেশি দূরে নয় এই কুলপি নদী। কলকাতা থেকে প্রায় ৭৫ কিলোমিটার দূরে রয়েছে এই স্থান। কলকাতা থেকে কুলপি নদীর ধারে পৌঁছোতে আনুমানিক ২ ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় লাগবে। কুলপি নদীর ধারে যাওয়ার জন্য ট্রেনে করে যেতে হবে। কলকাতা থেকে কাকদ্বীপগামী বা নামখানাগামী ট্রেনে উঠে নেমে পড়তে হবে কুলপি স্টেশনে। এই স্টেশন থেকে টোটো করে প্রথমে যেতে হবে কুলপি মোড়, তারপর আবার টোটো করেই কুলপি নদীর তীরে যাওয়া যাবে।
নামখানা লোকাল বা কাকদ্বীপ লোকাল বা নামখানা গ্যালোপিং লোকালে চড়ে কুলপি স্টেশন যাওয়া যাবে। এই স্থানে নদীর তীরে চুপচাপ বসে সময় কাটানোর পাশাপাশি পিকনিক স্পট হিসেবেও এই স্থান আদর্শ। তবে এই স্থান পরিচিত না হওয়ার কারণে এখানে থাকার জায়গা বা খাবারের দোকানের সংখ্যা খুব কম রয়েছে। তাই এখানে যাওয়ার সময় নিজেদের সঙ্গে করে পর্যাপ্ত খাবার ও পানীয় জল নিয়ে যেতে হবে। এই স্থানে যাওয়া-আসা মিলিয়ে খুব বেশি হলে ১০০-১৫০ টাকা খরচ হতে পারে। কুলপি নদীর ধার ছাড়াও এখানে একটি নাম না জানা ছোট দ্বীপজাতীয় জায়গার দেখা মিলবে।