চিনাম্যান চ্যাংচুং
ধোঁয়া ওঠা মোমো, পর্ক প্যাটিস, পর্ক কুকিজ দিয়ে ব্রেকফাস্ট সারতে চান? তাহলে ভোর থাকতেই সটান চলে যান টেরিটি বাজারে। এখানে গেলে মনে হবে চিনের কোনও প্রদেশে এসে পড়েছেন। অথচ চিনাম্যানরা সবাই বাংলাভাষী। ব্রেকফাস্টের পর এলাকাটি ঘুরে দেখুন। সেই ১৭৮০ সাল থেকে কলকাতার সঙ্গে চিনাদের যে সম্পর্ক তা বুঝতে পারবেন। এখানে বাংলা-চিনি ভাই ভাই।
এশিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন ট্রামলাইন রয়েছে কলকাতাতেই। একটা সময় এই ট্রামের রমরমা বাজার ছিল। গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে না পেরে তাতে ঘাটতি পড়েছে। তবে সখ করে ট্রামে চড়ার লোকের সংখ্যাও মন্দ নয়। সামান্য ভাড়ায় কলকাতা ঘুরতে গেলে ট্রামের বিকল্প নেই। ট্রামের জানালা দিয়ে তিলোত্তমার রোজনামচা দেখাটাও একটা অ্যাডভেঞ্চার।
উত্তর কলকাতায় ঢুঁ যখন দেবেনই তখন শহরের বইপাড়াটা দেখতে ভুলবেন না যেন। বাসস্টপের নাম কলেজস্ট্রিট। আর সেখানে গেলে বিশ্বের যে কোনও প্রকাশনার বই পেয়ে যাবেন তুলনামূলক কমদামে। শুধু বই, লেখক আর প্রকাশনা সংস্থার নামটা বলে দিতে হবে। পুরনো নানা দুর্লভ বইয়ের সন্ধানও মিলবে এখানে।
কলকাতার অন্যতম উল্লেখযোগ্য জায়গার নাম শুনলে অবাক হতে পারেন। আর ভক্তদের মুখে ফুটতে পারে চওড়া হাসি। শহরের কুষ্টিয়া রোডে রয়েছে একটি মন্দির। মন্দিরের আরাধ্য দেবতা বলিউড মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চন। নিত্যদিন তাঁর মূর্তি পুজো করেন ভক্তরা। গুরুপূর্ণিমার দিন সেখানে চলে মহা উৎসব।