মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের টাকা ফেরত দেয়ার বিষয়ে নিশ্চয়তা না পেলে, সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, বায়রাকে বলেছি, কর্মীরা যে যত টাকা দিয়েছে, সেই টাকা পাওয়ার পর তারা অ্যাগ্রিমেন্ট ( চুক্তিপত্র) সই করবে, যে আমরা টাকা পেয়েছি। এরপর সেই লিস্ট বায়রা আমাদের কে পাঠাবে। কর্মীদের সম্পূর্ণ টাকা ফেরত দিতে না পারলে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর অফিস কক্ষে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত হাজনাহ মোহাম্মদ হাশিম এর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মালয়েশিয়া যেতে না পারা শ্রমিকদের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরি বলেন, বায়রা আমাদের জানিয়েছে, যেতে না পারা ৭০% শতাংশ কর্মীকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে। তবে ঠিক কতজন কর্মী টাকা পেয়েছে এখনই এটা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছিনা। বায়রা থেকে কর্মীদের টাকা দেয়ার লিস্ট দিলে তখন জানা যাবে কতজন মানুষ টাকা পেয়েছে।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার কবে নাগাদ খুলতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়া সরকারের কাছে যেতে না পারা কর্মীদের বিষয়ে চিঠি লিখেছি। আগামী মাসের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিং আছে, শ্রমবাজার কবে খুলবে তখন জানা যাবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমরা বিদেশে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছি। এরজন্য কর্মীদের দক্ষ করে জনশক্তিতে রূপান্তর করে বিদেশে পাঠাতে হবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত ইস্যুতে বাংলাদেশিদের শাস্তির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে দেশে বসবাস করবে সে দেশের আইন সম্পর্কে তাদের সচেতন থাকা উচিত। দুবাইয়ে আন্দোলন করে প্রবাসীরা আইন অমান্য করে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এজন্য তাদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত প্রবাসীদের ব্যাপারে আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করব না। এটি তাদের রাষ্ট্রীয় বিষয়।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বিদেশগামী যেসব কর্মীদের ফ্লাইট বাতিল হয়েছে তারা সবাই গন্তব্য দেশে চলে গেছে। এখন আর কোনো ফ্লাইট বাতিল হওয়া কর্মী বাকি নেই।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: রুহুল আমিন, বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফরসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।