লেবার পুলে কর্মী সংকট থাকায় নতুন নিয়োগ দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কুইবেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে। কুইবেকের নিয়োগদাতাদের সর্ববৃহৎ সংগঠন সিপিকিউয়ের হিসাব বলছে, প্রদেশে বর্তমানে ১ লাখ ৫০ হাজার পদ খালি আছে। যদিও এখানে বেকারত্বের হার মাত্র ৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং কানাডার মধ্যে এটাই সর্বনি¤œ। এই কর্মী সংকট অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে সত্যিই ঝুঁকিতে ফেলছে বলে মনে করেন সিপিকিউয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেনিস হামেল।
সিপিকিউ প্রকাশিত এক সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, সংগঠনের ৯৪ শতাংশ সদস্য নতুন কর্মী নিয়োগে হিমশিম খাচ্ছে এবং কুইবেকের অর্ধেকের বেশি বৃহৎ নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানকে কর্মী সংকটের কারণে চুক্তি বাতিল করতে হচ্ছে।
মন্ট্রিয়লে পলিকার নামে একটি প্লাস্টিক প্যাকেজিং ম্যানুফ্যাকচারিং কারখানা পরিচালনা করেন আমির করিম। নতুন কর্মী পাওয়াটাকে এখন বড় চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমাদের কারিগরী ও প্রশাসনিক দুই ধরনের কাজই আছে। এ কাজে নতুন কর্মী পাওয়া দিনদিন কঠিন হয়ে পড়ছে।
এ অবস্থায় অধিক সংখ্যক বিদেশি কর্মী যাতে নিয়োগ দেওয়া যায় সেজন্য অভিবাসনের সুযোগ বাড়াতে আইন প্রণেতার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। পাশাপাশি প্রশিক্ষণের জন্য আরও বেশি তহবিল সৃষ্টি ও বেতনের ওপর কর কমানোর পক্ষেও সওয়াল করেন তারা। কানাডিয়ান ফেডারেশন অব ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিজনেসের ফ্রাসোয়াঁ ভিনসেন্ট বলেন, বেতন বৃদ্ধি ও প্রশিক্ষণের জন্য অর্থ এক্ষেত্রে বেশি কার্যকর হবে।
এ কর্মী কুইবেকের পর্যটন থেকে উৎপাদন সব খাতেই দৃশ্যমান। কুইবেক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ভেরোনিক প্রোক্স বলেন, সরকার যখন এই দেড় লাখ পদ পূরণের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে তখন সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া উচিত উৎপাদন খাতের জন্য উপযোগী কর্মীদের প্রতি, যারা যথেষ্ট পরিমাণ মূল সংযোজন করতে পারবেন এবং অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করবে।