শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজার ভ্রমণ

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৪

গেলাম আর ঘুরে এলাম, এভাবে কক্সবাজার দেখার সময় শেষ। এখন কক্সবাজার আবিষ্কারের সময়। কক্সবাজার ভ্রমণ বলতে এখন শুধু কলাতলী বা লাবণী পয়েন্টে দাঁড়িয়ে সাগর দেখা বোঝায় না। কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার অবিচ্ছিন্ন সমুদ্রসৈকতও এখন কক্সবাজার ভ্রমণের অন্তর্গত। এই পুরো এলাকায় দেখার আছে অনেক কিছু। এ ছাড়া টেকনাফের সাবরাং ও মহেশখালীর সোনাদিয়ায় ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরির কাজ চলছে। আছে মহেশখালী দ্বীপ। এ সবকিছুই কক্সবাজার ভ্রমণের মধ্যে পড়ে এখন।

কক্সবাজার শুধু দীর্ঘ বালুকাময় সৈকতের জন্যই বিখ্যাত নয়; এখানে আছে বন, পাহাড়, খাল-নদী, ঝিরি-ঝরনা, বন্য প্রাণী, পাখপাখালি এবং সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য। একই সঙ্গে পাহাড় ও সাগর দেখার সুযোগ আছে এখানে।

এক দশক আগেও কক্সবাজার ছিল শুধু শীতের পর্যটন এলাকা। সে দিন বদলেছে। তবে এখনো সৈকতের কয়েকটি পয়েন্ট ছাড়া নিরাপত্তা ও সুযোগ-সুবিধার ঘাটতি থাকায় পর্যটকেরা নিরাপদে ঘুরতে পারেন না।

এই পর্যটন নগরীতে সড়ক, রেল, আকাশ ও জলপথে এসেছে পরিবর্তন। গত বছরের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম ও ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ শুরু হয়েছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার কাজও প্রায় শেষের পথে। এই বিমানবন্দরে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সমুদ্রে সম্প্রসারণ করা হয়েছে রানওয়ে।

কোথায় বেড়াবেন
কক্সবাজার শহরের কলাতলী মোড় থেকে শুরু হয়েছে ৮৪ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়ক। পাহাড় ও সাগর ভাগ করে যাওয়া এই সড়ক দিয়ে গেলে বন্য প্রাণী ও পাখপাখালির হাঁকডাক, সমুদ্রের সারি সারি মাছ ধরার ট্রলার, ঝাউবন ও সামুদ্রিক প্রাণীর বিচরণ পর্যটকদের বিমোহিত করে। চলতি পথে ঘুরে দেখা যায় দরিয়ানগর পর্যটনপল্লি, হিমছড়ির জাতীয় উদ্যান, ছড়া ও ঝরনা।

এরপর পড়ে প্যাঁচার দ্বীপ, ইনানী ও পাটুয়ারটেক পাথুরে সৈকত। আরেকটু এগিয়ে গেলে দেখা যাবে বাহারছড়ার গগনচুম্বী শতবর্ষী গর্জন বাগান ও টেকনাফ সৈকত।

কক্সবাজারের পাশেই রয়েছে মহেশখালী দ্বীপ। দেশের বৃহৎ রামু রাবারবাগান, চকরিয়ার ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক, ঘুমধুম কুমির প্রজননকেন্দ্র, লবণের মাঠ, চিংড়ি ও দিগন্ত ছোঁয়া মাছের ঘের, দেশের বৃহত্তম রামুর বুদ্ধমূর্তি এবং বৌদ্ধ সংস্কৃতির বিভিন্ন স্থাপনা।
এ ছাড়া দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিনও এক ট্যুরে ঘুরে যাওয়া যায় কক্সবাজারে এলে।

কীভাবে যাবেন
ঢাকার যেকোনো বাসস্ট্যান্ড থেকে অন্তত ৩০টি প্রতিষ্ঠানের এসি ও নন-এসি বাসে সরাসরি কক্সবাজারে যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে

কক্সবাজার এক্সপ্রেস ও পর্যটন এক্সপ্রেস 
নামে দুটি ট্রেন চলাচল করে। পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকে একটি বিশেষ ট্রেন চলছে কক্সবাজার পর্যন্ত। আকাশপথে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে প্রতিদিন বিমান যাতায়াত করে।

কোথায় থাকবেন ও খাবেন
কক্সবাজার শহরের কলাতলী পর্যটন জোন এবং মেরিন ড্রাইভ সড়কে বিভিন্ন মানের অনেক হোটেল, রিসোর্ট, কটেজ ও গেস্টহাউস রয়েছে। এই এলাকায় অন্তত ১ হাজার ২০০ রেস্তোরাঁ আছে। কক্সবাজারে যাওয়ার আগে হোটেল কক্ষ বুকিং দিয়ে যাওয়া ভালো।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com