এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে বিষাক্ত বিচ্ছুর কামড় খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এক নারী যাত্রী। ভারতের নাগপুর থেকে মুম্বাইগামী ফ্লাইটে মাঝ আকাশে এ ঘটনা ঘটে।
ফ্লাইট অবতরণ করতেই ছুটে আসেন চিকিৎসক। হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয় ওই নারীকে। আপাতত তিনি সুস্থ। তবে এভাবে এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটে বিচ্ছু এলো কোথা থেকে তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন।
এ ঘটনায় বিবৃতি দিয়েছে এয়ার ইন্ডিয়া। বিবৃতিতে বলা হয়, গত ২৩ এপ্রিল এআই৬৩০ ফ্লাইটের এক যাত্রী বিচ্ছুর দংশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। প্রোটোকল মেনেই সমস্ত ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ। ওই ফ্লাইটে তল্লাশি করা হয়। বিচ্ছুর খোঁজও মেলে। এরপর ফ্লাইটটি ফিউমিগেশন (জীবাণুমুক্ত) করা হয়েছে ।
এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে ক্যাটারিং বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা যেন ড্রাই ক্লিনিংয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তদের জানিয়ে দেন ছারপোকা ও এ জাতীয় কোনো সমস্যা আছে কিনা ভাল করে দেখে নিতে হবে। প্রয়োজনে তারাও যেন ফিউমিগেশন করিয়ে নেয়।
কর্তৃপক্ষের ধারণা, ক্যাটারিং ও ড্রাই ক্লিনার্সরা যাত্রীদের সেবা দেওয়ার সময় তাদের সঙ্গেই এ ধরনের বিষাক্ত প্রাণী চলে আসতে পারে। তাই সাবধান থাকতে হবে সব দিক থেকে। রেকর্ড অবশ্য বলছে, এর আগেও বিমানে সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীর দেখা পাওয়া গিয়েছিল।
এর আগে গত ডিসেম্বরে এয়ার ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেস প্লেনের কার্গো হোল্ডে সাপের দেখা পাওয়া গিয়েছিল। বিমানটি কালিকট থেকে দুবাই যাচ্ছিল। দুবাই অবতরণের পরই দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। সাপের হদিস মিলতেই আগে ধীরে ধীরে যাত্রীদের বিমান থেকে নামানো হয়েছিল।
তখন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, যারা গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং করেন, তাদের গাফিলতিতেই এই অবস্থা। যদিও এই ঘটনার জেরে দুবাই বিমানবন্দরে ৭ ঘণ্টা আটকে থাকতে হয় যাত্রীদের। সেই ভোগান্তির কথা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ারও করেছিলেন একজন। কিন্তু বার বার এ ধরনের ঘটনা এয়ার ইন্ডিয়ার মতো সংস্থার যাত্রী-নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অনেকের মনেই।