ভারতের ইতিহাসের অন্যতম মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন লন্ডনপ্রবাসী ভারতীয় যুবক অর্জুন মনুভাই পাটলিয়া। স্ত্রীর শেষ ইচ্ছে পূরণ করতে ভারতে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই ইচ্ছেই যেন পরিণত হলো তাঁর জীবনের শেষ অধ্যায়ে।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে প্রয়াত হয়েছিলেন অর্জুনের স্ত্রী, ভারতীবেন। মৃত্যুর আগে তাঁর শেষ অনুরোধ ছিল— যেন তাঁর অস্থি নিজ দেশে, গুজরাটের নদীতে বিসর্জন করা হয়। সেই শেষ ইচ্ছা পূরণ করতেই তিনি ফিরে এসেছিলেন গুজরাটের আমরেলি জেলার পৈত্রিক বাড়িতে। আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে শেষবারের মতো দেখা করে, স্ত্রীর অস্থি বিসর্জন দিয়ে ফিরছিলেন লন্ডনে। আর ফেরা হল না।
বৃহস্পতিবার আহমদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি উড়ানোর পাঁচ মিনিটের মাথায় ভেঙে পড়ে। আর সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাতেই প্রাণ হারান ৩৬ বছর বয়সি অর্জুন। তাঁর জন্য অপেক্ষায় ছিল লন্ডনের বাড়িতে থাকা তাঁর দুই কন্যা— একজন চার, আরেকজন আট বছরের। ভাইপোর কাছে রেখে এসেছিলেন তাঁদের। কিন্তু সেই অপেক্ষা আর শেষ হলো না।
এই দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ২৬৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিমানটিতে ছিলেন ২৪২ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু। শুধুমাত্র একজন যাত্রী— বিশ্বাসকুমার রমেশ— অলৌকিকভাবে প্রাণে বেঁচে গেছেন।
দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত করছে ডিজিসিএ ও এএআইবি। যদিও উদ্ধারকাজ কঠিন হয়ে উঠেছে ব্যাপক ধ্বংসস্তূপ ও আগুনের কারণে। ব্ল্যাকবক্স উদ্ধারের চেষ্টাও চলছে।