দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল শহরে প্রতি বছর কয়েক হাজার মানুষ একাকী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মূলত মধ্যবয়সী পুরুষদের মধ্যে এই ‘গোদোকসা’ নামে পরিচিত একাকী মৃত্যুর ঘটনা বেশি ঘটে। এ সমস্যা মোকাবিলায় আগামী পাঁচ বছরে ৪৫১.৩ বিলিয়ন উয়ন (প্রায় ৩২৭ মিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে সিউল কর্তৃপক্ষ। তাদের লক্ষ্য, ‘একটি এমন শহর গড়ে তোলা যেখানে কেউ একা নয়।’
সিউলের মেয়র ওহ সে-হুন জানিয়েছেন, একাকীত্ব এবং বিচ্ছিন্নতা কেবল ব্যক্তিগত সমস্যা নয়। এটি সমাজের জন্য সমাধানযোগ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। তার মতে, যারা একাকীত্ব অনুভব করছেন তাদের সমাজে পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য সকল নাগরিক সুবিধা ব্যবহার করা হবে।
এছাড়া, শহরটি মানসিক সেবার প্রসার, সবুজ স্থান বৃদ্ধি, পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ এবং একটি বিশেষ অনুসন্ধান ব্যবস্থা চালু করবে। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে যারা সাহায্য প্রার্থনা করছেন, তাদের খুঁজে বের করা সহজ হবে। পাশাপাশি, মানুষকে বাইরে আসার এবং সামাজিক সম্পৃক্ততায় অংশগ্রহণের জন্য খেলা, উদ্যান, বই ক্লাবসহ বিভিন্ন ধরনের সামাজিক কার্যক্রমও থাকবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার স্বাস্থ্য ও কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২৩ সালে ৩,৬৬১ জনের একাকী মৃত্যু হয়েছে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৩,৫৫৯ এবং ২০২১ সালের ৩,৩৭৮ জন। সেই তুলনায় ২০২৩ সালে একাকীত্বজনিত কারণে উল্লেখযোগ্যভাবে মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।