অ্যাপল কিংবা মাইক্রোসফটের নাম শোনেনি, আজকাল এমন মানুষ পাওয়া ভার। সেই তুলনায় এনভিডিয়া কিছুটা কম পরিচিত কোম্পানি। কম্পিউটার, গেমিং, গ্রাফিকস কার্ড নিয়ে যাদের মোটামুটি জানাশোনা আছে, তাদের কাছেই এনভিডিয়ার নামটি বেশি পরিচিত।
অ্যাপল-মাইক্রোসফটকে পেছনে ফেলে গত মঙ্গলবার বিশ্বের সবচেয়ে দামি কোম্পানির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে এনভিডিয়া। এরই সঙ্গে আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন এনভিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহীর সম্পদও। এক দিনেই তার সম্পদ বেড়েছে ৪৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
সুসময়ের হাওয়া লেগেছে টেক জায়ান্ট এনভিডিয়ার পালে। হু হু করে বাড়ছে কোম্পানির শেয়ারের দর। আর তার জেরে ফুলেফেঁপে উঠেছে এনভিডিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহীর সম্পদও। গত কয়েকদিনে রীতিমতো আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছেন তিনি। গত মঙ্গলবার এক দিনেই অন্তত ৪০০ কোটি ডলার সম্পদ বেড়েছে এনভিডিয়ার সিইও জেনসেন হুয়াংয়ের। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৪৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
এর ফলে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় আরও এগিয়ে গেছেন এনভিডিয়া সিইও। ফোর্বসের বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুসারে, এই মুহূর্তে বিশ্বের ১১তম শীর্ষ ধনী জেনসেন হুয়াং। তার বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ১১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। অথচ ২০১৯ সালে এই তালিকায় ৫৪৬তম ছিলেন হুয়াং। পরের পাঁচ বছরে তার সম্পদ বেড়েছে ১১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের বেশি। এই সময়ে তার সম্পদ বৃদ্ধির হার ছিল ২ হাজার ২৫০ শতাংশ।
২০২৩ সালের শেষে ধনীর তালিকায় ৭৬তম ছিলেন হুয়াং। ওই সময় তার মোট সম্পদ ছিল ২ হাজার ১০০ কোটি ডলার। এরপর থেকেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে তার সম্পদ। চিপ নির্মাতা কোম্পানি এনভিডিয়ার ৩ দশমিক ৫ শতাংশ শেয়ার থেকেই বেশিরভাগ সম্পদ অর্জন করেছেন ৬১ বছর বয়সী এই ব্যবসায়ী।
১৯৯৩ সালে অন্য দুই পার্টনারের সঙ্গে মিলে এনভিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রিধারী জেনসেন হুয়াং। শুরু থেকেই কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী এবং সভাপতির পদে রয়েছেন তিনি। ১৯৯৯ সালে পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয় এনভিডিয়া। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হু হু করে বাড়তে দেখা গেছে কোম্পানিটির শেয়ারের দর।
চলতি মাসের শুরুর দিকেই বাজারমূল্যে অ্যাপলকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল এনভিডিয়া। গত মঙ্গলবার এর শেয়ারের দাম ৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ১৩৬ ডলারে পৌঁছায়। এর ফলে টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফটের চেয়েও দামি কোম্পানি হয়ে ওঠে তারা। বর্তমানে এনভিডিয়ার বাজারমূল্য ৩ লাখ ৩৪ হাজার কোটি মার্কিন ডলার, যা চলতি বছরের শুরুর দিকে থাকা দামের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মাইক্রোসফটের বর্তমান বাজারমূল্য ৩ লাখ ৩২ হাজার কোটি ডলার এবং অ্যাপলের বাজারমূল্য ৩ লাখ ২৯ হাজার কোটি ডলার।