বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৬ অপরাহ্ন

এ সময়ের সবচেয়ে বড় ধনকুবের জেফ বেজস

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩

ফোর্বস ম্যাগাজিন ২০১৮ সালের বিলিয়নেয়ারদের যে তালিকা প্রকাশ করে তাতেও প্রথম স্থানে ছিলেন অ্যামাজনের সিইও জেফ বেজস। তাঁর সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করা হয় ১১২ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় স্থানে থাকা মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের সম্পদ ছিল ৯০ বিলিয়ন ডলার।

তবে ব্লুমবার্গ নিউজ বিলিয়নেয়ারদের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে সবাইকে ছাড়িয়ে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন জেফ বেজস। গত সপ্তাহের হিসাব পর্যন্ত তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১৫০ বিলিয়ন ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বিল গেটসের সম্পদ ৯৫.৩ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ অদূর ভবিষ্যতে জেফ বেজসকে ধরা কারো জন্যই সহজ হবে না।

আ র সে কারণেই এ ধনকুবেরকে আধুনিক ইতিহাসের শীর্ষ ধনী হিসেবে ঘোষণা করেছে ব্লুমবার্গ। তবে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে অন্যান্য বিলিয়নেয়াররা যেভাবে দান করেন বেজস সেভাবে দান করেন না। আর সে কারণেই তাঁর অর্থ জমে আছে।

এর মধ্যে বিল গেটস ও ওয়ারেন বাফেটসহ টেলসার সিইও এলন মাস্ক, নেটফ্লিক্সের সিইও রিড হাস্টিংস সবাই ‘গিভিং প্লেজ’ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। এ চুক্তির মানে এসব ধনকুবের তাঁদের জীবদ্দশায় আয়ের সিংহভাগ অর্থ মানুষের কল্যাণে দান করবেন। বেজস এ চুক্তি স্বাক্ষর করেননি, এমনকি এর বাইরেও খুব একটা বেশি দান করেন না।

যদিও ২০১৭ সালের জুনে তিনি এক টুইটার বার্তায় ভক্তদের আহ্বান জানিয়েছেন তাঁকে সাময়িক দানের একটি পথ বাতলে দিতে। তিনি লেখেন, আমি আমার দানের অর্থ এখনই মানুষের জন্য ব্যয় করতে চাই, যেটি হবে সঙ্গে সঙ্গে এবং মানুষের জরুরি প্রয়োজন অনুযায়ী। তিনি সিয়াটলে ম্যারিস প্লেস এর উদাহরণ দিয়ে বলেন, সেখানে গৃহহীন মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

২০১৬ সালে অ্যামাজন ম্যারিস প্লেস এর এই কর্মকাণ্ডে অংশীদার হয়েছিল। একটি পুরনো হোটেলকে ২০০ পরিবারের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র করা হয়েছিল। যদিও পরবর্তী সময় এ আশ্রয়কেন্দ্র ভেঙে অ্যামাজনের নতুন অফিস করা হয়। তবে কম্পানি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ম্যারিস প্লেসকে একটি স্থায়ী জায়গা দেবে। ওই সময় বেজস নিজ থেকে এক মিলিয়ন ডলার দান করেছিলেন।

গত মাসে বেজস জানিয়েছেন, টুইট বার্তার পর তিনি ভক্তদের কাছ থেকে উৎসাহমূলক উত্তর পেয়ে দানের জন্য দুটি দিকে গুরুত্ব দেবেন। গৃষ্মের শেষে এ বিষয়ে তিনি ঘোষণা দেবেন। তবে বেজসের এ অবস্থানের সমালোচনা করে দানবিষয়ক পরামর্শক জ্যাক হ্যাইমেন বলেন, মানুষের সমস্যার সাময়িক সমাধান করা বা এ বিষয়ে টুইট করে পরামর্শ চাওয়া যৌক্তিক নয়।

সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে বেজস বলেছেন, আমি গৃহহারা মানুষকে সাহায্য করতে চাই। তাদের প্রশিক্ষণ দিয়ে যদি চাকরির ব্যবস্থা করেন তবে তাদের সমস্যার সঠিক সমাধান হবে।

ব্লুমবার্গ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com