পবিত্র হজের প্রস্তুতি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য উমরাহ হজের ভিসা দেওয়া এবং সবধরনের ভিসা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে সৌদি আরব।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশের এজেন্সিগুলোকে ই-মেইলের মাধ্যমে চিঠি (পিডিএফ) দিয়ে বিষয়টি অবগত করা হয়। চিঠিটি পাঠায় বাংলাদেশে উমরাহর ভিসা প্রদানকারী সৌদি প্রতিষ্ঠান দালিল আলমালিম ফর উমরাহ সার্ভিস।
ঢাকার মুসাফির হজ কাফেলা, ফরজ ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম এবং খানদানি হজ ট্রাভেলস ভিসা কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে গত তিন-চার দিন ধরে উমরাহ ভিসা ইস্যু করার ওয়েবসাইটে আবেদন করেও ভিসা নিতে পারছিল না বলে অভিযোগ করে হজ ও ট্রাভেল এজেন্সিগুলো। পরে বুধবার বাংলাদেশের এজেন্সিগুলোকে চিঠি দিয়ে এ কার্যক্রম বন্ধের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার কথা জানানো হয়।
চিঠিতে তারা উল্লেখ করেছে, প্রিয় এজেন্ট, ভিসা প্রসেসিং বন্ধ রয়েছে। আমরা বর্তমানে সুষ্ঠুভাবে হজ কার্যক্রম সম্পন্ন করার দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। গোটা উমরাহ হজের মৌসুমজুড়ে আমাদের সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ। আশা করি আগামী উমরাহ মৌসুমে আবারো আপনাদের কাছ থেকে আগের মতই সহযোগিতা পাব।’
উমরাহ ভিসা কার্যক্রম শুরুর তারিখ উল্লেখ না করলেও আরবি মহররম মাসের প্রথম সপ্তাহে (জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ) আবারো উমরাহ ভিসা কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজে যাওয়ার কথা। সে লক্ষ্যে গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন শুরু হয়। এর মধ্যে কোটা পূরণ না হওয়ায় নয় দফা বাড়ানো হয় নিবন্ধনের সময়। গত ২ মে শেষ দিন পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত ১৫ হাজার কোটার মধ্যে নিবন্ধন করেছেন ১০ হাজার ৩৯ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজারের মধ্যে নিবন্ধন করেছেন এক লাখ নয় হাজার ৪৪৭ জন। অর্থাৎ সরকারি ও বেসরকারি দুই ক্যাটাগরিতে মোট নিবন্ধন করেছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৪৮৬ জন।
এর মধ্যে হজযাত্রীদের সঙ্গে গাইড হিসেবে যাবেন দুই হাজার ৭১৫ জন। সরকারি ব্যবস্থাপনায় গাইড থাকবেন ২২৮ জন এবং বেসরকারিভাবে থাকবেন দুই হাজার ৪৮৭ জন। হজযাত্রী ও গাইডসহ মোট যাত্রী এক লাখ ২২ হাজার ২০১ জন। সে হিসাবে চার হাজার ৯৯৭টি কোটা ফাঁকা রয়েছে। এ ফাঁকা কোটা সৌদি সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত দেওয়া হয়েছে।