যারা উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপের সেনজেন ভুক্ত দেশে ভিসার জন্য অাবেদন করবেন তাদের জন্য কিছু পরামর্শ ।
প্রথমে আপনাকে জানতে হবে ইউরোপের সেনেজেন ভুক্ত কোন দেশে ভিসার দেওয়ার হার কেমন?
সুতরাং চলুন জেনে নেই :
১। নেদারল্যান্ড – যারা উচ্চশিক্ষার জন্য ইউরোপ যেতে চান তারা নেদারল্যান্ড কে বেঁছে নিতে পারেন। কারন নেদারল্যান্ড উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশী ছাত্র ছাত্রীদের শতভাগ ভিসা দেয়। । এবং বিশ্ববিদ্যালয়ই আপনার ভিসার ব্যবস্থা করে দিবে। সুতরাং নেদারল্যান্ডে পড়াশোনা করতে চাইলে ভিসা নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।
২। হাঙ্গেরি – বর্তমানে হাঙ্গেরিতে ভিসার হার খুবই ভালো। চলতি বছর হাঙ্গেরি দূতাবাস ৯৯.৯৯% ভিসা দিচ্ছে। সুতরাং আপনার কাগজপত্র ঠিক থাকলে কোনোরকম চিন্তা ছাড়াই হাঙ্গেরিতে উচ্চশিক্ষার জন্য অাবেদন করতে পারেন।
৩। মাল্টা : ইউরোপে একটা ছোট সুন্দর দেশ মাল্টা। এটি ইতালির পাশে অবস্থিত একটি সেনেজেন ভুক্ত দেশ। মাল্টাতেও ছাত্রছাত্রী দের বিশ্ববিদ্যালয় কৃতপক্ষ্য ভিসার ব্যবস্থা করে দেয়। সুতরাং ভিসা মিস হওয়ার সম্ভবনা খুব কম।
৪। লিথুনিয়া ও লাটভিয়া : লিথুনিয়া ও লাটভিয়া ইউরোপের ছোট দুইটা দেশ। কিন্তু ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে এরা খুব মহান।
লিথুনিয়া ও লাটভিয়াতে প্রায় ৯৯% ভিসা হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের।
৫। ফ্রান্স : একটা সময় ছিলো যখন ফ্রান্সের ভিসা পাওয়া অনেক কঠিন ছিলো। কিন্তু ২০১৭ সালে এসে ফ্রান্স ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে শিথিলতা বজায় রেখেছে। চলতি বছরে ফ্রান্স দূতাবাস বাংলাদেশিদের ৯০% ভিসা দিচ্ছে।
উপরের কয়টা দেশ বর্তমানে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার ব্যাপানে শিথিলতা বজায় রাখছে। এছাড়া আর দেশগুলো ভিসা দেওয়ার ব্যাপারে কড়াকড়ি ভাব বজায় রাখছে।
সুতরাং উপরের দেশগুলোতে যদি আপনি ভিসার জন্য অাবেদন করতে চান তাহলে কিভাবে সহজে ভিসা পেতে পারেন সে বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিচ্ছি।
১। ভুয়া কাগজপত্র : কোনো ভুয়া কাগজপত্র দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। কারন আপনি ভাবতে পারেন ভুয়া কাগজপত্র দিলে দূতাবাস সেটা ধরতে পারবে না। আপনি যদি এরকম ভাবেন তাহলে আপনার ধারনা একদম ভূল। দূতাবাস খুব সহজে আপনার ভুয়া জাল কাগজপত্র ধরে ফেলবে।
২। ব্যাংক স্টেটমেন্ট : ব্যাংক ব্যালান্সের ব্যাপারে খুব সাবধান হবেন। কারন দূতাবাস ভিসা দেওয়ার আগে আপনার ব্যাংক স্টেটমেন্ট কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিবে। সুতরাং যদি ব্যাংক ব্যালান্স সর্বনিম্ন দশ লক্ষ টাকা চায় তাহলে আপনি ১৫ লক্ষ টাকা দেখাবেন।
এবং আগে থেকেই নিয়মিত লেনদেন করবেন যাতে ট্রানজেকশন দেখাতে পারেন। কখনো ব্যালান্স ০ করবেন না আবার কখনো একবারে ১০ লক্ষ টাকা ব্যাংকে রাখবেন না। আস্তে অাস্তে ১ থেকে ২ লক্ষ টাকা করে ব্যাংকে রাখবেন। আবার ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ পরিমাণ করে ব্যাংকে জমা করবেন।
৩। ইনকাম সোর্স : আপনার ব্যাংকে যে টাকা এটা কোথা থেকে আসলো ? আপনার আয়ের উৎস কি? আপনি বা আপনার স্পনসর কি করে? এটার একটা ভালো প্রামাণ লাগবে।
যেমন, ব্যবসা থাকলে তার লাইসেন্স বা ট্রেড লাইস্যান্স। চাকরি করলে তার প্রমাণ সরূপ যেকোনো ডকুমেন্ট।
এবং আরো কয়েকটা ব্যবসা দেখাবেন। ব্যবসা না থাকলে প্রোপার্টি বা সম্পদ দেখাবেন। এগুলা খুব সহজেই কম টাকার বিনিমেয় করা যায়।
ভিসা ইন্টারভিউ :
ভিসা ইন্টারভিউ এর সময় আপনাকে যা প্রশ্ন করবে তা আপনি উওর দিবেন খুব স্বাভাবিক ভাবে । কোনো মিথ্যা বলবেন না। ইউনিক কিছু বলার চেষ্টা করবেন।
লেখক: মেহেদী হাসান