ইউরোপ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চশিক্ষার অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। এখানে বিভিন্ন দেশের শিক্ষাব্যবস্থা, সংস্কৃতি এবং জীবনযাত্রার মান আলাদা। নিচে কয়েকটি দেশ এবং তাদের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো:
ফিনল্যান্ড তার উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, জীবনযাত্রার মান এবং সহজ পিআর (পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি) প্রক্রিয়ার জন্য পরিচিত।
এখানে অনেক বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
জয়েন্ট অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ১০০ ইউরো ফি দিতে হয়।
আবেদনের সময় সাধারণত জানুয়ারির ৫ থেকে ১৯ তারিখ পর্যন্ত থাকে, তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের (যেমন: আল্টো ইউনিভার্সিটি, হেলসিঙ্কি ইউনিভার্সিটি) সময়সূচি ভিন্ন হতে পারে।
টিউশন ফি কিছুটা বেশি হলেও, ভালো ফলাফল ও সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে ৫০-১০০% পর্যন্ত স্কলারশিপ পাওয়া সম্ভব।
বর্তমানে ফিনল্যান্ডে চাকরির বাজার কিছুটা কঠিন, তাই ৮-১২ মাসের খরচ বহন করার মতো আর্থিক প্রস্তুতি রাখা ভালো।
ডেনমার্কে বিশ্বের সেরা কিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
বিজ্ঞান বিষয়ের টিউশন ফি তুলনামূলকভাবে বেশি।
স্বামী/স্ত্রী সঙ্গে থাকলে খরচ কিছুটা কমে আসে।
এখানেও চাকরির বাজার কঠিন হচ্ছে।
বেলজিয়াম ইউরোপের একটি ভালো বিকল্প।
টিউশন ফি ৯০০-৫০০০ ইউরোর মধ্যে থাকে।
সঠিক কাগজপত্র থাকলে ভিসার প্রক্রিয়া সহজ।
উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়: গেন্ট ইউনিভার্সিটি, ইউহাসেল্ট, ভিইউবি।
একসময় ইতালিতে অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা নিতে যেতেন।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভিসা প্রক্রিয়া কিছুটা কঠিন ছিল, তবে বর্তমানে উন্নতি দেখা যাচ্ছে।
এখানে কম খরচে ভালো বিষয়ে পড়া সম্ভব এবং স্কলারশিপের সুযোগও রয়েছে।
জার্মানির নিকটবর্তী এই দেশে ভালো কিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
আইটি এবং কম্পিউটার সায়েন্সের মতো বিষয়ে পড়াশোনার জন্য এটি উপযুক্ত।
কম খরচে মাস্টার্স করা যায় এবং পড়াশোনা শেষে চাকরির সুযোগ ভালো।
উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়: মাসারিক ইউনিভার্সিটি, ব্রনো ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি, চেক ইউনিভার্সিটি অফ লাইফ সায়েন্সেস।
জার্মানি উচ্চশিক্ষার জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়।
ভিসা প্রক্রিয়ায় কিছুটা দীর্ঘ সময় লাগতে পারে।
ওয়েবসাইট: [ভুল URL সরানো হয়েছে]
নেদারল্যান্ডসের শিক্ষাব্যবস্থা এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত, তবে টিউশন ফি বেশি।
এখানে অল্পসংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন।
ভালো একাডেমিক ফলাফল এবং আইইএলটিএস ৬.৫ থাকলে ইউনিভার্সিটি অফ আইসল্যান্ডে টিউশন ফি ছাড়া পড়া যায়।
ফ্রান্সের ভিসা প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল, তবে টিউশন ফি কম এবং স্কলারশিপের সুযোগ আছে।
উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়: ইউনিভার্সিটি অফ প্যারিস-স্যাকলে, সেইন্ট-অবিন, ইউনিভার্সিটি দে প্যারিস।
সুইডেন সুন্দর এবং পরিপাটি একটি দেশ।
এখানে বিশ্বমানের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
ভালো একাডেমিক ফলাফল এবং আইইএলটিএস স্কোর থাকলে চেষ্টা করা যেতে পারে।
সাবজেক্ট রিলেটেড দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে এসআই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করা যায়।
পোল্যান্ডে অনেক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন।
এখানে টিউশন ফি এবং জীবনযাত্রার খরচ তুলনামূলকভাবে কম।
উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়: ইউনিভার্সিটি অফ ওয়ারশ, ওয়ারশ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি।