এশিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে চমৎকার ও ঐতিহাসিক বেশ কিছু দুর্গ আছে। যার বেশিরভাগই ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় আছে। এগুলোর কাঠামো ও সৌন্দর্য সবাইকে মুগ্ধ করে। একই সঙ্গে দুর্গের অতীতের নিদর্শন দেয়।
এসব দুর্গ অতীতে রাজ্য প্রশাসনের শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হত। বর্তমানে এসব দুর্গ পর্যটকদের কাছে এক বিশাল আকর্ষণ। চলুন তেমনই কয়েকটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় থাকা দুর্গ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
উত্তর প্রদেশের আগ্রায় অবস্থিত, এই ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানটি ১৭ শতকের মাঝামাঝি পর্যন্ত মুঘল সম্রাটদের প্রধান বাসস্থান ছিল।
এই দুর্গে জাহাঙ্গীর প্রাসাদ, খাস মহল, দিওয়ান-ই-খাস ও মুসামান বুর্জের মতো কাঠামোসহ অত্যাশ্চর্য স্থাপত্যের বৈশিষ্ট্য আছে। আগ্রা ফোর্ট তাজমহল থেকে মাত্র ২.৭ কিলোমিটার দূরে।
ভারতের বৃহত্তম দুর্গ এটি। এর অবস্থান রাজস্থানে। এটি ঐতিহাসিক যুদ্ধ ও রানী পদ্মিনীর কিংবদন্তির জন্য পরিচিত। দুর্গটিতে রানা কুম্ভ প্রাসাদ, বিজয় স্তম্ভ (বিজয় টাওয়ার) ও কীর্তি স্তম্ভের (খ্যাতির টাওয়ার) মতো দুর্দান্ত সব কাঠামো আছে।
হলুদ বেলেপাথরের কারণে সোনার দুর্গ নামে পরিচিত এটি। এর অবস্থান রাজস্থানে। এই দুর্গের ভেতরে এখনো উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যা বসবাস করে। এই দুর্গের মধ্যেই আছে প্রাসাদ, মন্দির ও আবাসিক এলাকা।
১৮ শতকের শেষের দিকে নির্মিত, সুওন দুর্গটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী এক স্থান। এটি সেই সময়ের ঐতিহ্যবাহী কোরিয়ান ও আধুনিক স্থাপত্যের এক নির্দশন।
লায়ন রক নামেও পরিচিত এটি। এই প্রাচীন পাথরের দুর্গটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে বিবেচিত। পঞ্চম শতাব্দীতে রাজা কস্যাপ দ্বারা নির্মিত এই দুর্গে আছে একটি প্রাসাদ, বাগান ও ফ্রেস্কোর অবশিষ্টাংশ।
শাহী কিলা নামে পরিচিত পাকিস্তানের লাহোর ফোর্ট। লাহোরের এই দুর্গ ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এখানে আছে শিশ মহল (আয়নার প্রাসাদ) ও আলমগিরি গেট। যা মুঘল যুগের সমৃদ্ধ ইতিহাসকে প্রতিফলিত করে।
পর্তুগিজরা গল ফোর্ট নির্মাণ করলেও পরে ডাচরা এর সম্প্রসার ঘটায়। ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের এই সাইট শ্রীলঙ্কার গালে শহরে অবস্থিত। গল ফোর্টে আছে এর প্রাচীর, দুর্গ ও ঔপনিবেশিক ভবন আছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া