২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে ১ হাজার ৩১২ জন আশ্রয়প্রার্থী ইউরোপের দেশ রোমানিয়ায় আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছেন। এদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন বাংলাদেশিরা।
গত ৮ আগস্ট রোমানিয়া জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত রোমানিয়ায় ১ হাজার ৩১২টি আশ্রয়-আবেদন নিবন্ধন করা হয়েছে। আশ্রয় আবেদনকারীদের মধ্যে শীর্ষে আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়া থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীরা। তারা ৩২৯টি সুরক্ষা আবেদন করেছেন। যা মোট আবেদনের ২৫ দশমিক এক শতাংশ।
দ্বিতীয় অবস্থানে আছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপাল। দেশটির নাগরিকরা প্রথম ছয় মাসে ১৫৫টি আবেদন করেছেন। অর্থাৎ ১১ দশমিক ৮ শতাংশ আবেদন নেপাল থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীরা জমা করেছেন।
প্রথম ছয় মাসে আশ্রয় আবেদন দায়েরের ক্ষেত্রে তৃতীয় অবস্থানে আছে বাংলাদেশিরা। ওই সময় ১১৩টি আবেদন জমা করেন বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসীরা। যা মোট আবেদনের ৮ দশমিক ৬ শতাংশ।
রোমানিয়া জানিয়েছে, বছরের প্রথম ছয় মাসে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক সুরক্ষার আবেদন জমা হয়েছে হাঙ্গেরি সীমান্তবর্তী তিমিসোয়ারা শহরে। এরপরই আছে রাজধানী বুখারেস্ট এবং গিউরগিউ শহরে।
দেশটি আরও জানিয়েছে, রোমানিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মোট ১ হাজার ১০০ জন আশ্রয়প্রার্থীকে রাখার সক্ষমতা রয়েছে। এ স্থানগুলো ছাড়াও আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষের আওতায় আরও ৩০০টি স্থান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলামের মাধ্যমে ৭১টি কন্টেনারে অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রোমানিয়ায় বৈধ ভিসা নিয়ে আসা ব্যক্তিরা অথবা অনিয়মিত অভিবাসীরা চাইলে আশ্রয় আবেদন করতে পারেন। তবে দেশটিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে এসে শরণার্থী মর্যাদা পাওয়ার হার একেবারেই কম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আশ্রয় আবেদনগুলো প্রত্যাখান করা হয়।
তবে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশ থেকে আসা আশ্রয়প্রার্থীরা ইনফোমাইগ্রেন্টসকে জানিয়েছেন, অনিয়মিত উপায়ে হাঙ্গেরি সীমান্ত পাড়ির চেষ্টা করা অভিবাসীরা সীমান্ত পুলিশের হাতে আটক হওয়ার পর জোরপূর্বক আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে নিবন্ধিত হতে তাদের বাধ্য করে।