রুমান চৌধুরী বাঙালি- আমেরিকান ড্যাটা সাইন্টিস্ট, বিজনেস ফাউন্ডার এবং এ্যাকসেচারের সাবেক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজৈন্সের প্রধান। তাঁর জন্ম ১৯৮০ সালে নিউইয়র্কের রকল্যান্ড কাউন্টিতে। তিনি আন্ডারগ্র্যাড লেভেলে পড়ালেখা করেন ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি বা এমআইটিতে। মেজর ছিল ম্যানেজমেন্ট সাইন্স ও পলিটিক্যাল সাইন্স। পরে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করেন স্ট্যাটিসটিক্স ও কোয়ান্টিটেটিভ মেথডস-এ। তারপর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, স্যানডিয়াগোা থেকে পলিটিক্যাল সাইন্সে পিএইচডি করেন।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে যখন বিশ্বজুড়ে আলোড়ন চলছে, তখন তিনি এর নৈতিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তার ধারণাকে গ্রহণ করছে এর ব্যবহারকারীরা।
২০২১ সালের ফেব্রæয়ারি থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তিনি টুইটারের ডিরেক্টর অব ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি টুইটারের মেশিন লার্নিং এথিক্স, ট্রান্সপ্যারেন্সি ও একাউন্টিবিলিটি টিমে ছিলেন।
রুমান চৌধুরী ২০১৭ সাল থেকে এ্যাকসেনচার কোম্পানিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সে কাজ করার সময় এআইএর নৈতিকতা নিয়ে সোচ্চার হন এবং নিজেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের এথিক্যাল বিষয়টি কেন জরুরী তা ব্যাখ্যা করে আলোচিত হন। যেহেতু তিনি পলিটিক্যাল সাইন্সে ডক্টরেট করেছেন, তাই বিভিন্ন কোম্পানি এবং সরকারী প্রতিষ্ঠান যখন এআই ব্যবহার করবে তখন এর এ্যালগরিদমের এথিক্যাল গভর্ন্যান্সের বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেয়ার অনুরোধ জানান। এর জন্য তিনি এ্যালান টিউরিং ইন্সটিটিউটে কাজ করার সময় ফেয়ারনেস টুল নামে একটি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেন যার মাধ্যমে এ্যালগরিদমের নানা তথ্য স্ক্র্যুটিনাইজ করা যাবে।
বিবিসি কর্তৃক প্রতি বছর বিশ্বের সেরা যে ১০০ নারীর তালিকা করা হয়, ২০১৭ সালে রুমান চৌধুরী তার একজন হন। ২০১৮ সালে ফোর্বস ম্যাগাজিন কর্তৃক ৫ জনের একজন হন যারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করান। একই বছর সানফ্রান্সিসকোর ফর্টি আন্ডার ফর্টি হন। এছাড়াও তিনি বৃটিশ রয়্যাল সোসাইটি অব দ্য আর্টস (জঝঅ) কর্তৃক নির্বাচিত হন যারা সামাজিক পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
এ পর্যন্ত আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের টিভি চ্যানেলে তার সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়েছে।
পরবর্তী প্রজন্মের টেকনোলজি বিষয়ে তার ভবিষ্যদ্বাণীর কারণে রুমান চৌধুরীকে ইউনেস্কো এবং ইউকে সেন্টার ফর ড্যাটা এথিক্স এন্ড ইনোভেশনের গেøাবাল পলিসির বোর্ড মেম্বার করা হয়েছে। এছাড়াও রুমান চৌধুরীকে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির কমিটি অন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এন্ড গভার্ননেন্স, ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়ার ড্যাটা সাইন্স প্রোগ্রাম এন্ড প্যাটার্ন, ড্যাটা সাইন্স জার্নালেরও ডিরেক্টর পদে রাখা হয়েছে। এ পর্যন্ত ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, নিউইয়র্ক টাইমস, ফিনানশিয়াল টাইমস, হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ, এমআইটি ¯েøান ম্যাগাজিন, এমআইটি টেকনোলজি জার্নাল, নিকেই বিজনেস টাইমস তাকে নিয়ে প্রতিবেদন ছেপেছে।
ড. রুমান চৌধুরী হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইন্টারনেট সোসাইটির সদস্য এবং কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটির ডেমোক্রেসি এন্ড টেকনোলজির রিসার্চ এফিলিয়েট এবং নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ট্যানডন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংএর ভিজিটিং রিসার্চার।