রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩১ অপরাহ্ন

আরব দেশগুলোতে এবার শেংগেনের মতো ভিসা সুবিধা, পাবেন কারা

  • আপডেট সময় সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

নিজেদের মধ্যে ভিসা সুবিধা চালু করেছে উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থা বা জিসিসিভুক্ত ৬টি দেশ। এই সুবিধার আওতায় একটি মাত্র ভিসা দিয়েই জিসিসিভুক্ত দেশগুলো ভ্রমণ করা সম্ভব হবে। অনেকেই এই সুবিধাকে তুলনা করছেন, ইউরোপের শেংগেন অঞ্চলে চালু করা ভিসা সুবিধার সঙ্গে। এই ভিসা সুবিধা দেশগুলোর নাগরিককে ভ্রমণসহ নানা ধরনের বাণিজ্যিক সুবিধাও দেবে।

একই সঙ্গে, সদস্য দেশগুলো তো বটেই ভারতের সঙ্গেও উপসাগরীয় দেশগুলোর পর্যটন সম্পর্ক উন্নত হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমান বলছে, ভারতের অভিবাসীদের ৬৬ শতাংশই বাস করেন জিসিসিভুক্ত দেশগুলোতে। সংখ্যার বিচারে যা প্রায় ৮৮ লাখ। আর তাই এই নতুন শেংগেন স্টাইল ভিসা অনাবাসী ভারতীয়দের জন্য দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে দেবে।

কেন একে শেংগেনের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে
জিসিসিভুক্ত দেশগুলো হলো—বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। গত বছরের নভেম্বরে ওমানে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই ভিসা সুবিধা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চলতি বছরের জানুয়ারিতে জিসিসির শীর্ষ সম্মেলনে দেশগুলোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এই সুবিধা বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ইউরোপের ২৬টি দেশে একটি মাত্র ভিসা দিয়ে ভ্রমণ করা সম্ভব। সেই সুবিধার সঙ্গে তুলনা করেই মূলত জিসিসিভুক্ত ৬ দেশে একটি মাত্র ভিসায় ভ্রমণের সুবিধাকে শেংগেন স্টাইল ভিসা বলা হচ্ছে। আরব আমিরাতের অর্থমন্ত্রী আবদুল্লাহ বিন তৌক আল-মাররি সর্বপ্রথম জিসিসির ভিসা সুবিধাকে শেংগেনের সঙ্গে তুলনা করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন এই উদ্যোগ জিসিসির ৬ সদস্যদেশ ভ্রমণের জন্য ব্যক্তির আলাদা আলাদা ভিসার প্রয়োজনীয়তা দূর করবে ও খরচ কমিয়ে দেবে। বিশেষ করে শিল্পপতিদের আরও বেশি বেশি ভ্রমণের সুবিধার জন্য। দেশগুলোর মধ্যে ভ্রমণে কোনো বাধা না থাকায় সব সদস্য দেশই আর্থিকভাবে লাভবান হবে।

কারা পাবেন এই ভিসা সুবিধা
প্রথম দফায় এই ভিসা কেবল দেওয়া হবে পর্যটকদের। অন্য কাউকে এই সুবিধা প্রথম দিকে দেওয়া হবে না। তবে পর্যায়ক্রমে এই ভিসা সুবিধার কারিগরি ও আইনি বিষয়গুলোর জটিলতা কাটিয়ে ওঠার পর এই ভিসা সুবিধা দেওয়া হবে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের।

সব ধরনের বাধা দূর হয়ে যাওয়ার পর, শ্রমিকেরাও একটি মাত্র ভিসায় জিসিসিভুক্ত দেশগুলোতে প্রবেশ করতে পারবেন এবং ৬টি দেশেই বাধাহীনভাবে চলাচল করতে পারবেন। তবে মূলত পর্যটক বৃদ্ধির জন্য এই ভিসা সুবিধা চালু করা হয়েছে। জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর আশা ২০৩০ সালের মধ্যে অঞ্চলটিতে পর্যটক সংখ্যা অন্তত ১২ কোটি ৮৭ লাখে উন্নীত করা সম্ভব হবে। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে এই দেশগুলো কমন মার্কেটিং, কমন টুরিস্ট প্রোগ্রাম অ্যাপ্লিকেশন ও অনলাইন বুকিংয়ের জন্য কমন ওয়েবসাইট চালুর ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করছে দেশগুলো।

বাড়তি কী সুবিধা দেবে নতুন এই উদ্যোগ
এই ভিসা সুবিধা সৌদি আরবে হজ ও ওমরাহ পালনকারী ব্যক্তিদেরও উপসাগরীয় দেশগুলোতে ভ্রমণের বাড়তি সুবিধা দেবে। প্রথম পর্যায়ে লক্ষ্য হলো, জিসিসিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সহযোগিতা নিশ্চিত যার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশগুলো দক্ষ শ্রমিক বিনিময়কে সহজতর করবে। একই সঙ্গে উপসাগরীয় দেশগুলোকে সংযুক্ত করার প্রস্তাবিত রেল সংযোগের জন্যও এই ভিসা সুবিধা ব্যবহার করা সম্ভব হবে।

কখন বাস্তবায়িত হবে এই ভিসা সুবিধা
যদিও এই ভিসা সুবিধা কখন বাস্তবায়িত হবে সে বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নেই। তবে কিছু প্রতিবেদন ইঙ্গিত দেয় যে, চলতি বছরের মাঝামাঝি এটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হতে পারে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com