বাংলাদেশের মতো মরুর বুকেও এখন শীতের আমেজ। এই শীতকে উদযাপন করতে বাহারি পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী, মুখরোচক আর লোভনীয় বিভিন্ন ধরনের পিঠা নিয়ে আরব আমিরাতের শারজায় জমজমাট ‘প্রবাসী পিঠা উৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোবাবর (২১ জানুয়ারি) বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে এই উৎসব। আমিরাতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে প্রবাসীরা যোগ দেন এই মিলনমেলায়।
প্রবাসে দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরতে আরব আমিরাতের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘আমিরাত সংবাদ পাঠক ফোরাম’ এই পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। উৎসবে নারী পুরুষ ও শিশুদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
নানা রকমের বিভিন্ন রঙের গরম ও শীতের রসালো পিঠায় ভরে ওঠে প্রতিটি টেবিল। নানা রকমের নকশি পিঠা দিয়েও সাজানো হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তৈরি জনপ্রিয় পিঠা স্থান পায় এই উৎসবে। পিঠার মধ্যে ছিল দুধ চিতই, রস মঞ্জুরি, ঝাল পাটিসাপটা, খলা ঝালি পিঠা, নারকেল নাড়ু, পাটিসাপটা, বাসবুসা পিঠা, ভাপা পিঠা, তেলের পিঠা, ডিম পোয়া পিঠা, পুলি পিঠা, নারকেল পিঠা, নোনাস পিঠাসহ বাহারি নামের ও স্বাদের পিঠা পরিবেশন করা হয়।
উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন দুবাইয়ে নিযুক্ত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন দুবাই ও উত্তর আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের লেডিস গ্রুপের সভাপতি আবিদা হোসেন।
হরেক রকম পিঠার চমৎকার পরিবেশনা নজর কাড়ে অতিথিদেরও। অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন স্টলের মধ্য থেকে বিজয়ী নির্বাচিত করা হয়। তাদের দেওয়া হয় সোনার উপহার। এছাড়া অন্যদের জন্য বিমান টিকিট ও মোবাইল ফোন উপহার ছিল উৎসবের বাড়তি আকর্ষণ।
এতে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ইউএই’র সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান জনি, বাংলাদেশ সমিতি দুবাইয়ের সভাপতি অধ্যাপক আবদুস সবুর, আমিরাত সংবাদ পাঠক ফোরামের উপদেষ্টা কামাল হোসেন সুমন, আমিরাত সংবাদ সম্পাদক মুহাম্মাদ ইছমাইল, বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব ইউএই যুগ্ম সম্পাদক মোদাচ্ছের শাহ, জাসেদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আয়োজকরা জানান, প্রবাসীদের দেশীয় পিঠার স্বাদ দেওয়ার পাশাপাশি প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে দেশীয় পিঠার সঙ্গে পরিচয় করে দিতে তাদের এই আয়োজন। উৎসবে দেশটির কয়েকটি প্রদেশ থেকে ১৪ জন উদ্যোক্তা অংশ নেন। ১০ থেকে ১৫ ধরনের পিঠা দিয়ে সাজানো ছিল একেকটি স্টল। বিদেশের মাটিতে দেশীয় পিঠা উৎসবের আমেজ তৈরি করতে পেরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন আয়োজকরা। পিঠা উৎসবে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারায় অনেক প্রতিযোগীকে উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায়। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে আমিরাত যেন সবার কাছে একটি দিনের জন্য হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ।