শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২১ অপরাহ্ন

আফ্রিকার মরুভূমিতে বাংলাদেশিসহ হাজারো অভিবাসনপ্রত্যাশী আটকা

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৩

আফ্রিকার নাইজারের তপ্ত মরুভূমিতে বাংলাদেশিসহ হাজারো অভিবাসনপ্রত্যাশী আটকা পড়ে আছেন। জীবিকার তাগিদে ইউরোপে যেতে নিজের দেশ ছেড়েছেন তাঁরা। কিন্তু হতভাগ্য সেই মানুষজন আজ বড়ই বিপদে। এএফপির এক রিপোর্ট নাইজারের মরুভূমিতে চরম মানবিক বিপর্যয়ে মুখোমুখি হওয়া হাজারও অভিবাসনপ্রত্যাশিদের করুন চিত্র উঠে এসেছে। জানানো হয়, কপর্দকহীন এসব মানুষকে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএমও গ্রহণ করছে না! কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, তাদের হাতে বাড়ি ফেরার মতো অর্থ নেই। স্বজনদের ফোন করার সামর্থ্যও নেই।

ফলে তপ্ত মরুভূমিতে অনেকটা ‘উন্মুক্ত কারাগার’- মাসের পর মাস কাটাচ্ছেন তারা। সেখানে থাকা আইভরি কোস্টের নাগরিক আবদুল করিমকে উদ্বৃত করে এএফপির রিপোর্টে জানানো হয়, স্থানীয় গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন- নাইজারে পৌঁছার পর তারা আইওএম স্বীকৃত না থাকার বিষয়টি অনুধাবন করতে পেরেছেন। কিন্তু ততক্ষণে তাদের সব শেষ হয়ে গেছে। এখন বাড়ি ফিরতে তাদের কাউকে না কাউকে দায়িত্ব নিতেই হবে, অন্যথায় তাদের এ অবস্থার পরবর্তী কঠিন পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষায় থাকতে হবে।এএফপির রিপোর্ট মতে, কিংকর্তব্যবিমূঢ় ওই অভিবাসনপ্রত্যাশিরা নাইজারের তপ্ত মরুভূমিতে হেঁটে বেড়াচ্ছেন।

তাদের মধ্যে যাদের শরীরে শক্তসামর্থ্য রয়েছে তারা বর্ডার পাড়ি দিতে অগ্রসরমান। তবে দুর্বলরা আশাহত হয়ে পড়েছেন, তারা বাড়ি ফিরতে দিন গুনছেন।
আলজেরিয়া থেকে বের করে দেয়া অভিবাসীরা এখন নাইজারের সীমান্তবর্তী এলাকা আসামাকায় দলবদ্ধভাবে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত সাড়ে চার হাজারের বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী দেশটির সীমান্ত এলাকায় ভিড় করেছেন। তাদের মধ্যে মালি, আইভরি কোস্ট, সিরিয়া এবং বাংলাদেশি নাগরিক আছেন এটা অনেকটাই নিশ্চিত। তবে অন্য দেশের নাগরিকও থাকতে পারেন। ইউরোপে যাওয়ার আশায় এসব মানুষ ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মরুভূমি পাড়ি দিয়েছেন।

এইমধ্যে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত ট্রানজিট সেন্টার ভরে গেছে। এর বাইরে বিপুলসংখ্যক মানুষের অবস্থান গোটা এলাকাকে অস্থির করে তুলেছে। তাদের মধ্যে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে আশ্রয় দিতে পারছে আইওএম। রিপোর্ট বলছে, মানুষের চাপে আসামাকার পানির ট্যাংক খালি হওয়ার পথে। সেখানে চরম খাদ্যে ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। মরুভূমির তীব্র গরম থেকে বাঁচার জন্য পর্যাপ্ত আশ্রয়শিবিরও নেই। ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার মধ্যে হাজার হাজার অভিবাসানপ্রত্যাশী দেয়াল ও ত্রিপলের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন।অভিবাসনপ্রত্যাশীদের দাবি, ইউরোপ যাত্রার আশায় আলজেরিয়া থেকে বের করে দেয়ার আগে তাদের সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com