- জুলাই থেকে পাক্ষিক ৪০ ঘন্টার বদলে ৪৮ ঘন্টা কাজ করা যাবে
- শিক্ষা সমাপ্তির পরে বিভিন্ন পর্যায়ের জন্যে কাজের সুযোগ ও সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে
- প্রতি বছর চাহিদাসম্পন্ন পেশা ও যোগ্যতার তালিকা পর্যালোচনা করা হবে
ফেডারেল সরকার বলছে, অস্ট্রেলিয়ার কোনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি অর্জনকারী আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য পড়াশোনা পরবর্তী কাজের অধিকার বাড়ানোর মাধ্যমে এ দেশে দক্ষ কর্মীর সংকট মোকাবেলা করা হবে।
এই বছরের ১ জুলাই থেকে এ পরিবর্তনগুলি কার্যকর হবে। তালিকাভুক্ত স্নাতক পর্যায়ের জন্য দুই বছর থেকে বাড়িয়ে চার বছর, তালিকাভুক্ত মাস্টার্স ডিগ্রির জন্য তিন বছর থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর এবং সমস্ত ডক্টরাল ডিগ্রির জন্য চার বছর থেকে বাড়িয়ে ছয় বছর পর্যন্ত কাজের অধিকারে পরিবর্তন আনা হবে।
ইমিগ্রেশন এজেন্ট কার্ক ইয়ান বলেন, দক্ষ কর্মীর সংকট পূরণ করা গুরুত্বপূর্ণ; তবে কিছু শিক্ষার্থী চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পেশা পরিবর্তন করার কথা ভাবতে পারেন
তিনি বলেন, এই পরিকল্পনাটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত সম্পর্কে আরও নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে।
তবে নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত পেশার তালিকা সম্পর্কে তিনি সরকারের কাছ থেকে আরও স্বচ্ছতা আশা করেন।
হোম অ্যাফেয়ার্স মিনিস্টার ক্লেয়ার ও’নিল বলেছেন, নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে দক্ষতার ঘাটতি মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
এগুলোর মধ্যে রয়েছে স্বাস্থ্যখাত, প্রকৌশল, তথ্য প্রযুক্তি এবং শিক্ষাখাত।
ফেডারেল সরকার বলছে, প্রয়োজনীয় পেশা ও যোগ্যতার তালিকা প্রতি বছর পর্যালোচনা করা হবে এবং শ্রমবাজারের চাহিদার ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুযায়ী হালনাগাদ করা হবে।
এসবিএসের সঙ্গে আলাপে কলিন তার পুরো নাম জানাতে রাজি হননি।
এ পরিবর্তনের ফলে তাঁর মত যারা ৪৮৫ ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন, তাঁরা উপকৃত হবেন বলে আশা করা হচ্ছে। যার মধ্যে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কাজের সময় সীমা ১ জুলাই ২০২৩ থেকে পাক্ষিক ৪০ ঘন্টার পরিবর্তে ৪৮ ঘন্টায় উন্নীত করার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, এই পরিবর্তনের খবর শুনে তিনি আনন্দিত।
মেট্রো এলাকার বাইরে অর্থাৎ রিজিওনাল অঞ্চলে যারা পড়াশোনা, বসবাস ও কাজ করবেন, তাঁদের জন্যে কিছু অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া সম্ভব হতে পারে।