এক দেশ, এক সময়। এটাই তো স্বাভাবিক। একপ্রান্তে দিন হলে অন্য প্রান্তে রাত, এমন আবার হয় নাকি? কখনওই নয়। এ যে অসম্ভব। কিন্তু এই অসম্ভব ঘটনাটিই প্রতিবছর ঘটে থাকে একটি দেশে। এই দেশে রয়েছে ১১টি টাইম জোন। এবং এখানকার নাগরিকরা একসঙ্গে সকালের জলখাবার বা রাতের খাবার খান না। শুধু তাই নয়, এখানকার অর্ধেক অংশে যখন দিন হয় তখন অন্য অর্ধেক অংশে থাকে রাত। এতটুকু বাড়িয়ে বলছি না। দেশটির নাম রাশিয়া, বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ।
রাশিয়া হল পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে সকাল এবং রাত একসঙ্গে থাকে। সময় অনুযায়ী এখানকার এ অংশে যখন কেউ সকালের চা খাচ্ছেন, আবার অন্য জায়গায় কেউ হয়তো খেতে বসেছেন রাতের খাবার। চলুন জেনে নেওয়া যাক যে এই অদ্ভুত ব্যাপারটি কীভাবে ঘটে।
অর্ধেক দেশে রাত, অর্ধেক দেশে দিন
শুনলে অবাক হবেন, তবে রাশিয়ার অর্ধেক অংশে যখন দিন, তখন অন্য অংশে হয় রাত। এই প্রবণতা থাকে মে থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত, প্রায় ৭৬ দিন। তাই রাশিয়াকে বলা হয় ‘কান্ট্রি অফ মিডনাইট সান’ বা মধ্যরাতে সূর্যোদয়ের দেশ।
ফাদার অফ ভদকা
অনেকেই হয়তো জানেন না যে, রাশিয়াকে বলা হয় ভদকার জনক। এদেশেই প্রথম ভদকা পানের চল হয়েছিল।
রাশিয়া নারী অধ্যুষিত একটি দেশ
এদেশের আরেকটি মজার বিষয় হল এখানে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। অর্থাৎ এখানে নারীদের প্রাধান্য অধিক। একটা সময় ছিল যখন এদেশের মানুষ দাড়ি রাখতে পারতেন না। নিয়ম ভঙ্গ করলে দিতে হত ভারী জরিমানা।
প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ মানুষ মারা যান
রাশিয়ায় অ্যালকোহল পানের প্রবণতা অত্যাধিক। এটি বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে প্রতি বছর ৫ লক্ষ মানুষ অ্যালকোহল সেবনের কারণে মারা যান।
পশুদের জন্যও ঘরের ব্যবস্থা
রাশিয়া পশুপ্রেমী দেশ। এদেশের মানুষ পশুদের যে শুধু ভালোইবাসেন তা নয়, পশুদের বিশেষ যত্নও নেন। এদেশে মানুষের জন্য থাকার ঘর থাকুক বা না থাকুন, শিয়ালদের থাকার জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা রয়েছে।
৬০ দিন রাত নেই
রাশিয়ার একটি শহর হল মরমস্ক। এখানে গ্রীষ্মকাল দীর্ঘস্থায়ী। সেই সময় দিনরাতের অনুভূতি এখানে একেবারে থেমে যায়। সূর্য খুব উজ্জ্বল হয়ে ওঠে এবং মানুষ দিন ও রাতের অনুভূতি একেবারে ভুলে যান। রাশিয়ার এই শহরটিতে সূর্য কখনও অস্ত যায় না, সেটি কেবল আকাশজুড়ে ঘুরে চলে।