নভেম্বর মাস থেকে কুয়েতের সরকারি প্রজেক্ট বা আকুদ হুকুমার ভিসার প্রবাসী শ্রমিকরা শর্ত মেনে আহালি প্রাইভেট সেক্টরে ভিসা পরিবর্তনের সুযোগ পেতে যাচ্ছেন।
স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক কুয়েত টাইমস, আরব টাইমসসহ একাধিক গণমাধ্যম এ বিষয়ে দেশটির উপ-প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ আল-ইউসেফের নতুন সিদ্ধান্তের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।
সংবাদে উল্লেখ করা হয়, আকুদ বা সরকারি প্রজেক্ট ভিসা পরিবর্তনে প্রবাসীদের পাঁচটি শর্ত অবশ্যই পূরণ করতে হবে– ১. সরকারি প্রকল্পের চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে হবে। ২. জনশক্তি ও পাবলিক অথরিটির কাছে ভিসা পরিবর্তন বিষয়ে কোম্পানির সরকারি কোনো প্রকল্পের সঙ্গে চুক্তি নেই মর্মে লিখিত পত্র জমা দিতে হবে। ৩. সরকারি প্রকল্পে চুক্তির অধীনে কর্মরত শ্রমিককে কমপক্ষে এক বছর অতিবাহিত হতে হবে। ৪. বর্তমান নিয়োগকর্তার কাছ থেকে অবশ্যই ভিসা পরিবর্তনের অনুমতিপত্র নিতে হবে। ৫. ভিসা পরিবর্তন বাবদ ৩৫০ কুয়েতি দিনার ফি হিসেবে জমা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, কুয়েতে বর্তমানে প্রায় তিন লাখ প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন। দেশটির ক্লিনিং কোম্পানিগুলোতে এক তৃতীয়াংশ প্রবাসী বাংলাদেশি কাজ করছেন। গত কয়েক বছরে আকুদ হুকুমা ভিসায় অনেক বাংলাদেশি বিভিন্ন কারিগরি কাজে দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও জটিলতার কারণে দক্ষতা অনুযায়ী কাজ করতে পারেননি। এসব শ্রমিক নিজ কোম্পানিতে ৮ ঘণ্টায় ৭০ থেকে ৭৫ কুয়েতি দিনার বেতনে কাজ করে গেছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৭ হাজার টাকা। আকুদ হুকুমা ভিসার নিয়ম অনুযায়ী কোনো প্রকল্পের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে শ্রমিকদের নিজ দেশে চলে যেতে হতো। কোম্পানির নতুন কোনো সরকারি প্রকল্পে কাজের চুক্তি হলে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে শ্রমিকদের আকামা নবায়ন করতে হতো। যেসব ক্লিনিং কোম্পানিগুলোর শ্রমিকরা সরকারি প্রজেক্টে কাজ করেন, তাদের ভিসা ক্যাটাগরি আকুদ হুকুমা বা সরকারি প্রজেক্টের ভিসা বলা হয়ে থাকে।
এদিকে কুয়েত সরকারের সরকারি প্রজেক্টের ভিসা পরিবর্তনের খবর শুনে আনন্দিত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা বলছেন, নতুন এ সুযোগ ও শর্ত পূরণ করে প্রবাসীরা নিজের দক্ষতা অনুযায়ী ভিসা পরিবর্তন করে কাজ করতে পারলে আগের চেয়ে আয় বাড়বে এবং বাড়বে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও। সেই সঙ্গে বাড়বে দেশের রেমিট্যান্সের পরিমাণ।