এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের সব কর্মী ও ঠিকাদারদের জন্য টিকা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার বিধিও একই দিন শেষ হবে বলে জানায় হোয়াইট হাউস। পাশাপাশি একইদিনে শেষ হতে চলেছে দেশটি জারি থাকা করোনা-সংক্রান্ত জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা।
তবে দেশটির হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট বলেছে, ১২ মে থেকে স্থল বন্দর ও ফেরির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের অবশ্যই করোনার টিকা নেওয়া থাকতে হবে ও অনুরোধের ভিত্তিতে তার প্রমাণও দিতে হবে।ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ১০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মহামারি সামলাতে ২০২০ সাল থেকে নানা ধরনের বিধিনিষেধ জারি করে মার্কিন সরকার। বর্তমানে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় ধীরে ধীরে ওইসব বিধিনিষেধগুলো তুলে নিতে শুরু করেছে দেশটি।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে করোনায় মৃত্যু ৯৫ শতাংশ কমেছে। হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমেছে প্রায় ৯১ শতাংশ। অন্যদিকে, বিশ্বে করোনায় মৃত্যু এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। এমতাবস্থায় করোনা মহামারি প্রায় শেষই বলা যায়।
হোয়াইট হাউস আরও বলে, বাধ্যবাধকতার বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রে করোনার টিকাদান প্রকিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। গণহারে টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করেছে।
সূত্র: রয়টার্স