রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৩ পূর্বাহ্ন

আইসল্যান্ড

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪
আইসল্যান্ড ইউরোপ মহাদেশের এক দ্বীপ রাষ্ট্র। রাজধানীর নাম রেইকিয়াভিক। দেশটির জনসংখ্যা মাএ ৩৬৪,১৩৪ জন। আইসল্যান্ডের জনগণ সাধারণ আইসল্যান্ডীয় ভাষায় কথা বলে। দেশটির আয়তন ১,০৩০০০ কিলোমিটার।
শিক্ষা ব্যাবস্থা:
আইসল্যান্ডের জনসংখ্যা এবং আয়তন কম হলেও দেশটিতে বেশ কিছু ভালো মানের বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। দেশটি আমাদের কাছে খুব একটা পরিচিত নয়।বাংলাদেশের খুব কম সংখ্যাক শিক্ষার্থী আছে যারা আইসল্যান্ডে লেখাপড়া করে। এই দেশে পাবলিক এবং প্রাইভেট দুই ধরণের ভার্সিটি রয়েছে। ইন্জিনিয়ারিং, বিজনেস, পাবলিক হেলথ, মেডিসিন সাইন্স সহ নানা বিষয়ে লেখাপড়া করতে পারবেন। মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা সাতটা। যার মধ্যে ৪ টি পাবলিক এবং বাকি তিনটা প্রাইভেট ভার্সিটি।
টিউশন ফিঃ
আইসল্যান্ডের পাবলিক ভার্সিটি গুলোতে কোন টিউশন ফি নেই। প্রাইভেট ভার্সিটি গুলোর টিউশন ফি ৪৫০০ – ৮০০০ পাউন্ড পর্যন্ত হয়।
আবেদনের সময়ঃ
আইসল্যান্ড এ বছরে ২ টা সেশনে এপ্লিকেশন করা যায় । ব্যাচেলর প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করার সময় সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর এবং জানুয়ারী থেকে মার্চ। মাস্টার্স এর জন্যে শুধু একটা সেশন। জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
পার্ট-টাইম জবঃ
আইসল্যান্ডে একজন বিদেশি শিক্ষার্থী সপ্তাহে ২০ ঘন্টা কাজ করার সুযোগ পায়। ছুটিতে ফুল টাইম কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ভালো ইংরেজি জানা থাকলে সহজেই চাকুরি পাবেন। বিস্তারিতঃ
লিভিং কস্টঃ
আইসল্যান্ডে লিভিং কস্ট অনকে বেশি। গড়ে একজন শিক্ষার্থীর মাসে 140,600 to ISK 163,635 খরচ হয়।
স্হায়ী বসবাসের সুযোগঃ
পড়ালেখা শেষে চাকুরী খোঁজার জন্য কিছু মাস সময় পাবেন। জব পেয়ে গেলে তারা আপনাকে ওয়ার্কিং ভিসা দিয়ে দিবে। চার বছর থাকার পর পারমানেন্ট রেসিডেন্স (PR) এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
টপ ভার্সিটিঃ
1. University of Iceland
2. Reykjavik University
3. University of Akureyri
* আইসল্যান্ডের এমবাসি আমাদের দেশে নেই। ভিসা সংক্রান্ত কাজের জন্য ভারতে যেতে হবে।
* পার্ট-টাইম জব করে টিউশন ফি দেওয়া প্রায় অসম্ভব।
আইসল্যান্ড সম্পর্কে কিছু অবাক করা তথ্যঃ
১। দেশটি এতটাই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন যে সেখানে কোন মশা নেই।
২। আইসল্যান্ডের কোন সামরিক বাহিনী নেই।
৩। মজার বিষয় হলো দেশটিতে মানুষের তুলনায় ভেড়ার সংখ্যা দ্বিগুণ।
৪। দেশটিতে অনেক গুলো সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। গড়ে প্রতি চার বছর পর পর অগ্নুৎপাত হয়।
৫। দেশটির প্রায় ৯৮% লোক ইন্টারনেট ব্যাবহার করে।
কোন দেশে কিভাবে আবেদন করবেন, কি কি ডকুমেন্টস লাগবে ইত্যাদি বিষয় জানতে আমার YouTube Channel ফলো করতে পারেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com