আসামবস্তী-কাপ্তাই সড়কে পর্যটক প্রেমিকদের মুগ্ধ করবে আই লাভ রাঙ্গামাটি। রাঙ্গামাটি সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এবং জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় ‘আই লাভ রাঙ্গামাটি’ নির্মাণ করা হয়েছে।
আসামবস্তী কাপ্তাই সড়কে পর্যটক পিপাসুদের জন্য এটি একটি সৌন্দর্যের প্রতীক বলে অনেকে মনে করেন। ‘আই লাভ রাঙ্গামাটি’ এ সড়ককে অনেকটা নৈন্দিত করেছে। আসামবস্তী কাপ্তাই সড়কের সৌন্দর্য যেন বিদেশি কোনো এক পর্যটন শহরের দৃশ্য গেঁথে দেওয়া হয়েছে। এ সড়ক দিয়ে একবার ভ্রমণ করলে বারবার যেতে ইচ্ছে করে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, রাঙ্গামাটি জেলা দেশের একটি অনন্য জেলা। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর রাঙ্গামাটি জেলার যে দিকে তাকায় সে দিকে মুগ্ধ করে দেয়। তিনি বলেন, বিদেশের অসংখ্য জায়গায় আমরা এই রকম অনেক স্থাপনা লক্ষ্য করি। যা একটি দেশ বা একটি জেলা কে ব্যান্ডিং করে। তেমনি রাঙ্গামাটি জেলাকে ব্যান্ডিং করবে এই আই লাভ রাঙ্গামাটি। তিনি রাঙ্গামাটি জেলার পর্যটন শিল্পের বিকাশে আসামবস্তী কাপ্তাই সড়ক অনেক পর্যটন স্পট গড়ে উেেছ। এ সড়ক দিয়ে এখন পর্যটকদের আনাগোনা। তাই রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা প্রশাসন এখানে একটি পর্যটন দৃশ্য তৈরী রতে আগ্রহ প্রকাশ করে। এখানে বসে পর্যটকরা ছবি তোলবে একটু আড্ডা দেবে। মূলত এ কারণেই আই লাভ রাঙ্গামাটি তৈরি করা হয়েছে। এটি একটি চমৎকার জায়গা। মনে হচ্ছে বিদেশি কোনো একটি পর্যটক স্পটে আমরা বসে আছি। তাই এই ‘আই লাভ রাঙ্গামাটি’ পয়েন্টি রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিন বলেন, এ জায়গায় আমি বেশ কয়েকবার এসেছি। এখানে ‘আই লাভ রাঙ্গামাটি’ নির্মাণ করতে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছ থেকে সব ধরনের পরামর্শ গ্রহণ করি। স্যারের অনুমতিক্রমে আই লাভ রাঙ্গামাটির কাজ শুরু করি। কাজ করতে গিয়ে অনেক বার আমাকে কষ্ট পেতে হয়েছে। দেখা গেছে একদিক দিয়ে তৈরি করলে অপর দিক ভেঙে নিয়ে গেছে। এভাবে তিনবার ভেঙেছে তিন বারই আমি এটা তৈরি করেছি।
সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. শহীদুজ্জামান মহসীন রোমান বলেন, এটি পর্যটকদের জন্য একটি মাইল ফলক। দেশের বাহিরে এধরনের লাভ পয়েন্ট অনেক রয়েছ। এই লাভ পয়েন্টে রাঙ্গামাটির আসামবস্তী কাপ্তাই সড়কের গুরুত্ব আরো বেড়ে দিয়েছে। এ সম্পদ আমাদেরকে ধরে রাখতে হবে। সারা দেশ থেকে যে সকল পর্যটক আসে সবাই এ সড়কটি দিয়ে আসা-যাওয়া করে।