অস্ট্রেলিয়ায় মাঝ আকাশে যাত্রীরা মারামারি করার কারণে একটি বিমান জরুরি অবতরণ করেছে। ফ্লাইটটি কুইন্সল্যান্ডের কেয়ার্নস থেকে নর্দান টেরিটোরিতে যাচ্ছিল। এ ঘটনায় চার যাত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশ (এএফপি) এবং নর্দান টেরিটরি (এনটি) পুলিশ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। খবর নিউইয়র্ক পোস্টের।
অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল পুলিশের (এএফপি) মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবারের (২০ এপ্রিল) ওই ফ্লাইটে যাত্রীদের মারামারির ঘটনায় এএফপিকে ডাকা হয়েছিল। এ ঘটনায় ফ্লাইটটি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, একদল যাত্রী বিমানের ভিতরে করিডোরে দাঁড়িয়ে আছেন এবং দুজন ধাক্কাধাক্কি করছেন। একপর্যায়ে একজন যাত্রী অন্যজনকে একটি কাচের বোতল দিয়ে আঘাত করেন। এ ঘটনার পর ফ্লাইটটিকে কুইন্সল্যান্ডে ফিরিয়ে নেওয়া হয় এবং একজন নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশের ওই মুখপাত্র বলেন, ‘বিমান থেকে একজন নারী যাত্রীকে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, সাধারণ যাত্রীদের ওপর হামলা ও কেবিন ক্রুদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত নির্দেশনা অমান্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে।’
পরে ফ্লাইটটি যখন আবারও উড্ডয়ন করে, তখন একই গ্রুপ তর্কে জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয় এবং বিমানের জানালা ভেঙে যায়।
এরপর নর্দান টেরিটোরিতে বিমানটি অবতরণ করার পরে তিন যাত্রীকে গ্রেপ্তার করে স্থানীয় পুলিশ। তাদের মধ্যে ২৩ বছর বয়সী এক তরুণ ও তরুণীর বিরুদ্ধে অন্যদের নিরাপত্তা বিপন্ন করা, হামলা চালানো, সম্পদের ক্ষতি করাসহ কয়েকটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
২২ বছর বয়সী আরেক যাত্রীর বিরুদ্ধে নিজের সঙ্গে মাদক রাখা, বাণিজ্যিকভাবে মাদক সরবরাহ এবং পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামী সোমবার এই তিন যাত্রীকে ডারউইনের আদালতে তোলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।