বিদেশে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের নিকট যে কয়টি দেশ প্রিয়, অস্ট্রেলিয়া তাদের অন্যতম। এমনকি জনপ্রিয় প্রথম তিনটি দেশের একটিও হতে পারে পর্যাপ্ত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আবেদন পদ্ধতি সঠিকভাবে না জানার কারণে অনেক সময় ভিসা মেলেনা। তাই কোথায়, কীভাবে, সঠিকভাবে আবেদন করতে হয়, তা অস্ট্রেলিয়া গমনেচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের জানা দরকার।
আবেদন প্রক্রিয়া
সরাসরি দূতাবাসের মাধ্যমে আবেদন করা যায়। আবার, অনলাইনে আবেদন করা যায় ও বিভিন্ন কনসালট্যান্সি ফার্ম এর মাধ্যমে আবেদন করা যায়।
আবেদনের নিয়মাবলী
শিক্ষাগত যোগ্যতা
ক) শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে Student দের Undergraduate থেকে Doc. Degree Certificate থাকলে সে উচ্চ শিক্ষা জন্য অস্ট্রেলিয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে IELTS অবশ্যই লাগবে। Undergraduate এর ক্ষেত্রে ন্যূনতম IELTS স্কোর ৫.৫ এর ক্ষেত্রেএবং Post graduate এর ক্ষেত্রে ন্যূনতম ILTS স্কোর 6.0 প্রয়োজন।
খ) অস্ট্রেলিয়াতে IELTS ছাড়া Students এর উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা নেই। সেক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে IETS দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
গ) School শিক্ষার্থীদের জন্য O/A Level Certificate থাকলে IELTS দরকার হয় না।
স্পন্সর
ক) বিষয়ভেদে বিভিন্ন পরিমাণ টাকা Sponsor দেখাতে হয়। Under graduate এর ক্ষেত্রে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা Sponsor দেখাতে হয় এবং Degree Program এর জন্য প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা ৬ মাস এর জন্য Sponsor দেখাতে হয়।
খ) Sponsor Money এর সম্পদ মূল্য দেখানো যাবেনা, শুধুমাত্র নগদ টাকা দেখাতে হবে। তবে ডলার এর মূল্য তারতম্য হলে এর জন্য Sponsor Money হিসেব করে মোট টাকা দেখাতে হয়।
গ) কোন ছাত্রের স্পন্সর দেখানোর জন্য blood Relation হলে ভাল। তবে Post graduation এর ক্ষেত্রে first blood Relation হতে হবে। এর জন্য Bank Statement লাগে ও জাতীয় পরিচয়পত্র এবং জন্ম সনদ ইত্যাদির কাগজ জমা দিতে হয়।
স্পাউস
শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে স্পাউসসহ আবেদন করা যায়। সেক্ষেত্রে তার স্ত্রীকে মাস্টার ডিগ্রী প্রাপ্ত হতে হবে, তার জন্য সে ৫ পয়েন্ট পাবে।
স্কলারশিপ
সাধারণত উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে Scholarship (full) পাওয়ার জন্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে Graduation complete করে আবেদন করতে হবে।
সাধারণত স্কলারশিপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় প্রায় ৫% শিক্ষার্থী যেতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ায় পার্ট টাইম জব
পড়া-লেখার পাশাপাশি সপ্তাহে ২০ ঘন্টা rপার্ট টাইম চাকরির সুযোগ রয়েছে। পার্ট টাইম জব করে একজন ছাত্র তার খরচ চালাতে পারে।
Engineering, MBA, ACCA এবং Health study ইত্যাদি কোর্সগুলো ভাল চাকুরী পাওয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হয়।
অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী বসবাস সুবিধা
অন্য রাষ্ট্রের তুলনায় এখানে সহজে PR (Permanent Residence) এর সুযোগ থাকে। Students Graduation Complete করার পর সে PR এর জন্য আবেদন করতে পারে। সেক্ষেত্রে Result যদি ভাল থাকে তাহলে সরকার তাকে PR করে নিতে পারে।
সাধারণত ACCA, LLB, MBA, Advanced diploma, Health student এবং Engineering ডিগ্রি অর্জনকারীদের PR পেতে সুবিধা হয়।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নিকট পছন্দের অস্ট্রেলিয় স্থানসমূহ
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা সাধারণত সিডনী ও মেলবোর্ন শহর দুটিকে বেশি পছন্দ করে থাকে। যদিও শহর দু’টি খুব ব্যয় বহুল।
অস্ট্রেলিয়া দূতাবাস
এটি গুলশান ১, ৮নং রোড এর সামনে অবস্থিত।
ঠিকানা-
জেড এন টাওয়ার (১ম তলা), রোড# ৪, প্লট# ২, ব্লক# এস ডব্লিউ ১, গুলশান এভিনিউ, ঢাকা-১২১২।
ফোন ৯৮৯৫৮৯৪।
ওয়েব সাইট- www.vfs-au.bd