শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২২ অপরাহ্ন

অফিস ছাড়া চলছে বহুজাতিক কোম্পানী

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩

কোনো কোম্পানি বা ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান মানেই সাজানো-গোছানো অফিস, যেখানে ছিমছাম পরিবেশে চেয়ার-টেবিল-কম্পিউটারসহ অত্যাধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে। এসবের বাহার না থাকলেও নিদেনপক্ষে একটি অফিস বা কার্যালয় তো থাকবেই। কিন্তু নানা সুবিধাসংবলিত অফিস ছাড়াও কাজ করা যায়। এমনকি দেশে দেশেও কার্যক্রম ছড়িয়ে দেওয়া যায়।

কার্যালয় ছাড়াই নির্বিঘ্নে ও দুর্বার গতিতে কাজ করার ধারণা নিয়ে কাজ করছেন কেট হিউস্টন। তিনি অটোমেটিক নামে একটি ইন্টারনেট কোম্পানির ডেভেলপার এক্সপেরিয়েন্স টিমের প্রধান। বর্তমানে কোম্পানিটি বিশ্বের ৭০টি দেশে ৯৩০ জন লোক নিয়ে কাজ করছেন, যাঁরা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার।

বহুজাতিক কোম্পানি অটোমেটিকের কোথাও কোনো শাখা অফিস তো দূরের কথা, এমনকি কেন্দ্রীয় কার্যালয় পর্যন্ত নেই। অথচ সবাই একটি নেটওয়ার্কের আওতায় দিব্যি কাজ করে যাচ্ছেন। কারও কোথাও কোনো অফিশিয়াল দরকার বা ডাক পড়লেই যখন-তখন দূরবর্তী স্থান থেকে বিমানে চড়ে বসেন। সব কর্মীকেই বিমান টিকিটের টাকা দেয় কোম্পানি। বছরজুড়ে নিয়মিত বৈঠকের বেলায়ও কর্মীরা একই সুবিধা ভোগ করেন।

অটোমেটিকের লোকজন তাঁদের কোম্পানির নামের মতোই যেন অটোমেটিক মানে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করছেন। তাই তো অফিস বা কার্যালয় না খোলা বা না রাখার ধারণা জোরালো হয়ে উঠছে। এ নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব এক্সেটার বিজনেস স্কুলের অর্গানাইজেশন বিহেভিয়ার অর্থাৎ প্রাতিষ্ঠানিক আচরণ বিষয়ের অধ্যাপক লাইক ইনসিওগ্লু বলেন, ব্যয়সাশ্রয়ী হওয়ায় এই প্রবণতা জোরালো হয়ে উঠছে। বিশেষ করে স্টার্টআপদের জন্য এটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় ধারণা।

যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিকস লেবার ফোর্স সার্ভে কার্যালয়ের এক সমীক্ষায়ও বলা হয়েছে, দেশটিতে দূরবর্তী জায়গায় থেকে কাজ করে এমন লোকের সংখ্যা বেড়ে ১৫ লাখ ৪০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। ১০ বছর আগে এই সংখ্যা ছিল ৮ লাখ ৮৪ হাজার।

অফিস খোলা বা রাখার চেয়ে প্রতিভাবানদের সুযোগ করে দেওয়ার বিষয়কেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন কেট। তিনি বলেন, ‘মেধাবীদের সব সময় পাওয়া যায়, কিন্তু সুযোগ সর্বদা মেলে না।’

অটোমেটিকের ৯৩০ কর্মীর মধ্যে প্রত্যেকেই একজন আরেকজন থেকে দূরবর্তী স্থানে থাকেন। তাঁদের প্রতি নিজ নিজ বাসাবাড়িতে বসেই কিংবা কোনো কফি হাউসে গিয়ে কাজ করার নির্দেশনা রয়েছে। এভাবে কাজ করায় খরচ সাশ্রয় হচ্ছে বলে কোম্পানিটি মনে করে। কারণ লন্ডন, নিউইয়র্ক, সান ফ্রান্সিসকোর মতো জায়গায় অফিস ভাড়া অনেক বেশি। কাজের জন্য কর্মীদের দ্রুতগতির ইন্টারনেট, মেসেজিং বা বার্তা ও ভিডিও আদান-প্রদানের অ্যাপস, মনিটরিং সফটওয়্যার ইত্যাদি সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com