শীত আর বর্ষা, এ দুই সময়ে হাওরে পর্যটকদের আনাগোনা বেড়ে যায় বহু গুণ। যান্ত্রিকতায় মোড়ানো শহুরে জীবনকে কিছু দিনের জন্য হলেও বিদায় জানিয়ে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয় অজানায়। আর সেই অজানা যদি হয় হাওর বেষ্টিত অঞ্চল, তাহলে তো আর কথাই নেই।
হাওরের কথা আসলেই প্রথমে যে নামটি আসে তা হলো টাঙ্গুয়ার হাওর। ‘হাওর কন্যা’ সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও ধর্মপাশা উপজেলার বিশাল জায়গা জুড়ে এ হাওরের রাজত্ব। বছরের এ সময়টাতেও পর্যটকদের উপস্থিতে মুখর টাঙ্গুয়ার হাওর।
রূপে-গুণে অনন্য সুনামগঞ্জের তাহিরপুর টাঙ্গুয়ার হাওর। পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয়। দেশের অন্যতম সুন্দর ও জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ সম্ভাবনাময় জলাভূমি। হাওরের উত্তরে ভারতের মেঘালয় পাহাড়। এই পাহাড় থেকে ৩৮টি ঝরণা নেমে মিশেছে টাঙ্গুয়ার হাওরে। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের এই লীলাভূমিতে কে না চায় আসতে।
টাঙ্গুয়ার হাওরে ঢুকার একাধিক প্রবেশ পথ আছে। যারা তাহিরপুরের লাউড়েরগড় হয়ে যাবেন তাদের জন্য বাড়তি পাওয়া আছে। এই পথে পাহাড়ের বুক ছিড়ে নেমে আসা অপরূপা যাদুকাটা ও শহীদ সিরাজ লেক যেন ডাকছে পর্যটককে। এখানে আসলে যে কারো মন জুড়াবে।
এদিকে বাউলসম্রাট আব্দুল করীমের গানের কথার মতো ঝিলমিল করা ‘ময়ূরপঙ্খী নাও’ না থাকলেও পর্যটকদের ঘোরার জন্য সেখানে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসংবলিত বাহারি সব নৌকা।
স্থানীয়রা বলছেন, টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র রক্ষা না হলে এখানে একসময় পর্যটক আসাও বন্ধ হয়ে যাবে। বিখ্যাত এই জলাভূমির আপন ঐতিহ্য রক্ষায় তাই সকলকেই আন্তরিক থাকতে হবে।