ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন পদক্ষেপে অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে অভিবাসী পরিবারের প্রায় হাজারো ছোট ছোট শিশু। যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের একটি শিক্ষা সহায়ক কর্মসূচি ‘প্রি-স্কুল প্রোগ্রাম-হেড স্টার্ট’ থেকে বাদ পড়তে পারে বৈধতা নেই এমন অভিবাসী পরিবারে শিশুরা। এর ফলে জাতীয়ভাবে প্রায় ৫০ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত একটি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি, যেখানে শিশুদের শেখার পাশাপাশি সামাজিক ও শারীরিক বিকাশেও সহায়তা দেওয়া হয়। বহু অনিয়মিত অভিবাসী পরিবার এই সেবার ওপর নির্ভরশীল, বিশেষ করে যারা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল।
নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের প্রেসিডেন্ট ও সিইও মুরাদ আওয়াওদেহ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্টভাবে শিশুদের টার্গেট করছে। ‘প্রি-স্কুল প্রোগ্রাম সহ হেড স্টার্টের মতো প্রোগ্রাম বহু বছর ধরে দরিদ্র অভিভাবকদের পাশে থেকেছে, শিশুদের স্কুলের জন্য প্রস্তুত করে তুলেছে। কিন্তু এখন শুধু অভিবাসন অবস্থান দেখেই শিশুদের বাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা নির্মম ও অমানবিক।”
নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুধু হেড স্টার্টই নয়, একইসঙ্গে বন্ধ হতে পারে মানসিক স্বাস্থ্য, মাদকাসক্তি নিরাময়, আচরণগত স্বাস্থ্যসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় সেবা।
ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, ১৯৯৬ সালের একটি পুরনো আইনের নতুন ব্যাখ্যার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে অভিবাসীদের অধিকার সংস্থাগুলোর ভাষ্য এই সিদ্ধান্ত মানবিকতা বিরোধী এবং সরাসরি শিশুদের ভবিষ্যতের বিরুদ্ধে এক ধাক্কা।
নিউইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশন একযোগে প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে এবং অবিলম্বে নীতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। তাদের মতে, শিশুদের বিকাশের জন্য এই প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করা মানে দেশের ভবিষ্যৎকে দুর্বল করে ফেলা।
মুরাদ আওয়াওদেহ আরও বলেন, “শিশুদের নাগরিকত্ব নয়, দরকার যত্ন ও সুযোগ। সরকার যখন তাদের কাছ থেকে শিক্ষা ও নিরাপত্তার অধিকার কেড়ে নেয়, তখন তা পুরো সমাজের স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।”