শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ১১:৪১ পূর্বাহ্ন

অদম্য দুই উদ্যোক্তা ফাতেমা-ইয়াসমিন নারীদের অনুপ্রেরণার নাম

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৯ মে, ২০২৫

চাকরিহীন-বেকার; দুই সন্তানকে নিয়ে হতাশায় ডুবে যাওয়া ফাতেমা আজাদের মনে হয়েছিল অনার্স মাস্টার্সের সার্টিফিকেটগুলো ছিঁড়ে ফেলবেন। কিন্তু শৈশবে তাকে ঘিরে বাবা-মায়ের স্বপ্ন আর স্বামীর প্রেরণা তাকে হারিয়ে যেতে দেয়নি। উদ্যোক্তা হিসেবে তিনি নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের সবজি-ফলের আচারসহ অর্ধশতাধিক খাদ্যপণ্যের উৎপাদন করে প্রতিমাসে তিনি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন করছেন। অনলাইন থেকে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে একটি আউটলেটও করেছেন।

অন্যদিকে ইয়াসমিন সুলতানা স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান। স্বপ্ন ছিল বিচারক হয়ে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবেন। কিন্তু আকস্মিক বাবার প্রয়াণ এবং পরবর্তীতে দ্রুত বিয়ে তার সেই স্বপ্নকে আঁধারে ঢেকে দেয়। এরপরও ছোট্ট মেয়েকে কোলে নিয়ে অনার্স, মাস্টার্স এবং ল’ পাস করে আইনজীবীর গাউন গায়ে তুলেছিলেন। কিন্তু পারিবারিক ও সন্তানের কারণে সেখান থেকেও গুটিয়ে নিতে হয় নিজেকে।

jagonews24ইয়াসমিন তার অদম্য চেষ্টায় আজ হয়েছেন সফল উদ্যোক্তা

তবে তারপরও দমে যাননি ইয়াসমিন; নিজেকে গুটিয়ে নেননি নিজের জীবন থেকে। স্বামী-সন্তান সামলে উদ্যোক্তা পরিচয়ে সফলতার দ্বারে কড়া নাড়ছেন তিনি। হরেক রকম মসলা আর নান্দনিক খাদ্যপণ্যের ‘জননী’ তিনি। হোমমেড মসলা ও খাবারের কারবারে প্রতিমাসে তিনি উপার্জন করেন ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা।

এই ফাতেমা ও ইয়াসমিনদের সংগ্রামের সারথী হয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। শুধু ফাতেমা বা ইয়াসমিন নন; এমন অসংখ্য উদ্যোক্তাদের ‘অন দ্য জব’ প্রশিক্ষণ এবং প্রশিক্ষণপরবর্তী সহযোগিতার মাধ্যমে নিজেদের পায়ে দাঁড়ানোর শক্তি যোগাচ্ছে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি।

সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলতে চাওয়া ফাতেমা আজাদ এখন ‘সনদ বিতরণ’ করেন। ফাতেমা আজাদের জন্ম যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার লাউজানি গ্রামে নিম্ন আয়ের একটি পরিবারে। বাবা ফজলুল হক ক্ষুদ্র দোকানি। এই পরিবার থেকে উচ্চশিক্ষা অর্জনের স্বপ্ন কেউ দেখেনি। কিন্তু ফাতেমাকে নিয়ে স্বপ্ন ছিল তার বাবা-মায়ের। সেই স্বপ্নকে সঙ্গী করে ঝিকরগাছা থেকেই ২০০৬ সালে যশোর সরকারি এমএম কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স ভর্তি হন।

পড়াশোনার পাশাপাশি স্থানীয় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চাকরি শুরু করেন এবং ২০০৮ সালে বিয়ে করেন সহকর্মী আবুল কালাম আজাদকে। বিয়ের পর সন্তান হওয়ায় চাকরি ছেড়ে দেন। এরপর একটি প্রাইভেট স্কুলে জামানত দিয়ে চাকরিতে ঢুকলেও প্রতিষ্ঠানটির মালিক প্রায় ৩০ জন শিক্ষক-কর্মচারীর জামানতের টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এই সময়েই দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দেন ফাতেমা। চাকরি নেই; বেকার।

দুই সন্তান নিয়ে স্বামীর একার উপার্জনে শহরে জীবন যাপন করা দুরূহ। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি চাকরিও বয়স পেরিয়ে যায় ফাতেমার। হতাশায় অনার্স-মাস্টার্সের সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলতে চেয়েছিলেন। এ সময় স্বামী আবুল কালাম আজাদ তার পাশে দাঁড়ান। স্বামীর সাহস এবং বাবা-মায়ের সেই শৈশবের স্বপ্নকে ধারণ করে নিজেই কিছু করার পথ খুঁজতে থাকেন ফাতেমা। এরই মধ্যে করোনা মহামারি আকার ধারণ করে।

রান্নার হাত ভালো হওয়ায় অনলাইনে হোমমেইড খাবার সরবরাহের পরিকল্পনা করেন। প্রথম একজন ক্রেতা ১২ প্যাকেট বিরিয়ানির অর্ডার করেন এবং ১২শ’ টাকা অগ্রিম দেন। এই ১২শ’ টাকাকে পুঁজি করেই যাত্রা শুরু ফাতেমার। এ সময় করোনা বিস্তার লাভ করায় হোম মেইড খাবারের চাহিদা বাড়ে। আবার স্বামী ও নিজের পূর্বের চাকরির সূত্র ধরে হাসপাতাল-ক্লিনিক ও চিকিৎসকদের খাবারের অর্ডার আসতে থাকে। এভাবে অনলাইনে খাদ্যপণ্যের ব্যবসা প্রসার লাভ করায় প্রশিক্ষণেও আগ্রহী হন তিনি।

এরপর ফাতেমা ফুড, বেকারি এবং কুকিং বিষয়ে বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ) এর লেভেল ফোর প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করেছেন। সর্বশেষ তরুণ ও নারী উদ্যোক্তাদের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পার্টনার প্রোগ্রামের আওতায় অন দ্যা জব প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১২ দিন ব্যাপী খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ব্যবসা পরিচালনার প্রশিক্ষণও নিয়েছেন।

সংগ্রামী উদ্যোক্তা ফাতেমা আজাদ বলেন, ২০০৭ সালে চাকরি শুরুর পর নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে ২০১৯ সালে উদ্যোক্তা হিসেবে খাদ্যপণ্য নিয়ে কাজ শুরু করি। অনেক দুঃসময় এসেছে; কিন্তু কখনো দমে যাইনি। দুটি সন্তান দেখভাল করার লোক পাইনি। শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলেছে, বাপের বাড়ির সহযোগিতা নাও, আর বাপের বাড়ির লোকজন বলেছে, শ্বশুর বাড়ির সহযোগিতা নাও। ছোট ছেলেকে কাঁধে ঝুলিয়ে বাইক চালিয়ে খাবার ডেলিভারি করেছি।’

ফাতেমা জানান, চলার পথে লোপা মীর্জা, জেসমিন রোজ, মুসলিমা খাতুনসহ অনেকেই নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। এখন ফাতেমা ফল-সবিজর ৫০ রকমের আচারসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য উৎপাদন করছেন। এরমধ্যে রয়েছে, বেগুন, করোলা, গাজর, বরবটিসহ প্রচলিত বিভিন্ন সবজির আচার, আমের আচার, জলপাইয়ের আচার, বরই আচার, তেঁতুল বরই এর মিক্সট আচার চালতার আচার, মিক্সচার আচার, বোম্বাই মরিচের আচার, বোম্বাই মরিচ রসুনের মিক্সচার আচার, বিভিন্ন ফলের আচার, হোমমেইড চকলেট, বিভিন্ন ধরণের কেক, বিস্কুট, বেকারি পণ্য। এর বাইরে হোমমেইড খাবার, বিভিন্ন ধরনের বিরিয়ানি, চুইঝালের মাংস, কাবাব, পিৎজা, বার্গার, ডেজার্ট, ফ্রোজেন আইটেম উৎপাদন ও বিক্রি করছেন। প্রতিমাসে গড়ে তার ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা উপার্জন হয়। এছাড়া ট্রেইনার হিসেবেও কাজ করছেন। প্রশিক্ষণ দিয়ে বিতরণ করছেন ‘সনদ’ও।

ফাতেমা আজাদ আরও জানান, সংগ্রামের দীর্ঘ পথে যুব উন্নয়ন পুরস্কার, জয়ীতা পুরস্কারসহ বিভিন্ন পুরস্কারও পেয়েছেন। সর্বশেষ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের সহযোগিতায় শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া সড়কে মাহমুদুর রহমান স্কুল মোড়ে ‘আলোর সঞ্চয় এগ্রো ফুড এ্যান্ড ট্রেনিং সেন্টার’ নামে আউটলেট দিয়েছেন। আর ‘আলোর সঞ্চয় এগ্রো ফুড’ নামে ফেসবুক পেজ থেকেও অনলাইনে খাবার সরবরাহ করছেন।

ফাতেমা আজাদের স্বামী বেসরকারি চাকরিজীবী আবুল কালাম আজাদ বলেন, ফাতেমা একসময় হতাশ হয়ে পড়েছিল। সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলতে চেয়েছিল। তখন তাকে উদ্বুদ্ধ করেছি। তার মধ্যে অদম্য শক্তি আছে। সেই শক্তির বলে এখন সে নিজের পায়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

অন্যদিকে উদ্যোক্তা ইয়াসমিন সুলতানার গল্পটা ভিন্ন। যশোর শহরের ধর্মতলা তিনখাম্বার মোড় এলাকার বাসিন্দা ইয়াসমিন স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান। বাবা সরকারি কর্মকর্তা ছিল। স্বপ্ন ছিল ল’ পড়ে বিচারক হয়ে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখবেন। কিন্তু অনার্সে ভর্তি হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই বাবা মারা যান। অনার্স ফার্স্ট ইয়ারের শেষে বিয়ে হয়ে যায়। বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার সঙ্গে লড়াই করতে করতে ছোট্ট মেয়েকে কোলে নিয়েই মাস্টার্স, বিএড এবং এলএলবি কমপ্লিট করেন।

jagonews24অন্য নারীদের সাবলম্বী হতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন ফাতেমা

এরপর শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে জর্জ কোর্টের ক্রিমিনাল সেকশনে সাড়ে তিন বছর প্র্যাকটিস করেন। এর মধ্যে একটি সন্তান ‘মিসক্যারেজ’ হয়ে যায়। ২০১৯ সালে নতুন করে ‘কনসিভ’ করলে চিকিৎসকের পরামর্শে আইন পেশা ছেড়ে দেন। এরপরই উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প শোনান ইয়াসমিন।

জানালেন, চাকরির সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সন্তানদের জন্য সেই সুযোগ গ্রহণ করতে পারিনি। আইন পেশাও ছেড়ে দিতে হলো। তখন বাসায় বসে ভাবতে থাকেন এত পড়াশোনা কেন করলাম? যদি কিছু নাই করতে পারি! আর যখন কোর্টে প্র্যাকটিস করতাম তখন নির্যাতিত, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের দেখে খুব কষ্ট লাগতো। তাদের জন্য কিছু করার এবং অসহায় নারীদের পাশে দাঁড়ানোর খুব ইচ্ছা ছিল। সেই চিন্তা থেকেই এই নারীদের নিয়ে হস্তশিল্পর কাজ শুরু করি। এই সময় আমার দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হয় এবং করোনাকালে ব্যবসা বন্ধ হয়ে যায়। যেহেতু আমি আমার বিজনেসটাকে ব্র্যান্ড হিসেবে দাঁড় করাতে চেয়েছিলাম; কিন্তু বিজনেস সম্পর্কে কোনো আইডিয়া ছিল না। তাই করোনাকালে অনলাইন ঘেটে ‘ই কমার্স’ সম্পর্কিত বিভিন্ন ট্রেনিং নেওয়া শুরু করি। সর্বশেষ কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের ‘অন দ্য জব’ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১২ দিন ব্যাপি খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ ও ব্যবসা পরিচালনার প্রশিক্ষণও গ্রহণ করি।

তিনি আরও জানান, ‘যেহেতু আমি রান্না করতে ভালোবাসি এবং আমার রান্না অনেকেই পছন্দ করেন-সেই ভাবনা থেকে খাদ্যপণ্য নিয়ে কাজ শুরু করি। রান্নার কাজ করতে গিয়ে দেখলাম-মানসম্মত মসলার অভাবে খাবারের মানে হেরফের হচ্ছে। এ সময় আমি গুড়া মসলা নিয়ে কাজ শুরু করি। পাশাপাশি বৈচিত্র্যময় খাদ্যপণ্য উৎপাদনের চেষ্টা করি। এখন আমি বাড়িতেই মরিচ, হলুদ, জিরা, মসলাসহ বিভিন্ন ধরণের গুঁড়া মসলা তৈরি, বিট রুট পাউডার, স্পেশাল শাহী মসলা তৈরি করি। এছাড়া আমার নিজের ক্রিয়েটিভিটি থেকে স্পেশাল মিক্সড বেসন, রেডি টু মিক্স হালিম, পিয়াজু মিক্স, কুমড়োর বড়ি ইত্যাদি তৈরি করছি। ৪/৫ জন নারী কর্মী আমার এই কাজে যুক্ত রয়েছে।

এছাড়া ‘অন দ্য জব’ প্রশিক্ষণের পর আমার উদ্যোগের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত করি যেমন টমেটো গুঁড়া, কাঁচামরিচের গুঁড়া, সরিষা গুঁড়া, বেগুনের আচার, সবজির আচার, বিভিন্ন জ্যাম জেলি ইত্যাদি। অনলাইনে ‘নান্দনিক ফুড অ্যান্ড এগ্রো’ পেজ থেকে এসব পণ্যের বেচাকেনা হচ্ছে। এই কাজ থেকে প্রতিমাসে গড়ে ২০ থেকে ২৫ টাকার উপার্জন হয়। এখন একটি আউটলেট স্থাপনেরও উদ্যোগ নিচ্ছি।’

ইয়াসমিন সুলতানা এরইমধ্যে ‘অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী নারী’ হিসেবে জয়িতা সম্মাননা এবং যুব উন্নয়নের সম্মাননাও পেয়েছেন। তার স্বপ্ন তুলে ধরে বলেন, এখন আমি আমার উদ্যোগকে শুধু দেশের মধ্যে নয় দেশের বাইরেও ব্র্যান্ড হিসেবে প্রচার করতে চাই। বর্তমানে আমার উৎপাদিত বিট রুট পাউডার এবং স্পেশাল মিক্সড বেসন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। আমার স্বপ্ন আমার উদ্যোগ একদিন দেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশেও পৌঁছে যাবে।’

ইয়াসমিন সুলতানার স্বামী যশোর সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক আরিফুর রহমান জানান, ‘ইয়াসমিনের রান্নার হাত বরাবরই ভালো। এ কারণে খাদ্যপণ্যের উদ্যোক্তা হিসেবে সে যথেষ্ট সুনাম অর্জন করেছে। তার স্বপ্ন তার খাদ্যপণ্য ব্র্যান্ড হিসেবে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে। সেই স্বপ্ন পূরণে সে নিরলসভাবে কাজ করছে।’

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে যশোরে ‘প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল অ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনারশিপ অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার-ডিএএম অঙ্গ)’ শীর্ষক প্রকল্পে তরুণ ও নারী উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করছে প্রিজম এগ্রো অ্যান্ড ফুড’।

প্রিজম হোটেল ম্যানেজমেন্ট স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইন্সটিটিউট’র চেয়ারম্যান বশির আহমেদ চন্দন জানান, দেশব্যাপী বিশেষ করে তরুণ ও নারীদের মধ্যে কৃষি ব্যবসায় উদ্যোক্তাদের বিকাশকে উৎসাহিত করতে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com