এ্যাম্বাসীতে আপনাদের ফেয়ারওয়েল অনুষ্ঠানে চাইনিজ রাষ্ট্রদূত হয়তো এবছরও বলতে পারেন যে আপনারা ৫ কেজি এক্সট্রা ক্যারি করতে পারবেন..তারপর খুশিতে সবাই হাততালিও দিবেন! সরি টু সে এটা ওনি বলার জন্যই বলে থাকেন। পরে চায়না ইস্টার্ণ এয়ারলাইন্সকে একদমই ইনফর্ম করেননা। আসলে এটা করলেও লাভ হবেনা। বিকজ চায়না ইস্টার্ণের টিকেট পলিসিতেই ক্লিয়ার করে লিখা থাকে যে বড় ব্যাগেজে ২০ কেজি পারমিট পাবেন। সো এটাই ফলো করেন। আর যদি না করেন তাইলে ফ্লাইটের দিন দেখবেন যে ব্যাগেজে ২৫ কেজি করে নিয়ে আসছেন বাধ্য হয়ে অনেক প্রিয় জিনিস এয়ারপোর্টে ফেলে আসা লাগবে। ব্যাপারটা খুবই কষ্টের..
আপনি একটা হ্যান্ড ব্যাগ ক্যারি করতে পারবেন। এটাতে কোনো রুলস নেই এতই করা লাগবে। আর একটা কাধ ব্যাগ অর ট্রাভেলিং ব্যাগ তো থাকছেই। আরেকটা কথা, যারা সরিষার তেল ক্যারি করার প্ল্যান করছেন সেটা অবশ্যই মনে করে বড় ব্যাগেজে রাখবেন, সো বুঝতেই পারছেন লিকুইড হ্যান্ড ব্যাগেজ, ট্রাভেলিং ব্যাগে এলাওড না।
আপনাদের আসার টিকেট এ্যাম্বাসী থেকে ফ্রিতে মেইল করে দিবে। সেফটির জন্য এক কপি প্রিন্ট করে সাথে রাখতে পারেন। তারপর নির্দিষ্ট তারিখে এয়ারপোর্টে চলে আসুন,বড় ব্যাগেজটা বুকিং দেয়ার সময় অফিসারকে জিজ্ঞেস করে নিন যে কুনমিংয়ে ট্রানজিট এর সময় ব্যাগেজ টা আপনাদের রিসিভ করা লাগবে কিনা। (আমার করা লাগে নাই।বাট আমি আগে থেকে জিজ্ঞেস না করায় সিউর ছিলাম না। তাই টাইম নষ্ট হইছে) তারপর ইমিগ্রেশন করেই একদম ফ্লাই!
২/২.৫ ঘন্টা এয়ারজার্নির পর কুনমিংয়ে নামবেন। নামার পরই এয়ারলাইন্স এর কাউকে পাবেন যে দেখিয়ে দিবে বেইজিং এর প্যাসেন্জাররা কোনদিকে যাবেন, অবশ্য তাকে বোর্ডিং কার্ডটা দেয়া লাগবে। হয়তো সে বেইজিং এর বিমানের টিকেটটাও দিয়ে দিবে। (আমার সময় দিয়ে দিছিল) টিকেট দিয়ে দেয়া মানে আপনার নতুন করে বোর্ডিং করা লাগবে না। সো সোজা তাড়াতাড়ি হেটে বেইজিং এর জনসমুদ্রের সাথে নিচতালায় যাবেন। এগেইন ইমিগ্রেশন ফর্ম ফিলআপ করে ইমিগ্রেশন করে নিবেন।
দ্যান অনেককেই দেখবেন যে ব্যাগেজ ক্লেইম করার জন্য ওয়েইট করবে।(বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট অফিসার যদি বলে যে আপনার কুনমিংয়ে ব্যাগেজ রিসিভ করা লাগবে না এবং যদি কুনমিংয়ে নেমেই বেইজিং এর টিকেট পেয়ে যান) তাইলে আপনি অবশ্যই যারা ওয়েইট করছে তাদের অন্তর্ভূক্ত নন।
সোজা কুনমিং এয়ারপোর্টের নিচতলা থেকে লিফটে ধরে ৩ তলায় চলে আসবেন। দ্যান সিকিউরিটি চেকআপে করে টিকিটে দেয়া গেইট নং খুজে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিমান ধরবেন। মাঝের এই ১ ঘন্টা ট্রানজিটে অনেকেই বিমান মিস করে একটু ঝটপট না হবার কারণে।
তারপর নিউ প্লেন ধরে সোজা বেইজিং।বেইজিংয়ে পৌছাবেন রাত ১ টায়। তারপর ঢাকায় বুকিং দেয়া নিজের ব্যাগেজটা রিসিভ করুন। দ্যান এত রাতে থিয়ানজিনে যাওয়ার জন্য কিছুই পাবেননা। তাই রাতটা একটু কষ্ট করে সকল থিয়ানজিনগামীদের সাথে একসাথে গল্প করে কাটিয়ে দিন। ভোর হলে আপনারা প্রধানত ২ ভাবে থিয়ানজিন আসতে পারবেন। বুলেট ট্রেন আর বাস। প্রথম উপায়ে না আসাটাই ভালো ব্যাগেজগুলো নিয়ে কষ্ট হবে। বাসে আসাটা খুব কনভেনিয়েন্ট এয়ারপোর্টে একটু খুঁজলেই এয়ারপোর্ট সাটল বাসের কাউন্টারটা পেয়ে যাবেন। দ্যান ওখানে গিয়ে জনপ্রতি ৮৫ rmb করে টিকেট কেটে ফেলুন। তারপর বাস ছাড়ার ঠিক ২ ঘন্টা পর আপনি থিয়ানজিনে। নেমেই যতজন থাকবেন তার উপর ডিপেন্ড করে ট্যাক্সি নিয়ে নিবেন। ট্যাক্সি ড্রাইভারকে বলবেন,”থিয়ানজিন তাশুয়ে”
প্রথমে বলবেন মিটারে যাবেন,হোপফুলি রাজি হবে আর রাজি না হলে 15/20 rmb পার ট্যাক্সি করে চলে আসুন থিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয় এর ওল্ড ক্যাম্পাসে। ড্রাইভার চাইনিজে বলবে,
– “নিম্যান ইউাও ছু নালি”?
আপনারা যদিও কিছু বুজবেননা,শুধু এইটুকু বলবেন যে,
– ” ছুশ্য উুশি লউ (sushe wushi lou)
মানে আপনারা ৫০ নম্বর ডরমিটরিতে যাবেন। ড্রাইভার ডরমিটরির সামনে নামিয়ে দিবে, দ্যান সকল ডকুমেন্টস দেখিয়ে তার পরপরই আপনারা রুম পেয়ে যাবেন। সিকিউরিটি মানি দেয়া লাগতে পারে। পরে ফেরত পেয়ে যাবেন। তোশক,বেডশিট সব অথোরিটি দিবে।
অনেক তো হলো এবার ঘুম!!!
৫০ নম্বর ডরমিটরিতে ২১৫ নম্বর রুমে এক বাংলাদেশী সিনিয়র ভাইকে পাবেন। তিনি পিএইচডি তে অধ্যয়নরত।এ ই ভাইয়া অনেক হেল্প করবেন। আরো কিছু ভাইয়া আপু আছেন, সবাই খুব হেল্পফুল। যারা কেমিক্যালে ইন্জিনিয়ারিং এর… তাদের নিউ ক্যাম্পাসে থাকা লাগবে। এগুলো পরে জানতে পারবেন। আপনাদেরকে সব ইনফর্ম করা হবে।
আপনারা এসে ক্যাম্পাসে যদি কোনো মোবাইল সিম কোম্পানিদের ফেয়ার পান তাইলে ওখান থেকেই China Unicom or China Mobile এর ভালো একটা প্যাকেজ দেখে কিনে নিবেন। আমার মতে China Unicom টাই ভালো। ওল্ড ক্যাম্পাসে ভালোই নেট পায়।
তারপর আপনাদের একাডেমীক রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এগুলো কবে হবে, কোথায় হবে সব অথোরিটি থেকে জানিয়ে দেয়া হবে। আর টুকটাক কিছু জিনিসে হয়তো আপনারা ভাষাগত সমস্যায় পড়তে হতে পারে। অনেক জায়গা চিনবেন না।য খন যেটা প্রবলেম হবে সিনিয়রদের বলবেন,সমস্যা দূর!
দেশে কথা বলার জন্য প্লে স্টোর থেকে Rynga আ্যাপসটা ডাউনলোড দিয়ে নিবেন। Rynga হচ্ছে একটা mobile voip যেটা দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল কল করা যায়। প্রায় ১০০টারও উপরে দেশে ফ্রীতে কল করা যায়। বাংলাদেশে প্রতি মিনিটে ০.০৩ ইউরো কস্ট হয় যা তুলনামুলক অনেক কম। এখানের সিম কার্ড দিয়ে ইন্টারনেশনাল কল অনেক এক্সপেন্সিভ। অনেক সময় ইন্টারনেশনাল কলের অপশনটা থাকে না। তাই Rynga তে প্রতিবার ১০ ইউরো = ৮৫ rmb সমতুল্য হবে রিচার্জ করে নিবেন।
আপনাদেরকে ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাংকের ডেবিড কার্ড করে দিলে এটা মোবাইল নম্বর এর সাথে এড করে ফেলবেন। আপনি থিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট বললে ব্যাংক থেকে কোনো কস্ট রাখবে না। সিম কিনা, ব্যাংক কার্ড করা এইসব যাবতীয় কাজের জন্য পাসপোর্ট সাথে রাখবেন।
তারপর আপনাদেরকে মেডিকেল চেকআপ করানো লাগবে। অথোরিটি থেকে বাসে করে একটা হসপিটালে নিয়ে যাবে। দেশ থেকে আসার আগ মুহুর্তে মেডিকেল চেকআপের সব রিপোর্ট মনে করে নিয়ে আসবেন, না আনলে ৬০০ rmb এর ধাক্কা সামলান (আমিও সামলিয়েছিলাম)!!!! আনলে হয়ত ২০০ rmb এর মধ্যে হয়ে যাবে।
থিয়ানজিনে যারা ১ বছরের জন্য থাকবেন ল্যাংগুয়েজ কোর্সে তাদের রেসিডেন্স পারমিট এর জন্য ৮০০ rmb লাগবে। (আমার সময় লাগছিল,মনে হয় কমাবে/বাড়াবে না)।
সো বুজতেছেন প্রথম মাসে এসেই অনেক খরচ..উপরোক্ত সকল খরচ+নিজের থাকা খাওয়া সব কিছুর জন্য মিনিমাম ২৫০০-৩০০০ rmb নিয়ে আসবেন। কারন সেপ্টেম্বর এর স্কলারশিপ এর টাকা পেতে দেরী হবে। তারপর থেকে আর সমস্যা হবেনা। মাসের ৭/৮ দিন আগেই পেয়ে যাবেন।
[বিঃদ্র] সেলফ পেইড এর যারা আসবেন তারা অবশ্যই আসার পরপরই আপনাদের সেমিস্টার ফী,ডরমিটরি ফী, আরো আনুসঙ্গিক খরচ কত লাগতে পারে এগুলো খোজ খবর নিয়ে আসবেন। পূর্বের কেউ কেউ এই ভুলটা করেছেন এবং ঝামেলায়ও পড়েছিলেন! তাই সেলফ পেইডে যারা আসবেন তারা মিনিমাম ৫৫০০-৬০০০ rmb নিয়ে আসবেন।
আর অলওয়েজ রান্নাবান্না করে খেতে পারবেন। যতটা সম্ভব মিক্সড টাইপ গুড়া মশলা নিয়ে আনবেন। কিচেনের ভালো ব্যবস্থা আছে ওল্ড ক্যাম্পাসের ডরমিটরি গুলোতে।
আর এখানে আসার পরপরই কিছু বিষয় যেমন মিনারেল ওয়াটার এর বড় বোতল কিনে খেতে হবে।একটা “শিফু” (বয়স্ক/অভিজ্ঞ ব্যাক্তিদের শিফু বলা হয়) আছেন ওনি supply করেন। প্রতি বোতল ১০ rmb করে। শুরুতে ২৫/৩০ rmb deposit করা লাগে। যেই রিসিটটা দিবে এটা রেখে দিলে পরে এটা দেখালে টাকা ফেরত দেয়। এই ব্যাপারে সিনিয়র ভাইয়াকে বল্লে তিনি হেল্প করবেন। আসার পর কিছুদিন বাইরে খাওয়া লাগতে পারে। এই ব্যাপারে উপরোক্ত ভাইয়াকে বলবেন ভাইয়া চিনেয়ে দিবেন কোথায় মুসলিম ক্যান্টিন,মুসলিম রেস্টুরেন্ট আছে।
আর হা এখানে মানুষজন rmb cash সাথে নিয়ে কমই ঘুরে। Wechat or Alipay তে সব জায়গায়, সব খরচ pay করতে পারবেন। Cashless Society যাকে বলে! ব্যাংক কার্ড হয়ে গেলে Wechat এ wallet একটা অপশন আছে এটা চালু করে নিবেন। মেইনল্যান্ড চায়নাতে যদি কেউ Wechat খুলে তাহলে অটোমেটিক এই অপশনটা চালু হয়ে যায়।আর যারা চায়নার বাহির থেকে Wechat account খুলে তাদের মে বি 1 or 2 rmb transfer করলে অপশনটা চালু হয়। Alipay অ্যাপসটা নামিয়ে account করে নিবেন।
Wechat, Alipay দিয়ে আপনি QR code scan করে মুহূর্তে টাকা পে করতে পারবেন।
আপনাদেরকে যে ব্যাংক কার্ড দেয়া হবে CCB(China Construction Bank) এর এটা Union Pay, Union Pay মানে হচ্ছে আপনি গ্লোবাল্লি সব জায়গায় এই কার্ড দিয়ে টাকা পে করতে পারবেন।
এখানের মানুষজন অনলাইনে কেনাকেটা করে। শপিং এর জন্য Taobao, JD.com এইসব সাইট ইউজ করে শপিং করতে পারেন। জাস্ট অ্যাপস গুলো নামাবেন, নিজের নাম,মোবাইল নম্বর, এড্রেস, ব্যাংক কার্ড এ্যাড করবেন তাতেই হয়ে যাবে। একেবারে ডরমিটরি এর নিচে এসে আপনার জিনিস দিয়ে যাবে। এইসব সার্ভিস পেতে গেলে ব্যাংক কার্ড লাগবে। আর ব্যাংক কার্ড পেতে গেলে চায়না আসা লাগবে, রেজিস্ট্রেশন করা লাগবে,বাকি সব ফর্মালিটিস পালন করা লাগবে।
আর দেশে থাকতেই Pleco dictionary, Baidu translator এই আ্যাপস গুলো প্লে স্টোর থেকে নামিয়ে নিবেন। অনেক কাজের এই আ্যাপসগুলো। নিজের ভাষাগত সমস্যা থেকে একটু হলেও পরিত্রাণ পাবেন। আর অলওয়েজ Baidu Map টা ইউজ করবেন। Baidu Map টা খুবই কনভেনিয়েন্ট! লোকাল কোনো চাইনিজেরও হেল্প লাগবেনা আপনার। মাঝেমধ্যে তারা মিসগাইডও করতে পারে।
এখানে ফেসবুক ভিপিএন দিয়ে ইউজ করতে হয়। এজন্য মোবাইলে আগে থেকেই কয়েকটা ভিপিএন এ্যাপ ইন্সটল করে রাখবেন।
এখানে play store এর বদলে one mobile market ইউজ করতে পারবেন ভিপিএন ছাড়া। চাইনিজদেরও নিজস্ব ইউটিউব টাইপ আছে নাম হচ্ছে Youku, এটা ইউজ করতে ভিপিএন লাগেনা।
আর ট্রাভেলিং এর জন্য,ভেকেশনে দেশে যাওয়ার জন্য Ctrip, Qunar, Ali travels এই আ্যাপস গুলো ইউজ করতে পারেন। যেটাতে কমে পাওয়া যায়। এই আ্যাপস গুলো দিয়ে ট্রেনের টিকিটও কাটতে পারবেন।
প্রথম কিছুদিন খুব খারাপ লাগবে।ভাষাগত সমস্যা টাই বেশি। কাউকে কিছুই বুজানো যায় না! তারপর ক্লাস শুরু হলে,চাইনিজ শিখা শুরু হলে ভালো লাগা শুরু হবে। একটা টাইম ভালো লাগবেও! থিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশীদের অনেক সুনাম। বাংলাদেশী ল্যাংগুয়েজের স্টুডেন্টরা অলয়েজ ভালো করে, সেমিস্টার এক্সামে প্লেস করে, পুরস্কার পায়। সো,আশা করি এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
আর থিয়ানজিনে গরমের সময় প্রচন্ড গরম, ঠান্ডার সময় প্রচন্ড ঠান্ডা। ঠান্ডার কাপড় দেশ থেকে না আনাই ভালো। কারন এতই ঠান্ডা যে আপনাকে এখান থেকে ভারী কাপড় কিনাই লাগবে।
আর প্রথমদিকে সব সমস্যা নতুনরা সবাই একসাথে মোকাবেলা করাটাই শ্রেয়। ঝামেলা কম মনে হবে।
আমি এগুলা না বললেও সবকিছু জানতেন হয়তো কিছুদিন পরে জানতেন এইটুকুই পার্থক্য। আপনাদের কাছে যেনো ওভারঅল ক্লিয়ার হয়ে যায় ব্যাপারগুলো তাই আগে থেকে বলে দিলাম।
[বি:দ্র] ১ rmb = 13 টাকা এই হিসাব করে খরচ করবেন না প্লিজ। তাইলে প্রথম দিকে এসে এত খরচ হবে বলা যায় না হিট স্ট্রোকও হয়ে যেতে পারে।।।
আসার পরপর চায়নাতে কোরবানীর ঈদ করতেও পারেন। ইনশাল্লাহ কোরবানীর ঈদ ভালোই যাবে সবার।থিয়ানজিন বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন বাংলাদেশী প্রফেসর আছেন।এখানে সবাই একসাথে ঈদ সেলিব্রেট করা হয়।
দেশ ছেড়ে আসলে বুঝবেন দেশ কি জিনিস!! সর্বদা নিজের দেশীয় ভাইকে হেল্প করার মেন্টালিটি রাখবেন…আগে নিজের চিন্তা না করে সবার কি হবে এই চিন্তাটা করুন..ইউনিটি হয়ে থাকুন..প্রাউডলি বলবেন ইউ আর ফ্রম বাংলাদেশ!!! খেলা হবে যোগ্যতায়, দেখা হবে বিজয়ের মঞ্চে..!!!
একটা নেগেটিভ অর ফানি ব্যাপারকে ভাইরাল না করে একটা পজিটিভ ব্যাপারকে ছড়িয়ে দিন!! আপনার যদি মনে হয় যে এই লিখাটা পড়ে চেনা পরিচিত কেউ উপকৃত হবেন তাইলে শেয়ার করুন তাদের সাথে..।
অপরকে উপকার করুন!!!
একটু হলেও শান্তি পাবেন!!!
সবার যাত্রা শুভ হোক।
ওয়েলকাম টু চায়না!!
ওয়েলকাম টু থিয়ানজিন ইউনিভার্সিটি!
লিখেছেন – নাজমুল আলম নাঈম