এইসব মেঘ-রোদ্দুরের মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ মনটা কেমন কেমন লাগে। ২ হাজার/ ২২শ কিলোমিটারের আলাদা একটা ভার তো আছে! ঘণ্টায় ৫ কিলোমিটার বেগের বিরতিহীন পদব্রজেও তো সে প্রায় ডাবল সেঞ্চুরির সমান ভার। তাই বুঝি হঠাৎ মেঘ দেখলে মনে পড়ে যায় ‘মেঘ বলেছে যাব যাব…’ (রবি ঠাকুরেরটা নয়, কলেজ জীবনের বন্ধু অচিন্ত্যের তৈরি, শত অনুরোধেও যার কোনো রেকর্ড হয়নি; যতটুকু আছে, শুধু স্মৃতিতেই)।
জল হাসে, জলতার চুড়িপরা হাতে,
নর্তকীর মত নেচে ঘুরে ঘুরে
ঘাগড়ার ছোবলে
সবকিছু কেড়ে নেয়, কেড়ে নিয়ে
ফের ভরে দেয়
বাসি-হয়ে-যাওয়া বুকে পদ্মগন্ধ,
প্রকাণ্ড উদ্যান।
এই অপরূপ ধ্বংস, মরচে-পড়া
ঘরের-দ্বোরে চাঁপা রঙে এই চুনকাম
দরবারি কানাড়া এরই নাম?
সরোদ বাজাতে জানলে বড় ভালো হতো।
পুরুষ কীভাবে বাঁচে সে-ই শুধু জানে।
কাগজের ওই যে এক খুপড়ির মতো, ওটাই কি ৪ তলা সেই দালান যেটা একটু আগেই ছিল একটা হোটেল কাম রেস্টুরেন্ট? একটু পাশে ওই যে চারকোনা ইঞ্চি আটেক পরিধির আয়তকার বাড়ির মতো, ওপরে গোল গোল টুপি; ওটাই কি মহীশুর প্যালেস, যার ভেতরে একবার ঢুকলে আর নিমেষেই বের হওয়া যায় না? দুই হাজারের রেশিওতে ওখানে মানুষ কই! এইসব সীমাহীন ক্ষুদ্রতার গল্প ঘুরে ফিরে আসে মনে। ভেতরে ভেতরে মানুষ কি এর চেয়ে কম ক্ষুদ্রতা ধারণ করে?