বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৪০ অপরাহ্ন
Uncategorized

থাইল্যান্ড ভ্রমণ

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১

সমুদ্র সৈকত, পাহাড়, বন্যপ্রাণীর প্রাচুর্যে ভরা জাতীয় উদ্যান, আধুনিক শহর – কি নেই থাইল্যান্ডে? যে কোন পর্যটক তার পছন্দের কিছু না কিছু খুঁজে পাবেন থাইল্যান্ডে। থাইল্যান্ডের এমনই কয়েকটি পর্যটন এলাকার কথা জানাবো এই পোস্টে।

ব্যাংকক

Bangkok
পৃথিবীর ব্যস্ততম শহরগুলোর একটি ব্যাংকক। কিছু দেখার জন্য না হোক খাবারের জন্য হলেও জীবনে একবার আপনার ব্যাংকক যাওয়া উচিত। অসংখ্য সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান রয়েছে এই শহরে। আকাশচুম্বী আধুনিক স্থাপত্য, দৃষ্টিনন্দন আর্ট গ্যালারি ও জাদুঘর তো থাকছেই। গতানুগতিক মেগামল ছাড়াও এখানে রয়েছে, ঐতিহ্যবাহী ভাসমান বাজার। খাবারের ব্যবস্থাতেও রয়েছে ব্যাপক বৈচিত্র্য। বিলাসবহুল গুরমেট রেস্তোরাঁর পাশাপাশি চেখে দেখতে পারেন স্ট্রিট ফুড। তবে ভয় নেই, অসতর্কতার সাথে তারা খাবার তৈরি করেন না। দিনের সাথে পাল্লা দিয়ে আপনাকে বিনোদনের সুযোগ করে দেবে রাতের ব্যাংকক। নাইট ক্লাব, লাইভ মিউজিক, ককটেইল বার, রুফটপ বার, মুয়া থাই ফাইটস নামের রেস্টলিং ক্লাবসহ আরো নানা কিছু তো রয়েছে। শহরের পরিবহন ব্যবস্থাও চমৎকার – বিটিএস স্কাই ট্রেন, এমআরটি পাতাল ট্রেন, অসংখ্য বাস, ট্যাক্সি। যে কোন ধরনের বাজেটেই আপনি থাকার সুব্যবস্থা পেয়ে যাবেন ব্যাংককে।

২. চিয়াং মাই

Chiang-Mai-Thailand
চিয়াং মাই -কে বলা হয় থাইল্যান্ডের উত্তরের রাজধানী। সংস্কৃতি এবং প্রকৃতির নেশাময় এক সংমিশ্রণ এই শহর। সংস্কৃতি নিয়ে যাদের আগ্রহ তাদের প্রথম পছন্দ হতে পারে চিয়াং মাই। কেননা এখানে আছে ৫০০ এর বেশি মন্দির। শিশুদের পাশাপাশি বড়দেরকেও মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবে চিয়াং মাই এর রাত্রিকালীন চিড়িয়াখানা। রয়েছে সুদৃশ্য জঙ্গলের ভেতরে হাইকিং ও খরস্রোতা নদীতে র‍্যাফটিং করার সুযোগ। থাইল্যান্ডের সর্বোচ্চ পয়েন্ট ডোই ইথানান রয়েছে চিয়াং মাইতে। পাহাড়ি উপজাতি, অসংখ্য জলপ্রপাত, থাই হাতির অভয়ারণ্য সব মিলিয়ে অসাধারণ এক জায়গা চিয়াং মাই। ব্যাংককের তুলনায় চিয়াং মাই রাতের বেলা কিছুটা নিরিবিলি। তবে তার মানে এই না যে, আপনাকে হোটেলে বসে থাকতে হবে। রয়েছে অসংখ্য বার ও শপিং করার জন্য রাতের বাজার। যেখানে আপনি পাবেন, নানান ধরনের ঐতিহ্যবাহী থাই জিনিসপত্র।

ফুকেট

Phuket
থাইল্যান্ডের বৃহত্তম দ্বীপ এবং অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র ফুকেট। কথিত আছে ফুকেট একটি বহুরূপী দ্বীপ। কেউ কেউ এখানে আসেন শুধু ফুর্তিবাজদের সাথে রাতের আনন্দে গা ভাসিয়ে দিতে। কেউ কেউ আসেন ওয়াটার স্পোর্টসের মজা নিতে। কিন্তু সত্যি বলতে গেলে যে কোনো রুচির মানুষের জন্যই এখানে ভিন্ন ভিন্ন সমুদ্র সৈকত রয়েছে। ফ্রিডম বিচ, কাঠু বিচ, কেরন বিচ থেকে বেছে নিতে পারবেন আপনারটি। সূর্যাস্ত দেখার জন্য যেতে পারেন প্রমথেপ কেইপ। বিশ্বমানের রেস্টলিং দেখতে পারেন মুয়া থাই ফাইট ক্লাবে। পৃথিবীর প্রায় সব ধরনের রেস্তোরাঁ, বার, ক্লাবের দেখা মিলবে ফুকেটে। হাইকিং, গো কার্টিং, হাতির সাথে সন্ধি, মাছ ধরা, স্নোরকেলিং, জেট স্কিং ছাড়াও রয়েছে আরও অনেক মজার মজার ব্যাপার। মনুষ্যসৃষ্ট দর্শনীয় স্থানের মধ্যে আছে ওয়াট চ্যালং ও বিগ বুড্ডা। সমুদ্র সৈকতে বুদ হয়ে শহরটা ঘুরে দেখতে ভুলে যাবেন না যেন। এখানে দেখতে পাবেন চমৎকার সব পুরনো স্থাপনা। হাস্যকর সব ছবি তোলার জন্য যেতে পারেন বান টিলাঙ্কা ও ফুকেট ট্রিকআই মিউজিয়াম।

আয়ুথায়া

Ayutthaya
ইতিহাস ভক্তদের জন্য রয়েছে ইউনেস্কো তালিকাভুক্ত থাইল্যান্ডের সবচেয়ে প্রাচীন শহর আয়ুথায়া। ব্যাংকক থেকে আয়ুথায়া যাওয়া বেশ সহজ। এই শহরের প্রাচীন শৈল্পিক ধ্বংসাবশেষের দৃশ্য আপনাকে নিয়ে যাবে সায়ামের স্বর্ণযুগে। স্যাফ্রন চাদর পরিহিত সারি সারি বৌদ্ধ মূর্তিতে ঘেরা ওয়াট ইয়া চাই মংকার্ন এই শহরের সবচেয়ে ফটোজেনিক স্থান। আপনি চাইলে এর ছোট ছোট গম্বুজ গুলোতে বেয়ে উঠতে পারবেন। গাছের শেকড়ে আবৃত বৌদ্ধ মূর্তির মাথা সম্বলিত ওয়াট মাহাতাত মন্দির বেশ জনপ্রিয়। আরও আছে ওয়াট রাটচাবুরানা, ওয়াট সি সামফেট। সময় করে পুরাতন ডাচ এবং পর্তুগিজ এলাকা ঘুরে দেখতে পারেন। হালকা কেনাকাটা করতে যেতে পারেন ভাসমান বাজারে। আয়ুথায়া ভ্রমণের জন্য সাইকেল কিংবা চালাতে জানলে স্কুটার ভাড়া করে নেয়া সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।

ক্রাবি

Krabi
দক্ষিণ থাইল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রদেশগুলোর মধ্যে একটি ক্রাবি। একসাথে থাইল্যান্ডের মূল ভূখণ্ড পাশাপাশি দ্বীপ ভ্রমণ করতে চাইলে ক্রাবি হওয়া উচিত আপনার প্রথম পছন্দ। থাইল্যান্ডের সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ বলে আখ্যায়িত করা হয় কোহ ফি ফি দ্বীপকে। কেন সবচেয়ে সুন্দর দ্বীপ বলা হয় সেটা বুঝতে আপনাকে যেতে হবে “মায়া বে” আর “ফি ফি ভিউ পয়েন্ট”। দীর্ঘ বালুকাময় সৈকত, বিচ বার, ম্যানগ্রোভ বন, মকন সম্প্রদায়ের (সি জিপসি) জন্য বিখ্যাত কোহ লান্টা। পশু প্রেমিকরা স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে লান্টা এনিমেল ওয়েলফেয়ারে কাজ করে সময় কাঁটাতে পারেন। একটু নির্জন সময় কাঁটাতে চাইলে যেতে পারেন স্বল্প পরিচিত কোহ জুম ও কোহ রক দ্বীপে। মূল ভূখণ্ডে দেখার মত রয়েছে রেইলেই, আও নাং বিচ রিসোর্ট ও ক্রাবি টাউন।

মায় হং সন

Mae Hong Son
পাহাড়ে আবৃত কিছুটা দূরবর্তী মায় হং সন প্রদেশদের অবস্থান উত্তর থাইল্যান্ডে। এই এলাকায় পর্যটকের আনাগোনা কম। প্রদেশের শহর অঞ্চলে কিছু বিদেশি পর্যটকের দেখা মিলতে পারে। মিয়ানমারের সীমান্ত ঘেঁষে অবস্থান হওয়ায় এই প্রদেশে শান জাতির মানুষের আধিক্য রয়েছে। সুন্দর প্রকৃতি এবং স্থাপত্য উপভোগের জন্য যেতে পারেন আপনি এই প্রদেশে। যারা প্রকৃতির প্রশান্ত পরিবেশ ভালবাসেন তাদের যেতে হবে এই প্রদেশের পাই নামক স্থানে। পাই কে ডাকা হয় ভবঘুরেদের স্বর্গ নামে। এই অঞ্চলের আকর্ষণের মধ্যে রয়েছে পাই ক্যানিয়ন, জলপ্রপাত, হাইকিং, নদীতে নৌকা ভ্রমণ ইত্যাদি।

কোহ ফাঙ্গান

Koh Phangan
পূর্ণিমার রাতে নাচ-গান ফুর্তি ও পার্টি করার জন্য জনপ্রিয় কোহ ফাঙ্গান। অন্যদিকে প্রাকৃতিক আকর্ষণ তো রয়েছেই। পার্টি করার জন্য “হাদ রিন” জায়গাটা সবচেয়ে জনপ্রিয়। যদি প্রকৃতি প্রেমী হন তাহলে ভিড় থেকে একটু দূরে গেলেই খুঁজে পাবেন শান্ত সৈকত, পুরাতন জলপ্রপাত, শ্যামল বন। স্বল্প খরচে সুস্বাদু খাবারে পেট ভরতে যেতে পারেন রাত্রিকালীন বাজার গুলোতে। রান্না শিখতে চাইলে ঢুকে যেতে পারেন কোন রান্নার স্কুলে। মেডিটেশন ও ইয়োগা সেন্টারে কিছু সময় ব্যয় করে খুঁজে নিতে পারেন আপনার হারিয়ে যাওয়া মানসিক প্রশান্তি।

পাতায়া

Pattaya-Thailand
পাতায়াকে অনেকে পাপের শহর নামে ডেকে থাকেন। থাইল্যান্ডের যেসব জায়গার কথা আলাদা করে মনে করিয়ে দিতে হয় না সেগুলোর মধ্যে আরেক নাম পাতায়া। বেশির ভাগ পর্যটক পাতায়াকে প্রাপ্তবয়স্কদের ফুর্তির জায়গা হিসেবেই বিবেচনা করেন। তবে নারী সান্নিদ্ধ ও মদ্য পান ছাড়াও অনেক কিছুই করার রেয়েছে এখানে। এখানকার সমুদ্রসৈকত গুলো থাইল্যান্ডের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় কম আকর্ষণীয় হলেও সূর্যাস্ত, সমুদ্র আর বালুকাবেলার সমন্বয়ে আপনার সময় একটুও খারাপ কাটবে না। স্নরকেলিং এর জন্য অদূরেই রয়েছে সুন্দর দ্বীপ। সম্পূর্ণ কাঠের তৈরি “স্যাঙ্কচুয়ারি অব ট্রুথ” নিস্পলক তাকিয়ে থাকার মত সুন্দর একটি জায়গা। নানা রকম ফুলের গাছ, মূর্তি ও পানির ফোয়ারা ঘেরা নং নুচ ট্রপিকাল বোটানিক্যাল গার্ডেনটাও দেখার মত একটি পার্ক। এছাড়াও রয়েছে, মিনি সিয়াম, আর্ট ইন প্যারাডাইস, পাতায়া ভাসমান বাজার, ফ্লাইট অফ দ্যা গিবন, রিপ্লি’স বিলিভ ইট অর নট, ফ্রস্ট ম্যাজিকাল আইস অফ সিয়াম ইত্যাদি।

সুখোথাই

Sukhothai
বিভিন্ন উপায়ে সংরক্ষিত ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষে পরিপূর্ণ থাইল্যান্ডের প্রাচীন রাজধানী সুখোথাই। পুরো শহর জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর দর্শনীয় স্থান গুলো। তাই কোন নির্দিষ্ট স্থানে অত্যাধিক মানুষের ভিড় চোখে পড়বে না আপনার। ভিড় ছাড়াই একদম নিজের মত করে উপভোগ করতে পারবেন। ক্ষয়প্রাপ্ত দেয়াল, বিশাল ভিত্তিপ্রস্তর, হৃদয়স্পর্শী প্যাগোডা, বিভিন্ন আকার ও ভঙ্গিমায় বুদ্ধের ছবি, সউচ্চ স্তম্ভ আপনাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে শত শত বছর আগের পৃথিবীতে। পদ্ম ফুলে ভর্তি পুকুর নিঃসন্দেহে আপনার মন কাড়বে। আপনার ঘুরে দেখার তালিকায় লিখে নিতে পারেন ওয়াট ট্রাফাং এনগোয়েন, ওয়াট মাহাতাত, ওয়াট সি চুম, ওয়াট স্রা সি, ওয়াট সোরাসাক এই নাম গুলো। হাতে সময় থাকলে অবশ্যই সি সাটচানালাই ঐতিহাসিক উদ্যান ঘুরে দেখতে ভুলবেন না।

কোহ সামুই

Koh Samui
থাই উপসাগরীয় এই দ্বীপের কথা নতুন করে বলার কিছু হয়তো নেই। থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করার কথা তুললেই এই নামটি সবার মুখে চলে আসে। পারিবারিক ভ্রমণ, সদ্য বিবাহিতদের মধুচন্দ্রিমা, বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ কিংবা একা একা – সব ধরনের ভ্রমণের জন্যই উপযোগী কোহ সামুই। চাউওয়েং, লামাই, এবং ম্য নাম এর মত অসাধারণ সব সমুদ্রসৈকতে ঘেরা এই দ্বীপ। পাশেই রয়েছে পুরনো মাছ ধরার গ্রাম বোফুট। শপিং, খাওয়া দাওয়া, মদ্যপান ও ঘুমের জন্যও আয়োজনের যেন শেষ নেই কোহ সামুই-এ। মমি করা ভিক্ষুর মন্দির, মহিলা ও পুরুষের যৌন অঙ্গের মত দেখতে পাথরে নির্মিত স্থাপনা এখানকার জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান গুলোর মধ্যে অন্যতম। বিলাসী পর্যটকদের জন্য রয়েছে বিলাসবহুল স্পা সেন্টার ও গলফ খেলার মাঠ।

নখোন রচসিমা

Nakhon Ratchasima
উত্তর পূর্ব থাইল্যান্ডে একটি বড় প্রদেশ নখোন রচসিমা। এই এলাকার প্রধান আকর্ষণ হল ইউনেস্কো তালিকাভুক্ত খাও ইয়াই জাতীয় উদ্যান। বিশাল জলপ্রপাত এবং বহু প্রজাতির বন্যপ্রাণী দর্শন, নতুন থেকে শুরু করে অভিজ্ঞদের জন্য হাইকিং, আশ্চর্য রকমের মনোরম দৃশ্য, প্রশান্ত ক্যাম্পিং সাইট সবই মিলবে এখানে। এর জনপ্রিয়তার আরও একটি কারণ হল ব্যাংকক থেকে এখানে আসা খুব সহজ। বুক ভরে সুদ্ধ সতেজ বাতাসে শ্বাস নেয়ার জন্য প্রসিদ্ধ এলাকা ওয়াং নাম খিয়াও। এই প্রদেশের খুন থট জেলায় রয়েছে বিখ্যাত ওয়াট বন রাই মন্দির। রঙিন এবং কাল্পনিক চিত্রকর্মে সাজানো এই মন্দির নির্মিত হয়েছিল বিশাল হাতির অনুকরণে।

কাঞ্চনাবুরি

Kanchanaburi
থাইল্যান্ডের পশ্চিমে বার্মিজ সীমান্ত বরাবার অবস্থিত কাঞ্চনাবুরি। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং যুদ্ধের ইতিহাসে সমৃদ্ধ থাইল্যান্ডের এই অঞ্চল। কুয়াই নদীর উপর ঐতিহাসিক সেতু দেখতে বহু পর্যটক আসেন কাঞ্চনাবুরিতে। এছাড়া রয়েছে ডেথ রেলওয়ে নামের পুরনো একটি রেলপথ। যার এই ভয়ংকর নামকরণের পেছনে রয়েছে মর্মান্তিক ইতিহাস। তৎকালীন সময়ে এই রেলপথ নির্মাণের সময় বহু মানুষ নিহত হন। এই এলাকার ইতিহাস সংরক্ষণে নির্মাণ করা হয় বিভিন্ন জাদুঘর। “সোমবার” যুদ্ধকালীন কবরস্থান, ইরাওয়ান জাতীয় উদ্যান, বহু স্তরের ইরাওয়ান জলপ্রপাত, প্রা থাট গুহা এখানকার দর্শনীয় স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য। ছোট আকৃতির ঝর্ণার পাশে অবস্থিত সায় ইয়োক ন্যাশনাল পার্ক পিকনিক করার জন্য বেশ উপযোগী জায়গা। আপনি যদি কোলাহল থেকে একটু দূরে জনমানবহীন কোন জলপ্রপাত উপভোগ করতে চান তবে আপনার যেতে হবে হুয়ে মেই খামিন। থাইল্যান্ডের ভেতরেই আপনি যদি সম্পূর্ণ এক ভিন্ন জগত দেখতে চান তাহলে যেতে পারেন সঙ্খলাবুরি।

সিমিলান দ্বীপপুঞ্জ

Similan Islands
ফাং নাগা প্রদেশের উপকূলে আন্দামান সাগরের ঝকঝকে পানিতে ভাসছে সিমিলান দ্বীপপুঞ্জ। স্কুবা ডাইভিং এবং স্নরকেলিং এর জন্য থাইল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থান সিমিলান দ্বীপপুঞ্জ। আকর্ষণীয় সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য এবং সমুদ্রতলের সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ এই অঞ্চলের সমুদ্রগুলো। একদিনেই ঘুরে শেষ করা যায় এই এলাকা তবে যারা ডাইভিং ভালোবাসেন তারা এখানে বেশ কয়েকদিন সময় হাতে নিয়ে আসতে পারেন। মাছ শিকার করা, বৈচিত্র্যময় পাথর দেখা, শুভ্র বালির সৈকতে সূর্যস্নান করা আপনার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন মে মাসের মাঝামাঝি থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এখানে পর্যটক আসা যাওয়া নিষিদ্ধ থাকে।

কোহ চাং

Koh Chang
ট্রাট উপকূলের মোটামুটি বেশ বড় একটি দ্বীপ কোহ চাং। সুন্দর একটি দ্বীপে আপনি যা যা আশা করেন তার সবই পাবেন এখানে। শুভ্র বালির সৈকত, শ্যামল বন, জলপ্রপাত, অসংখ্য বন্যপ্রাণী সব মিলিয়ে যেন একটা সম্পূর্ণ প্যাকেজ। এখানকার উল্লেখযোগ্য সৈকত গুলো হল হাট খলং ফ্রাউ, লোনলি বিচ, হুয়াইট স্যান্ড বিচ, কাই বেই বিচ। নৌকা ভ্রমণে যেতে পারেন পাশের কোহ কুট ও কোহ ম্যাক দ্বীপে। ঐতিহ্যবাহী থাই ম্যাসেজের চমৎকার ব্যবস্থাও থাকছে এখানে। এখানকার সামদ্রিক খাবার খুব তরতাজা ও সুস্বাদু। ব্যায়বহুল বাংলো থেকে শুরু করে স্বল্প খরচের আবসন ব্যবস্থা রয়েছে পর্যটকদের জন্য।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com