হাজারো বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের বার্তা বহন করছে তুরস্ক। এশিয়া ও ইউরোপের মাঝামাঝি স্থানে তুরস্ক দেশটি অবস্থিত যা একসময় অটোম্যান সাম্রাজ্যের অংশ ছিল। সেখানের মানুষ, আবহাওয়া, স্থাপত্য, সংস্কৃতি ও শৈল্পিক দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্যই আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতায় যোগ করবে এক নতুন মাত্রা। তুরস্কে বেশ কিছু জনপ্রিয় পর্যটন স্থান রয়েছে যেখানে গেলে আপনি সাক্ষী হবেন ইতিহাসের।
হায়া সোফিয়া: এটি তুরস্কের সবচেয়ে বিখ্যাত পর্যটক আকর্ষণীয় স্থান এবং বিশ্বের প্রাচীনতম ভবনগুলোর একটি। ষষ্ঠ শতকে বাইজেন্টাইন সম্রাট জাস্টিনিয়ান এই ভবনটি মূলত অর্থডক্স গীর্জা হিসেবে নির্মাণ করেন, যা পরবর্তীকালে মসজিদে রূপান্তর করা হয়। বর্তমানে এটি একটি মিউজিয়াম হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। এর অসাধারণ স্থাপত্য এবং বাইজেন্টাইন ও মুসলিম অলংকরণের সাজসজ্জা দর্শনার্থীদের বিমোহিত করে।
ব্লু মস্ক: হায়া সোফিয়া থেকে হেটেই চলে আসতে পারবেন তুরস্কের আরেকটি মন ভোলানো স্থাপত্য- বøু মস্কে। ইস্তাম্বুল শহরের চমৎকার স্থাপত্যশৈলী ও ৬টি মিনারের সুলতান আহমেদ মসজিদ বা নীল মসজিদটি বাইরে থেকেই মুগ্ধতার সৃষ্টি করে। এটি তুরস্কের আরেকটি পর্যটক আকর্ষণের স্থান। এটি ১৬০৯ থেকে ১৬১৬ সালের মধ্যে উসমানীয় সম্রাজ্যের সুলতান আহমেদ বখতি নির্মাণ করেন।
ইফেসাস: তুরস্কের জনপ্রিয় স্থানগুলোর একটি ইফেসাস যা সেলকাকের নিকট অবস্থিত। ইস্তানবুল বা আনকারা, যেখানেই থাকেন না কেন, আপনার লোকেশন থেকে এটি বেশ দূরে। তাই সরাসরি ফ্লাই করে আসাই ভালো। বিশ্বের সেরা গ্রীক ও রোমান ধ্বংসাবশেষের কিছু অংশ এখানে সংরক্ষিত আছে। প্রাচীন বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি এই ইফেসাস শহরটি যা একসময় আর্টেমিসের মন্দিরের জন্য বিখ্যাত ছিল। মন্দিরটি অসাধারণ স্থাপত্য শিল্পের জন্য সবার সুনাম কেড়ে নেয়।
কাপাদ্দোসিয়া: মোসেন সময়কালে ভলকানোর অগ্নুাৎপাতে জন্ম নেয়া প্রাকৃতিক শিলা এবং অনন্য ঐতিহাসিক শিল্পকর্মের জন্য বিখ্যাত। এই ভূগর্ভস্থ শহরটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে বেশ আগেই। কাপাদ্দোসিয়ায় সবচেয়ে বড় পর্যটক আকর্ষণ হলো বেলুন ট্যুর। বাংলাদেশি টাকায় ৮ হাজার টাকা থেকে শুরু করে আরো দামী বেলুনও আছে।