1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
মিথ্যা তথ্যে হারাতে পারেন আমেরিকার গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব
রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪৫ অপরাহ্ন

মিথ্যা তথ্যে হারাতে পারেন আমেরিকার গ্রিন কার্ড ও নাগরিকত্ব

  • আপডেট সময় রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

কোর্টে নোটিশ দেওয়া মানেই হচ্ছে আপনার গ্রিন কার্ডের আর বৈধতা নাই। আপনি আবার নতুন করে জাজকে বোঝাতে হবে এবং উইন করতে হবে। এ ছাড়া আপনার গ্রিন কার্ড বাতিল।’ আগামী বছরের জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া বিশ্বকাপ ফুটবলের প্রধান আয়োজক দেশ অ্যামেরিকা। ফুটবলের সবচেয়ে বড় আসরটি দেখতে দেশটিতে আসবেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন। তাদের মধ্যে থাকতে পারেন বাংলাদেশিরাও।

বিশ্বকাপের ওই সময়কে কেন্দ্র করে অ্যামেরিকা সরকারের বিশেষ কোনো ভিসা কর্মসূচি আছে কি না, সে সংক্রান্ত প্রশ্ন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরীকে করেছেন টিবিএন অ্যানালাইসিসের সঞ্চালক রানা আহমেদ। পাশাপাশি ভিসা প্রক্রিয়ায় প্রতারণার আশ্রয় নেওয়ার পরিণতির বিষয়টিও জানতে চেয়েছেন তিনি।

বাস্তবতার আলোকে উত্তর দিয়েছেন অতিথি।

টিবিএন: অনেক ধন্যবাদ। এ ক্ষেত্রে একটু আইনি পরিণতির একটি প্রশ্ন আপনাকে আমি করতে চাই যে, এই যে প্রতারণা, যেহেতু আমরা প্রতারণার বিষয়টা আজকে বলছি বা ভুয়া বিষয়টা এবং এটার ওপর ইমিগ্রেশনের যে কী প্রভাব আছে, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। যদি কেউ অজান্তে এই ভুয়া আবেদন করে থাকে, অর্থাৎ প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে টাকাকড়ি, অর্থ-পয়সা দেয়, পরে কি সে নিজেও আইনি সমস্যায় পড়তে পারে বা অ্যামেরিকার আইনে এটা কতটা গুরুতর অপরাধ বলে বিবেচিত হবে তার বিরুদ্ধে?

মঈন চৌধুরী: ধন্যবাদ ভাই। যদি কেউ ইউএস ইমিগ্রেশন অথবা টুরিস্ট ভিসায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে কোনো ধরনের বেনিফিট নেয় অথবা ভিসা তার পায়, পরবর্তীতে যদি দেখা যায় তথ্যগুলা মিথ্যা ছিল, সে যদি কোনো কারণে নাগরিকও হয়ে যায়, গ্রিন কার্ডও পেয়ে যায়, সবকিছু বাতিলযোগ্য।

আপনারা শুনতে পাচ্ছেন এবং এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে গত কয়েক মাস যাবত অনেক গ্রিন কার্ডধারী তারা চিঠি পাচ্ছে। কেন চিঠি পাচ্ছে? তাদের কোর্টে হেয়ারিং ডেট দিচ্ছে। কেন? খুবই আশ্চর্যজনক ঘটনা।

ইমিগ্রেশন এখন আগের অ্যাসাইলাম ডকুমেন্টগুলা তারা রিভিউ করছে। যাদের গ্রিন কার্ড আছে, তাদেরকেও যদি দেখছে তারা ফ্রডের কোনো আশ্রয় নিয়েছিল, আগে ডিটেক্ট করতে পারে নাই, এখন তারা ডিটেক্ট করে এগুলাকে গ্রিন কার্ড বাতিল করে কোর্টে পাঠাচ্ছে।

কোর্টে নোটিশ দেওয়া মানেই হচ্ছে আপনার গ্রিন কার্ডের আর বৈধতা নাই। আপনি আবার নতুন করে জাজকে বোঝাতে হবে এবং উইন করতে হবে। এ ছাড়া আপনার গ্রিন কার্ড বাতিল।

এটাকে বলে এনটিএ। নোটিশ টু অ্যাপিয়ার যখন কোর্টে পাবেন. তখনই কিন্তু আপনার গ্রিন কার্ডের মেয়াদ বাতিল হয়ে যাবে। আপনার দেশের বাইরে গেলে আসতে পারবেন না।

এ ক্ষেত্রে সবসময় আমরা বলি, সত্যের মধ্যে থাকবেন। কোনো ধরনের মিথ্যা তথ্য দিবেন না। অনেকে ভাবে যে, যদি ভিসা পেতে হয়, মেরিটাল স্ট্যাটাসটা চেঞ্জ করে দিতে হয় যে, ম্যারিড বললে হয়তো ভিসা দেবে। বাচ্চা একটার নাম ঢুকিয়ে দিল। এগুলা কিন্তু ফ্রড।

এটা যদি আপনি করে থাকেন, আমি আমার অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, ইউএসএ ফেসবুক থেকে বলেছিলাম। মিলিয়নস অফ লোক এগুলো দেখছে। থার্টি সেকেন্ড অনলি রিলস যে, যদি কেউ এক স্বামী বা স্ত্রী বর্তমান থাকা অবস্থায় অথবা আনম্যারিড থাকা অবস্থায় ম্যারিড বলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে থাকে পরবর্তীতে সে কোনো ধরনের বেনিফিট যদি নেওয়ার চেষ্টা করে ইমিগ্রেশনে, গ্রিন কার্ড বা কোনো ধরনের সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করে, সে ইনঅ্যাডমিসেবল বলে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে ওভারকাম করা খুবই কঠিন।

ওয়েভারের সুযোগ আছে, কিন্তু বর্তমান সরকার এগুলা খুবই কঠিনরূপে, কঠিনভাবে বিবেচনা করে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com