সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। আজ শনিবার ( ১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। কখনও কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি পড়ছে। কুয়াকাটা সৈকতে আছড়ে পড়ছে সাগরের ঢেউ। বর্ষার উন্মত্ত ঢেউ উপভোগ করতে সৈকতের জিরো পয়েন্টে গোসলে নেমেছেন বিপুলসংখ্যক পর্যটক। আগত পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
সরেজমিন দেখা গেছে, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সৈকতের বিভিন্ন স্থানে নারী-পুরুষ-শিশুসহ সব বয়সী মানুষকে ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালিতে, ছবি তুলতে এবং সমুদ্রে গোসল করতে দেখা গেছে। সৈকতের জিরো পয়েন্ট, শুঁটকি পল্লি, গঙ্গামতির সৈকত, রাখাইন নারী মার্কেট, রাখাইন পল্লি, জাতীয় উদ্যান, ইলিশ পার্ক, লেম্বুর বন, সৈকতের ঝাউবাগানসহ পর্যটনকেন্দ্রগুলো দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, বর্ষার মৌসুমে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে যে বিশাল ঢেউ দেখা যায়, তা পর্যটকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ছুটির দিনে ঢেউয়ের উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন পর্যটকরা।
ঢাকা থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক আনোয়ার কামাল বলেন, ‘কুয়াকাটার বড় বড় ঢেউ উপভোগ করতে অসাধারণ লাগছে। পরিবার নিয়ে আসায় আনন্দটা আরও বেড়েছে।’
যশোর থেকে আসা পর্যটক রোজিনা পারভীন বলেন, ‘বর্ষার ঢেউয়ের মজা নেওয়ার জন্যই আসা। সৈকতে অনেক ভিড় থাকলেও সবার মধ্যে আনন্দ-উৎসবের আমেজ রয়েছে।’
সৈকত লাগোয়া ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মহিবুল্লাহ বলেন, ‘কয়েকদিন বৈরী আবহাওয়ায় পর্যটকশূন্য ছিল কুয়াকাটা। আজ সাপ্তাহিক ছুটি উপলক্ষে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। বেচা-কেনাও মোটামুটি আলহামদুলিল্লাহ।’
হোটেল মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল ফরাজী জানান, বিচ লাগোয়া হোটেলগুলোতে শতভাগ বুকিং হলেও পৌর শহরের ভেতরের হোটেল-মোটেলে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ বুকিং রয়েছে। ছুটির দিনে পর্যটকদের ভিড় কুয়াকাটার অর্থনীতিতে প্রাণ ফিরিয়ে এনেছে।
কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সৈকতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপদে ঢেউ উপভোগে পর্যটকদের সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানানো হচ্ছে।’