1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
গ্রিন কার্ড নিয়ে বাংলাদেশে গেলে কি সমস্যা হবে
বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ০৪:০৫ অপরাহ্ন

গ্রিন কার্ড নিয়ে বাংলাদেশে গেলে কি সমস্যা হবে

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৫

আরেকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে বিভিন্ন সময় আমরা আমাদের ক্লায়েন্টদের মধ্যে দেখতে পাই যে, গ্রিন কার্ডধারী যারা আছে, তাদের নাকি দেশে যাওয়া বন্ধ; দেশে যেতে পারবে না। আসলে এটা বলব সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন সংবাদ।’ অ্যামেরিকায় স্থায়ী বসবাসের কার্ড বা গ্রিন কার্ডধারী প্রত্যেককে কিছু নিয়ম মানতে হয়। সেসব নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে তার গ্রিন কার্ড বাতিল হতে যেতে পারে।

গ্রিন কার্ড পাওয়ার পর বাংলাদেশে গেলে সমস্যা হবে কি না, এ সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন টিবিএনকে করেছেন জাহিদুল ইসলাম নামের এক দর্শক। তার সে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন অ্যাটর্নি মাহফুজুর রহমান। জাহিদুল ইসলাম: আমি কনস্যুলার প্রসেস করে গ্রিন কার্ড নিয়ে আসছি। আমি কি এখন বাংলাদেশে গেলে কোনো সমস্যা হবে কি না জানাবেন?

মাহফুজুর রহমান: থ্যাংক ইউ। আরেকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে বিভিন্ন সময় আমরা আমাদের ক্লায়েন্টদের মধ্যে দেখতে পাই যে, গ্রিন কার্ডধারী যারা আছে, তাদের নাকি দেশে যাওয়া বন্ধ; দেশে যেতে পারবে না। আসলে এটা বলব সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন সংবাদ। যাদের গ্রিন কার্ড রয়েছে তারা কিন্তু রেগুলার ফোর্সেস যেতে পারবে। আইন সম্পূর্ণ অপরিবর্তিত রয়েছে। ওদের যদি প্রয়োজন হয় অবশ্যই দেশের বাইরে ট্রাভেল করতে পারবে, তবে মনে রাখতে হবে যে, গ্রিন কার্ড নিয়ে দেশের বাইরে গেলে কিছু উনাকে রুল ফলো করতে হবে।

ফার্স্ট রুল হচ্ছে কোনোভাবেই পারমিশন ছাড়া এক বছরের বেশি অবস্থান করতে পারবে না। এটা করলে তার গ্রিন কার্ডটি বাতিল হয়ে যাবে অটোম্যাটিক।

আরেকটি রুল হয়েছে। সে যদি একদম যদি প্রয়োজন না হয়, পারমিশন না থাকে ছয় মাসের বেশি যেন বাইরে স্টে না করে। কারণ এখানে একটা খুব ইন্টারেস্টিং ল রয়েছে। সেটি হচ্ছে গ্রিন কার্ডধারী যদি আপনি ছয় মাসের বেশি অ্যামেরিকার বাইরে অবস্থান করেন, বাট আপনি ১২ মাসের মধ্যে রিটার্ন করেন স্টিল ইউর গ্রিন কার্ড ভ্যালিড, কিন্তু এয়ারপোর্টে আসার পরে সিপিবি অফিসারের হাতে উনার ভাগ্যটা চলে যাবে। উনি চাইলে যেকোনো গ্রাউন্ডে কিন্তু উনার গ্রিন কার্ডটা রিভোক (বাতিল) করতে পারে আফটার সিক্স মান্থস, কিন্তু উনি (গ্রিন কার্ডধারী) যদি উইদিন সিক্স মান্থের মধ্যে ব্যাক করে, সে ক্ষেত্রে উনার রাইট আছে যে উনি লফুল পারমানেন্ট রেসিডেন্ট। দেয়ার ইজ অ্যা রাইট, হি অর শি ক্যান এন্টার ইন মেনি ডিস্ট্রিক্টস। এই যে এই রুলটা খেয়াল রাখতে হবে উনাকে।

টিবিএন: কেউ যদি ঘন ঘন এই কাজটি করে যে আসল, দুই মাস থাকল। তারপর আবার গেল। আবার ছয় মাস পরে আসল। সে ক্ষেত্রে কি ইমিগ্রেশন অফিসার তাকে প্রশ্ন করতে পারে যে, তোমাকে তো গ্রিন কার্ড দেওয়া হয়েছিল এখানে থাকবার জন্যে; এখানে নিজেকে গড়ে গড়বার জন্যে। মনে হচ্ছে যে, তোমার এখানে থাকার দরকার নেই। সুতরাং সে ক্ষেত্রেও কি তার গ্রিন কার্ডটি রিভোক করে দিতে পারে?

মাহফজুর রহমান: এখানেও একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রেইজ করতে পারে যারা কিনা ঘন ঘন যাওয়া আশা করে কোনো কারণ ছাড়া। সে ক্ষেত্রে কিন্তু সিপিবি অফিসার প্রিজামশন অ্যাপ্লাই করতে পারে যে, ইউ আর নো মোর ইন্টেন্ট টু সেটেল ইন দিস কান্ট্রি। কারণ তাকে যখন গ্রিন কার্ডটা ইস্যু করা হয়, তখন ওই যে তাকে ইউএস গভর্নমেন্ট মনে করে যে, তার ইন্টেনশন হচ্ছে অ্যামেরিকাতে নিজেকে সেটেলমেন্টের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করা। এখন যদি দেখা যায় যে, সে গ্রিন কার্ড পাওয়ার পরে ঘন ঘন, বছরে তিন-চারবার দেশের বাইরে থাকছে, আমেরিকায় খুব কম সময় থাকছে, তখন কিন্তু যেকোনো সময় এয়ারপোর্ট আসলে কিন্তু অফিসাররা ওই প্রিজামশনটা অ্যাপ্লাই করে তার গ্রিন কার্ড রিমুভ করে তাকে রিমুভাল প্রসিডিংসে ইমিগ্রেশন জাজের কাছে পাঠিয়ে দিতে পারে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com