1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
নাগরিকত্ব বাতিলের ঝুঁকিতে আছেন যারা
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫, ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন

নাগরিকত্ব বাতিলের ঝুঁকিতে আছেন যারা

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫

অ্যামেরিকার জন্য সংবেদনশীল পণ্য, প্রযুক্তি রপ্তানি বা তথ্য পাচারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে। অ্যামেরিকার সুনির্দিষ্ট অভিবাসীদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার বিষয়ে অগ্রাধিকার দিচ্ছে ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস-ডিওজে। প্রক্রিয়াটি পরিচিত ডিন্যাচারালাইজেশন হিসেবে।

ডিওজে গত ১১ জুন একটি মেমোতে এ বিষয়ে নজর দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে। মেমোটি বিশেষভাবে উদ্বেগজনক এ কারণে যে, এটি পাঠানো হয়েছে সিভিল ডিভিশনে। এতে বলা হয়েছে, সিভিল ডিভিশনের অ্যাটর্নিদের মূল নজর দিতে হবে ডিন্যাচারালাইজেশন বা নাগরিকত্ব বাতিলে।

মেমোর নির্দেশনার উল্লেখযোগ্য দিক হলো সিভিল প্রসেস বা দেওয়ানি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তির নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া। এর মানে হলো এ ক্ষেত্রে ফৌজদারি ব্যবস্থা প্রয়োগ করা হবে না। তার কারণ ফৌজদারি ব্যবস্থায় কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া সময়সাপেক্ষ বিষয়। বিপরীতে দেওয়ানি প্রক্রিয়ায় সহজেই কোনো অপরাধের ঘটনায় কারও নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া যাবে।

দেওয়ানি আদালতে অভিযুক্ত ব্যক্তি আইনজীবী পাবেন না। এর ফলে আইনি প্রক্রিয়ায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ মিলবে না তার।

নাগরিকত্ব বাতিলে অগ্রাধিকারের তালিকায় যারা

১. যেসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে, তারা আছেন নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে। ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-এফবিআই বা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট-আইস কাউকে গ্রেপ্তারের পর যদি বলে, তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের প্রমাণ আছে অথবা তার বিরুদ্ধে বিদেশি গুপ্তচর হিসেবে কাজ করার প্রমাণ আছে, সে ক্ষেত্রে ওই ব্যক্তি নাগরিকত্ব খোয়াতে পারেন।

২. অ্যামেরিকার জন্য সংবেদনশীল পণ্য, প্রযুক্তি রপ্তানি বা তথ্য পাচারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে।

৩. কারও বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ থাকলে তিনি নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন। এ ছাড়া যুদ্ধাপরাধ কিংবা মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত ব্যক্তিও আছেন একই ঝুঁকিতে।

৪. যেসব ব্যক্তি বেআইনি সংগঠনের (যেমন: অপরাধী গ্যাং, মাদক পাচারে জড়িত আন্তসীমান্ত সংগঠন) সঙ্গে যুক্ত, তাদের অ্যামেরিকার নাগরিকত্ব বাতিল হতে পারে। এ ছাড়া মানব পাচার, যৌন অপরাধ ও সহিংস অপরাধে জড়িতরাও আছেন একই ঝুঁকিতে।

৫. অ্যামেরিকার নাগরিকত্বের আবেদনের সময় যারা পূর্বের কোনো ফেলোনি বা গুরুতর অপরাধের বিষয়টি আড়াল করেছেন, তাদের নাগরিকত্বজনিত প্রতারণায় জড়িত হিসেবে ধরে নেওয়া হবে। এটি ধরা পড়লে সাধারণত ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। এ ধরনের ব্যক্তি আছেন নাগরিকত্ব হারানোর ঝুঁকিতে।

৬. পে চেক প্রোগ্রাম বা পিপিপি সংক্রান্ত জালিয়াতির ক্ষেত্রে কেড়ে নেওয়া হতে পারে নাগরিকত্ব। এ ছাড়া মেডিকএইড সংক্রান্ত প্রতারণার (যেমন: মেডিকএইড কর্মসূচিতে ভুল তথ্য দেওয়া কিংবা ভুলভাবে সুবিধা নেওয়া) ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব বাতিলের ঝুঁকি আছে। এ ছাড়া মেডিকএইডের অপব্যবহার করা প্রতিষ্ঠানও এর আওতায় পড়বে।

৭. ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেনের মতো প্রতারণায় জড়িত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের রয়েছে নাগরিকত্ব বাতিলের ঝুঁকি। এ বিষয়ে ডিওজের ব্যাখ্যা সুস্পষ্ট নয় বলে এটি জড়িত যে কারও বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারে।

৮. নাগরিকত্ব নেওয়ার প্রক্রিয়ায় দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তি তথা ইচ্ছাকৃতভাবে জ্ঞাত অনেক তথ্য সরবরাহ না করা ব্যক্তি ডিন্যাচারালাইজেশনের তালিকায় পড়তে পারেন।

৯. অ্যাটর্নি অফিসে নিষ্পত্তি হয়নি এমন কোনো ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ থাকা ব্যক্তি রয়েছেন নাগরিকত্ব বাতিলের ঝুঁকিতে।

১০. কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে সিভিল ডিভিশনে কোনো কেইস থাকলে এবং ডিভিশন এটিকে আমলযোগ্য মনে করলে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এর চূড়ান্ত পরিণতি হতে পারে নাগরিকত্ব হারানো।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com