উন্নত বিশ্বের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মানুষ সারাবছরই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সারাবিশ্বের পর্যটকের সংখ্যা ৭৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। পর্যটকের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধির এই বিষয়টিকে অনেক দেশ বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে। কারণ অনেক দেশের অর্থনীতি নির্ভর করে এই পর্যটন শিল্পের ওপর। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে তাই অনেক দেশ ভ্রমণপিপাসুদের জন্য নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে। পর্যটক আকৃষ্টের দিক দিয়ে গত চার বছর ধরে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক শহর।
মাস্টারকার্ড ব্যবহারকারীর ভিত্তিতে বিশ্বের ২০০টি শহরের পর্যটকের একটি তালিকা থেকে এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। এই পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রতি বছর বাড়ছে ভ্রমণপিপাসু মানুষের সংখ্যা। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেশি হবে বলেও আভাস মিলেছে।
গত বছর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে ভ্রমণ করেছে প্রায় দুই কোটি ২৭ লাখ পর্যটক। এ বছর এই সংখ্যা ৩.৩৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করছে থাইল্যান্ড। ভ্রমণের জন্য পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় অন্য শহরগুলো হলো ফ্রান্সের প্যারিস, ইংল্যান্ডের লন্ডন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, সিঙ্গাপুরের কুয়ালালামপুর, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি, তুরস্কের ইস্তাম্বুল, জাপানের টোকিও।
মাস্টারকার্ড ব্যবহারকারীর তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, বেড়াতে আসা শহরগুলোর মধ্যে পর্যটকরা সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে দুবাইতে। সেখানে প্রতিদিন গড়ে ৫৫৩ ডলার খরচ করেছে পর্যটকরা। মোট পর্যটকের খরচ হিসাব করলে তা ৩০.৮২ বিলিয়ন ডলার। খরচের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে সৌদি আরব (২০.০৯) বিলিয়ন ডলার। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংকক (২০.০৩) বিলিয়ন ডলার, পর্যটকপ্রতি খরচ প্রতিদিন গড়ে ১৮৪ ডলার। থাইল্যান্ড ভ্রমণে আসা পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসে চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত এবং যুক্তরাজ্য থেকে। এসব পর্যটকদের কাছে পাতায়া সমুদ্রসৈকত ছাড়াও গ্রান্ড প্যালেস, ওয়াত আরুন এবং দামনোয়েন সাদুয়াক ভাসমান মার্কেট অন্যতম জনপ্রিয় স্থান।
তালিকায় দুই এবং তিন নম্বরে রয়েছে প্যারিস এবং লন্ডন। এই দুটি শহরই ২০১৮ সালে ১ কোটি ৯০ লাখের বেশি পর্যটককে আতিথেয়তা দিয়েছে। এশিয়া প্যাসিফিক শহরগুলোতে ২০০৯ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চীনের নাগরিক। তালিকায় শীর্ষে থাকা শহরগুলোতে পর্যটকের সংখ্যা যেখানে বেড়েছে সেখানে লন্ডনে পর্যটকের সংখ্যা কমেছে চার শতাংশ।-সিএনএন