ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে মধ্যপ্রাচ্যগামী অনেক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করা হচ্ছে। বেশ কয়েকটি রুটে আনা হয়েছে পরিবর্তনও। গত বৃহস্পতিবার ইসরায়েল ইরানে হামলা চালানোর পরপরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বিভিন্ন এয়ারলাইনস।
গত দুই বছর ইসরায়েলগামী ফ্লাইটগুলো নানান সময়ে বন্ধ অথবা সীমিত ছিল; বিশেষ করে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামলার পর থেকে এই অঞ্চলে বিমান চলাচলে অনিশ্চয়তা বেড়েছে। ইরান ও ইরাকের আকাশসীমা ব্যবহার করা নিয়েও নিরাপত্তাঝুঁকির কারণে সতর্কতা অবলম্বন করছে বেশ কয়েকটি বিমান সংস্থা।
কোন এয়ারলাইনস কী সিদ্ধান্ত নিল
- এয়ার আরাবিয়া: ইরাক ও ইরানে ফ্লাইট ৩০ জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছে। জর্ডান ও রাশিয়াগামী ফ্লাইট ২০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
- কাতার এয়ারওয়েজ: ইরান, ইরাক ও সিরিয়াগামী ফ্লাইট সাময়িকভাবে বন্ধ।
- এমিরেটস: জর্ডান ও লেবাননের ফ্লাইট ২২ জুন পর্যন্ত বন্ধ। ইরান ও ইরাকের ফ্লাইট ৩০ জুন পর্যন্ত বাতিল।
- ফ্লাই দুবাই: ইরান, ইরাক, ইসরায়েল ও সিরিয়াগামী সব ফ্লাইট ২০ জুন পর্যন্ত বাতিল।
- এয়ার ইন্ডিয়া ও ইনডিগো: মধ্যপ্রাচ্যের আকাশসীমা এড়িয়ে বিকল্প দীর্ঘ রুটে ফ্লাইট চালাচ্ছে। এতে যাত্রার সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে বলে জানিয়েছে ইনডিগো।
- ডেলটা এয়ারলাইনস: নিউইয়র্ক থেকে তেল আবিবগামী ফ্লাইট ৩১ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত।
- এল আল (ইসরায়েলের জাতীয় এয়ারলাইনস): ২৩ জুন পর্যন্ত সব নিয়মিত ফ্লাইট বাতিল করেছে। তবে ইউরোপের বিভিন্ন শহর থেকে ইসরায়েলি নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ফ্লাইট চালানো হবে।
- লুফথানসা: জার্মানির এই এয়ারলাইনস তেল আবিব ও তেহরানগামী ফ্লাইট ৩১ জুলাই পর্যন্ত বন্ধ করেছে। ইরাক, জর্ডান ও লেবাননে ফ্লাইট ২০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
ভ্রমণকারীদের জন্য সতর্কতা
যেসব যাত্রী মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের উচিত নির্ধারিত এয়ারলাইনসের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট অথবা ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে ফ্লাইটের সর্বশেষ তথ্য জেনে নেওয়া। পাশাপাশি ভ্রমণের আগে নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে যথাযথভাবে খোঁজখবর নেওয়া জরুরি।
সূত্র: স্কিফট