ট্রাম্প ও তাঁর প্রশাসন বিতাড়নের নামে যুক্তরাষ্ট্রে থাকা স্ট্যাটাস বিহীন অভিবাসীদেরকে অপরাধীর তালিকায় ফেলছেন। অথচ যুগ যুগ ধরে অভিবাসীরা ট্র্যাক্স প্রদানের মাধ্যমে এদেশের অর্থনীতি ও ব্যবসা বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এখন সেই অভিবাসীদের সন্ত্রাসী ও অপরাধী বানিয়ে আটক এবং হাতে পায়ে শিকল পরিয়ে গণ ডিপোর্ট করছেন। যা মানবাধিকার লঙ্ঘন। এমনটি মন্তব্য করেছেন ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি ও কংেগ্রেস ওম্যান আলেক্সজেন্দ্রিয়া ওকাসিও কর্টেজ।
শুক্রবার বিকেলে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের আই এস ১৪৫ পাবলিক স্কুলের হলরুমে আয়োজিত টাউন হল মিটিংয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে মতবিনিময়ে আলেক্সজেন্দ্রিয়া ওকাসিও কর্টেজ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এদেশে বসবাসরত অভিবাসীদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আচরণ শুরু করেছে ট্রাম্প ও তার প্রশাসন। কেউ ভুল করলেও তাকে ক্রিমিনাল বানিয়ে ফেলা হচ্ছে। টিপিএস এর আওতায় যুক্তরাষ্ট্রে অস্থায়ী অবস্থানের সুবিধা দেওয়া হয়েছিলো তাদেরকে অপরাধী বানিয়ে বহিষ্কার করা হচ্ছে। সিটিজেন শিশুদেরকেও বহিষ্কার করা হচ্ছে। অনৈতিকভাবে বিতাড়ন করা হচ্ছে অভিবাসীদের। ট্রাম্পের এমন অনৈতিক ও অভিবাসীদের সাথে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছি।
এসময় তিনি টম হোম্যানের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘আমি দেশের সংবিধান লঙ্ঘনে প্রতিবাদ করেছি। এটা আমার অধিকার। আপনি আমাকে ধরে নিতে হুমকি দেন। আসেন আমাকে ধরেন। আমি আপনাদের অবৈধ ডিপোর্টেশন ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবো।’
ওকাসিও আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এখন বাকস্বাধীনতা নেই। অভিবাসী ও বৈধ ভিসায় অবস্থানরত কেউ ট্রাম্পের সমালোচনা করলেই তাকে সন্ত্রীসী কিংবা অপরাধী বানিয়ে ভিসা বাতিলসহ বহিষ্কার করা হচ্ছে। অথচ এদেশ বাকস্বাধীনতার দৃষ্টান্ত ছিলো বিশ্বের কাছে। আমি সবাইকে বলছি কোন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যদি আপনাকে আটক কিংবা ডিপোর্টের চেষ্টা করে আপনারা আমার অফিস ও ফোনে দ্রুত যোগাযোগ করবেন। আমরা আছি আপনাদের সাথে।
তিনি বলেন, ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের ১০০ দিনেই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ধ্বস নেমেছে, যা ইতিহাসের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ডোজ এর মাধ্যমে লাখ লাখ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। তার নতুন শুল্কারোপে বিরূপ প্রভাব পড়েছে আমাদের অর্থনীতিতে। শেয়ার মার্কেটে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
এ সময় সভা উপস্থিত একজন প্রো প্যালেস্টাইন নারী আলেক্সজেন্দ্রা ওকাসিও কর্টেজ ও ড্যামোক্র্যাটদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আপনি ‘যুদ্ধাপরাধী’। পরে ওই নারী হলরুম ত্যাগ করে চলে যান।