এশিয়ার শীর্ষ পর্যটন গন্তব্য মালয়েশিয়া। আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে ৪ কোটি ৫০ লাখ পর্যটকের আগমন প্রত্যাশা করছে দেশটি। গত বছর ৩ কোটি ৮০ লাখেরও বেশি পর্যটক আগমন করায় এই লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবসম্মত বলেই মনে করছেন মালয়েশিয়ার পর্যটন বিভাগের মহাপরিচালক মানোহারান পেরিয়াসামি।
সম্প্রতি কেলান্তানের পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক আলোচনা সভায় মানোহারান পেরিয়াসামির উদ্ধৃতি দিয়ে ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে জনিয়েছে, ‘এই বছর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ নাগাদ মালয়েশিয়ায় পর্যটকের সংখ্যা ৩১.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬৭ লাখে দাঁড়িয়েছে। গত বছর একই সময়ে এই সংখ্যা ছিল ৫১ লাখ। সিঙ্গাপুর, চীন এবং ভারত থেকে আসা পর্যটকরা এই প্রবৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা রেখেছে।’
দেশটির সরকারি নিউজ এজেন্সি বারনামা জানিয়েছে, পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৬ সালের মধ্যে ৪ কোটি ৫০ লাখ পর্যটকের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করেন মালয়েশিয়ার ট্যুরিজম ডিজি। এই লক্ষ্য অর্জনের জন্য পণ্য সরবরাহকারী এবং রাজ্য সরকারসহ সব শিল্প অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
ট্যুরিজম মালয়েশিয়া এবং পর্যটন, শিল্পকলা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় কেলান্তানের পর্যটন শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন উদ্যোগ ও সুযোগ প্রদান করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, এভিয়েশন ও চার্টার সেক্টর গ্রান্ট, পর্যটন সহায়তা অনুদান, ভ্রমণ প্রণোদনা এবং সাংস্কৃতিক খাতের সহায়তা অনুদান।
মানোহারান পেরিয়াসামি আরও জানান, সেলাঙ্গর, সাবাহ, কুয়ালালামপুর এবং পেনাং-এর তুলনায় কেলান্তান এবং নেগেরি সেম্বিলানের পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্টরা সরকারি অনুদান পাওয়ার ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে কম আগ্রহী। তাই তিনি এই অঞ্চলের শিল্প সংশ্লিষ্টদের প্রতি সরকারের বিভিন্ন সহায়তা, স্কিম ও অনুদান গ্রহণের মাধ্যমে তাদের প্রচার কার্যক্রম জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন। মালয়েশিয়ার এই হাই এম্বিশিয়াস লক্ষ্যমাত্রা ২০২৬ সালে দেশটির অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পর্যটক মালয়েশিয়ায় আগমন করেন। পর্যটক হিসেবে বাংলাদেশিরা এসে আবার ফিরে গেলে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে পর্যটন সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।