বিশ্বের বিভিন্ন দেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব বা রেসিডেন্সি (স্থায়ী বসবাসের অনুমতি) প্রদান করে। যারা নতুন দেশে স্থায়ী হতে চান বা দ্বিতীয় পাসপোর্ট পেতে চান, তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার সুযোগ। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি দেশ, যেখানে বাড়ি কিনে নাগরিকত্ব পাওয়া যায়।
তুরস্ক বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় “সিটিজেনশিপ বাই ইনভেস্টমেন্ট” (CBI) প্রোগ্রাম পরিচালনা করে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে কমপক্ষে ৪ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের সম্পত্তি কিনলে আবেদনকারী ও তার পরিবার তুরস্কের নাগরিকত্ব পেতে পারেন। আবেদনকারীর অবশ্যই সম্পত্তি ৩ বছর ধরে রাখতে হবে। তুরস্কের পাসপোর্ট ১১০টিরও বেশি দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশের সুবিধা দেয়।
গ্রিস “গোল্ডেন ভিসা” প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের স্থায়ী বসবাসের অনুমতি প্রদান করে, যা পরবর্তীতে নাগরিকত্বের জন্য পথ খুলে দেয়। এখানে কমপক্ষে ২ লাখ ৫০ হাজার ইউরোর মূল্যের রিয়েল এস্টেট কিনলে গ্রিসে স্থায়ী বসবাসের সুযোগ পাওয়া যায়। তবে নাগরিকত্বের জন্য অন্তত ৭ বছর বসবাস করতে হবে এবং গ্রিসের ভাষা ও সংস্কৃতি সম্পর্কে পরীক্ষা দিতে হবে।
পর্তুগালের “গোল্ডেন ভিসা” ইউরোপের অন্যতম জনপ্রিয় বিনিয়োগ প্রোগ্রাম। এখানে কমপক্ষে ২ লাখ ৮০ হাজার ইউরোর মূল্যের সম্পত্তি কিনলে প্রথমে রেসিডেন্সি কার্ড পাওয়া যায়। ৫ বছর পর স্থায়ী বাসিন্দা হওয়ার সুযোগ থাকে এবং ৬ বছর পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়। পর্তুগালের পাসপোর্ট ১৮০টির বেশি দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুবিধা দেয়।
স্পেনও বিনিয়োগের ভিত্তিতে বসবাসের অনুমতি দেয়, তবে নাগরিকত্ব পেতে দীর্ঘ সময় লাগে। এখানে ৫ লাখ ইউরোর মূল্যের সম্পত্তি কিনলে গোল্ডেন ভিসা পাওয়া যায়। ৫ বছর পর স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া যায় এবং ১০ বছর পর নাগরিকত্বের আবেদন করা যায়।
ক্যারিবিয়ান দেশ ডোমিনিকা তাদের “সিটিজেনশিপ বাই ইনভেস্টমেন্ট” প্রোগ্রামের মাধ্যমে সরাসরি নাগরিকত্ব প্রদান করে। এখানে কমপক্ষে ২ লাখ মার্কিন ডলারের সম্পত্তি কিনলে আবেদনকারী ও তার পরিবার নাগরিকত্ব পেতে পারেন। ডোমিনিকার পাসপোর্ট দিয়ে ১৪০টির বেশি দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণ করা যায়, যার মধ্যে ইউরোপের শেনজেন দেশগুলোও রয়েছে।
Like this:
Like Loading...